৩০ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৭ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২০ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  মরিচ্যা পালং উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে মনজুর মেম্বার প্যানেলের চমক   ●  সাংবাদিক মাহিকে কেন ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল    ●  মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আবছারের ব্যাপক গনসংযোগ   ●  কক্সবাজার পৌরসভার উদ্যোগে বিশুদ্ধ পানি বিতরণ অব্যাহত   ●  ঈদগাঁওতে সোহেল, ইসলামাবাদে রাজ্জাক, ইসলামপুরে দেলোয়ার, জালালাবাদে জনি ও পোকখালীতে রফিক বিজ়য়   ●  মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই’র ১০তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  হোয়াইক্ষ্যং হাইওয়ে পুলিশের অভিযানে গুলিসহ দু’জন গ্রেফতার   ●  তীব্র তাপদাহে মানুষের পাশে মেয়র মাহাবুব   ●  টেকনাফে অপহরণ চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার   ●  মেয়র মাহাবুবের অর্থায়নে প্রতিবন্ধীদের মাঝে সহায়ক উপকরণ বিতরণ

রামু সহিংসতার স্মরণ অনুষ্ঠানে হামলাকারীদের বিচার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রামু

রামুতে ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে বৌদ্ধ বিহার ও বৌদ্ধ পল্লীতে অগ্নিকান্ড, ভাঙ্গচুর ও হামলা চালানো হয়েছিল। সেদিনের এ সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা সারাবিশ্বের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। কিন্তু নয় বছর পার হলেও এখনও এই ধ্বংসযজ্ঞের বিচার হয়নি। এভাবে বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। গতকাল বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রামু লালচিং-মৈত্রী বিহার কমপ্লেক্সে রামু কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ যুব পরিষদ আয়োজিত রামু সহিংসতার স্মরণ অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন। ভোরে সাদাচিং এ বুদ্ধের সামনে অর্ঘ্যদানের মধ্যদিয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর সংঘদান, অষ্টপরিষ্কারদান, ধর্ম সভা ও শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন  করা হয়েছে।
রামু পানেরছড়া বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ সুচারিতা মহাথেরোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান ধর্মদেশক ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রাচ্যভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. জিনবোধি মহাথের। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, রামু সেনা নিবাসের স্টেশন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রিয়াজুর রহমান বিপিএম. পিএসসি। বক্তৃতা করেন, রামু মৈত্রী বিহারের অধ্যক্ষ প্রজ্ঞাতিলক মহাথের, বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রের পরিচালক করুনাশ্রী থের, রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহারের পরিচালক শিলপ্রিয় থের, রামু কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ যুব পরিষদ সভাপতি কেতন বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক বিপুল বড়ুয়া আব্বু প্রমুখ।

সংগঠনের সভাপতি কেতন বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক বিপুল বড়ুয়া আব্বু জানান, ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বৌদ্ধদের অনেকগুলো বুদ্ধ মূর্তি, বুদ্ধের পবিত্র ধাতু, ধর্মগ্রন্থ পবিত্র ত্রিপিটক ও প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে গেছে। মূলত হারিয়ে যাওয়া এসব স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং পূণ্যদান করতে এ আয়োজন করা হয়। তারা আরও জানান, আমরা এ ঘটনার বিচার চাই। কারণ অপরাধীরা শাস্তি না পেলে এ ধরনের ঘটনা বার বার ঘটবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।