৩০ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৭ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২০ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  দুর্নীতির মডেল উখিয়া পল্লীবিদ্যুৎ! ডিজিএম বললেন- ‘ভেতরের খবর’ আপনাকে দিবো কেন?   ●  মরিচ্যা পালং উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে মনজুর মেম্বার প্যানেলের চমক   ●  সাংবাদিক মাহিকে কেন ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল    ●  মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আবছারের ব্যাপক গনসংযোগ   ●  কক্সবাজার পৌরসভার উদ্যোগে বিশুদ্ধ পানি বিতরণ অব্যাহত   ●  ঈদগাঁওতে সোহেল, ইসলামাবাদে রাজ্জাক, ইসলামপুরে দেলোয়ার, জালালাবাদে জনি ও পোকখালীতে রফিক বিজ়য়   ●  মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই’র ১০তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  হোয়াইক্ষ্যং হাইওয়ে পুলিশের অভিযানে গুলিসহ দু’জন গ্রেফতার   ●  তীব্র তাপদাহে মানুষের পাশে মেয়র মাহাবুব   ●  টেকনাফে অপহরণ চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার

জেনে নিন কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইতিহাস

তৎকালীন বৃটিশ শাসিত ভারতবর্ষে প্রশাসনিক অঞ্চল হিসাবে জেলার অধীন কয়েকটি থানার সমন্বয়ে মহকুমা ব্যবস্থা প্রচলন হলে ১৮৫৪ সালে চট্টগ্রাম জেলার অধীনে কক্সবাজার সদর মহকুমা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় ।

তৎকালীন সময়ে কক্সবাজারের কাছারী-পাহাড় এলাকায় একজন ইংরেজ সাহেব মহকুমা প্রশাসকের অধীনে প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তর ও নিম্ন আদালতের অবকাটামো গড়ে উঠে । এতে প্রশাসনিক ও বিচারিক আদালত ব্যবস্থাপনায় যথেষ্ঠ শিক্ষিত জনবলের প্রয়োজন হয়ে পড়ে । স্থানীয় এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অপ্রতুলতার কারণে যথেষ্ঠ শিক্ষিত জনবল গড়ে না উঠায় নবগঠিত মহকুমা ব্যবস্থায় শূণ্য-পদ পূরণে আশে-পাশের এলাকা হতে শিক্ষিত জনগোষ্ঠির সমাগম শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় নবগঠিত নিম্ন-বিচারক আদালতে আইনজীবী উজীর আলী মুন্সি সাহেবের আগমন শুরু হয় । চট্টগ্রামের দারগাহাট এলাকায় তৎকালীন বৃটিশ পুলিশ কর্মকর্তা জনাব মতি উল্লাহ দারগা সাহেবের পুত্র আইনজীবী হিসেবে কক্সবাজার মহকুমায় চলে আসেন।

মোঘল শাসনামলে মোঘল দাপ্তরিক ভাষা ছিলো পারস্যের ফারসি ভাষা যার প্রভাব বৃটিশ শাসনামলেও অফিস আদালতের ব্যবহারিক ভাষা হিসাবে দীর্ঘ সময় ধরে তথা এখনো সরকারি দাপ্তরিক লেখার ভাষা কিছু কিছু ফারসি শব্দ প্রচলিত হয়ে আসছে । নিম্ন আদালতে আইনজীবীদের সম্মান করে মুন্সি সম্বোধন করা হত যা আজ সম্পূর্ণ বিপরীত।

যেভাবে যেকারণে মসজিদ প্রতিষ্ঠিত করেছিলো:-
মহকুমা সদরের শহর হিসেবে কক্সবাজার প্রতিষ্ঠিত হলে প্রশাসনিক ও বিচারক গুরুত্বপূর্ণ কাজে দূর-দূরান্ত প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে যথেষ্ঠ লোকজনকে মহকুমা সদরের অফিস-আদালতে আসতে হতো। তৎকালে নিয়মিত নামাজ আদায় বা রাত্রি যাপনের কোনপ্রকার সুযোগ-সুবিধা এই আমলের মতো কাছারী-পাহাড় এলাকায় ছিলো না বিধায় এ ব্যাপারে গণমানুষের ভোগান্তি জনাব উজীর আলী মুন্সী সাহেব উপলব্ধি করে জনগণের কল্যাণে পরবর্তীতে তিনি তৎকালীন কাচারী পাহাড়ের পূর্ব পাশে নিজব্যয়ে একটি জামে মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

১৮৮৫ সালে জনাব উজীর আলী মুন্সি সাহেব কাছারী-পাহাড় তথা বর্তমান ডিসি অফিসের পূর্বপাশে ৬৫৯শতক জমি খরিদ করেন , তাতে মূল মসজিদ ভবন , মীনার চূড়ায় সুদৃশ্য গম্ভুজ সংযোজিত দুইতলা আজানখানার নীচতলায় ইমাম ও মুয়াজ্জীনের আলাদা আবাসকক্ষ , অজু ও সুপেয় পানির জন্য প্রশস্ত স্বচ্ছ পুকুর , আলাদা প্রসাব-পায়খানা ও দূরাগত জনগণের রাত্রি যাপনের সুবিধার্থে মুসাফির খানা ইত্যাদি সুবিধা নিয়ে চারোদিকে সবুজ বৃক্ষ বেষ্টিত তৎকালীন কাছারী পাহাড় জুম্মা-মসজিদ নিজ ব্যয়ে নির্মাণ করেন।

তৎকালীন প্রথমদিকে মসজিদটির নাম উজীর আলী জামে মসজিদ থাকলেও । বর্তমানে এটির নাম কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ।

তথ্য সংগ্রহ: উজির আলী মুন্সীর নাতি অত্র মসজিদের মতুআল্লী সাবেক সহ সভাপতি মরহুম আব্দুল করিমের কন্ট্রাক্টরের কাছে সংগ্রহীত জনাব উজির আলী মুন্সীর বই দারুল ইসলাম থেকে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।