১৭ মে, ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ৮ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবকিছু কঠোর থাকবে, অনিয়ম হলেই ৯৯৯ অভিযোগ করা যাবে   ●  উখিয়া -টেকনাফে শাসরুদ্ধকর অভিযানঃ  জি থ্রি রাইফেল, শুটারগান ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ৫   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে  তুলে নিয়ে   গুলি করে হত্যা   ●  যুগান্তর কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিমের পিতৃবিয়োগ   ●  জোয়ারিয়ানালায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত রামু কলেজের অফিস সহায়ক   ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু   ●  রামুতে ওসির আশকারায় এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে ‘সিভিল টিম’   ●  ড. সজীবের সমর্থনে বারবাকিয়ায় পথসভা   ●  কক্সবাজারে শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট রোবায়েত    ●  উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা

মেয়র মুজিবের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :
“১৫ আগস্টের সেই রাতে বাঙ্গালীর স্বপ্নদ্রষ্টাকে স্বপরিবারে কতোটা নিষ্টুরভাবে হত্যা করা হয়েছিল তা আজ গভীরভাবে জানলাম। এমন নির্মমতার খলনায়ক সেই বিশ্বাস ঘাতক খুনি খন্দকার মোশতাক, মেজর ডালিম ও মেজর নুরসহ বঙ্গবন্ধুর সব খুনিকে মন ভরে ঘৃনা জানানোর ইচ্ছে করছে।
কারণ তারা জাতির পিতাকে চিনতে না পারলেও আমরা নতুন প্রজন্ম ঠিকই বুঝতে পেরেছি যে, বঙ্গবন্ধু না হলে আজ লাল সবুজের এই পতাকাটি পেতাম না।
তাই আজ থেকে শপথ নিলাম, বাঙ্গালীর এই মহান জনককে সারাজীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবো।”
কথাগুলো বলছিলেন, কক্সবাজার পৌর প্রিপ্যার‍্যাটরি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাইসা ইসলাম নাদিয়া। তার মতো আরও অনেক কোমলমতি শিক্ষার্থী একই অনুভূতি প্রকাশ করেন।
সোমবার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ৬ হাজার শিক্ষার্থীকে শপথ বাক্য পাঠের মাধ্যমে কাঙ্গালী ভোজে অংশ গ্রহণের সুযোগ করে দেন। আর জাতির পিতাকে নতুন প্রজন্মের কাছে ভালভাবে চিনিয়ে দিতে ব্যতিক্রমী এমন উদ্যোগটি নেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান। তিনি প্রথমবারের মতো আগামী প্রজন্মের মাঝে ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যাকান্ডের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার লক্ষ্যে এমন সুন্দর উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
কক্সবাজার পৌর প্রিপ্যার‍্যাটরি উচ্চ বিদ্যালয় ও সৈকত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে মেয়র মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত উদ্যোগে আলাদাভাবে আয়োজিত এই শপথ পরবর্তী কাঙ্গালী ভোজে পৌর প্রিপ্যার‍্যাটরি উচ্চ বিদ্যালয় ছাড়াও কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজ, সৈকত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, এয়ারপোর্ট পাবলিক হাই স্কুল, হাজী সিদ্দিকীয়া স্কুল, বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমি ও কক্সবাজার কে.জি এন্ড মডেল হাই স্কুলের প্রায় ৬ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়। শুধু তাই নয়, সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষিকারাও এ ভোজে অংশ নেন। মেয়র মুজিবের এ উদ্যোগ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে বেশ প্রশংসা লাভ করে।
এসময় শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ মোহাম্মদ রেজওয়ান হায়াত, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল ও সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমেদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ মেয়র মুজিবের ব্যতিক্রমী এই আয়োজন পরিদর্শন করেন।
তিনটি ভেন্যুতে আলাদাভাবে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম, নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, আবদুল খালেক, এডভোকেট আয়াছুর রহমান, কাজী মোশতাক আহমদ শামীম, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল ইসলাম, কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ হেলাল উদ্দিন কবির, পৌর কাউন্সিলর এম এ মনজুর, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজিবুল ইসলাম ও জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের আহবায়ক শাহেদুল আলম রানাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।