৩০ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৭ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২০ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  দুর্নীতির মডেল উখিয়া পল্লীবিদ্যুৎ! ডিজিএম বললেন- ‘ভেতরের খবর’ আপনাকে দিবো কেন?   ●  মরিচ্যা পালং উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে মনজুর মেম্বার প্যানেলের চমক   ●  সাংবাদিক মাহিকে কেন ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল    ●  মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আবছারের ব্যাপক গনসংযোগ   ●  কক্সবাজার পৌরসভার উদ্যোগে বিশুদ্ধ পানি বিতরণ অব্যাহত   ●  ঈদগাঁওতে সোহেল, ইসলামাবাদে রাজ্জাক, ইসলামপুরে দেলোয়ার, জালালাবাদে জনি ও পোকখালীতে রফিক বিজ়য়   ●  মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই’র ১০তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  হোয়াইক্ষ্যং হাইওয়ে পুলিশের অভিযানে গুলিসহ দু’জন গ্রেফতার   ●  তীব্র তাপদাহে মানুষের পাশে মেয়র মাহাবুব   ●  টেকনাফে অপহরণ চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার

বাইশারী উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ও ধর্মীয় শিক্ষকের দাপটে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক এবং ধর্মীয় শিক্ষকের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। পরিচালনা কমিটিকে তোয়াক্কা না করে দিন দিন তাদের অপকর্ম বেড়েই চলছে। প্রধান শিক্ষক ও ধর্মীয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্বসাৎ সহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকার দায়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গতকাল নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা যায়, ৭ এপ্রিল সকাল ১০ ঘটিকার সময় বাইশারী উচ্চ বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যাধি তুলে আলোচনার দিন ধার্য্য করে। উক্ত সভায় বিদ্যালয়ের সমস্যাধি পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে উপস্থাপন করা হয়।
বর্তমানে বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের বসার জায়গা সংকুলান হয় না। কিন্তু প্রধান শিক্ষক নিয়মবহির্ভূত ভাবে বিদ্যালয়ের শ্রেনিকক্ষ দখল করে আছেন এবং গ্রামীন ব্যাংক কে ভাড়া দিয়েছেন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা উক্ত কক্ষ গুলো ছেড়ে দেওয়ার জন্য বললে প্রধান শিক্ষক ও ধর্মীয় শিক্ষক ধমকের সুরে অশালীন ভাষায় হুমকি ধমকি প্রদান করেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা জানান, কমিটি নির্বাচিত হওয়ার পর ছাত্র-ছাত্রীদের বসার জন্য আসবাব পত্র তৈরী করা সহ উন্নয়ন মূলক কাজকর্ম পরিচালনা করে আসছেন। তাদেরকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রতি সভায় আয় এবং ব্যায়ের হিসাব উপস্থাপন করার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক ও ধর্মীয় শিক্ষক মিলে তাদের খেয়াল খুশি মত ব্যয় করে।
দীর্ঘদিন থেকে তারা বিদ্যালয়ের টাকা আত্বসাৎ করে আসছে বলে অভিযোগ করেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা। প্রধান শিক্ষক ও ধর্মীয় শিক্ষকের যোগসাজসে দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ের টাকা আত্বসাৎ ছাড়াও জাতীয় দিবস সমূহে বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থেকে বর্জন করারও অভিযোগ উঠে।
বাইশারীর একমাত্র উচ্চ শিক্ষার বাহন এই উচ্চ বিদ্যালয়টি সরকারের নজরে থাকলেও লেখাপড়ার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেন অভিভাবকরা। অভিভাবকরা অভিযোগের সুরে বলেন, বিদ্যালয়ে কোন শৃঙ্খলা নেই।
তাছাড়া ধর্মীয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে তার বাড়ীর কাপড় ধোয়া সহ বাজার থেকে তরিতরকারী পাঠানোর মত গর্হিত কাজও ছাত্রদের দিয়ে করানো হয় বলে জানালেন একাধীক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। শিক্ষক হওয়ায় তার এহেন গর্হিত কাজের বিরোধিতা করেন না বলে জানালেন তারা।
বিদ্যালয়ে বর্তমানে হাজারো শিক্ষার্থীরা বসার জায়গা সংকুলান না হওয়ায় গাদাগাদী করে বসতে হয়। তা দেখেও না দেখার ভান করে বসে থাকেন প্রধান শিক্ষক। ধর্মীয় শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের কাছে অন্যান্য শিক্ষকরা জিম্মি হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস কারো নেই।
এলাকাবাসী ও সূশিল সমাজ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কয়েকজন শিক্ষকের কারণে আমাদের প্রিয় এই বিদ্যালয়টি আজ ধ্বংশের পথে। শিক্ষক হয়ে কিভাবে তারা অশালীন ভাষা করতে পারেন এবং ছাত্রদের দিয়ে কিভাবে তারা পরিবারের কাজ করাতে পারেন।
শিক্ষার্থী বেড়ে যাওয়ায় পরিচালনা কমিটির উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তারা আরো বলেন, এই পরিচালনা কমিটি নির্বাচিত হয়ে আসার পর বিদ্যালয়ের উন্নয়নের অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি আমরা। তাছাড়া তারা নিয়মিত পর্যবেক্ষনে রেখে বিদ্যালয়কে সু-শৃঙ্খল করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু তাদের এই ভালো উদ্যোগ গ্রহন করতে পারেন নি প্রধান শিক্ষক সহ সিনিয়র কয়েকজন শিক্ষক।
তাই এই উচ্চ বিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতকে বাঁচাতে উপজেলা প্রশাসনকে এগিয়ে আসার আহবান জানান সূশিল সমাজ এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।