২০ মে, ২০২৪ | ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১১ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  এভারকেয়ার হসপিটালের শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. তাহেরা নাজরীন এখন কক্সবাজারে   ●  কালেক্টরেট চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সভাপতি আব্দুল হক, সম্পাদক নাজমুল   ●  ক্যাম্পের বাইরে সেমিনারে অংশ নিয়ে আটক ৩২ রোহিঙ্গা   ●  চেয়ারম্যান প্রার্থী সামসুল আলমের অভিযোগ;  ‘আমার কর্মীদের হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে’   ●  নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবকিছু কঠোর থাকবে, অনিয়ম হলেই ৯৯৯ অভিযোগ করা যাবে   ●  উখিয়া -টেকনাফে শাসরুদ্ধকর অভিযানঃ  জি থ্রি রাইফেল, শুটারগান ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ৫   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে  তুলে নিয়ে   গুলি করে হত্যা   ●  যুগান্তর কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিমের পিতৃবিয়োগ   ●  জোয়ারিয়ানালায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত রামু কলেজের অফিস সহায়ক   ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু

ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তির দাপটে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী “ডাকবক্স”

index
সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তির দাপটে প্রতিক্ষণে প্রতিমুহুর্তে হারিয়ে যাচ্ছে সেই পুরোনো ঐতিহ্যবাহী ডাকঘরের “ডাকবক্স”।
জানা যায়, ফেলে আসা দিন গুলোতে বার্তা প্রেরক ও মনের ভাব আদান প্রদান ক্ষেত্রে ডাক বিভাগের বিষয়টি অতিব গুরুত্বের সাথে উচ্চারিত হয়েছিল। আশির দশক পর্যন্ত যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল চিঠি এবং জরুরী বার্তার জন্য টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন। একমাত্র জেলা শহর  ব্যতিত গ্রামীন জনপদে টেলিফোনের ব্যবহার অত্যন্ত সীমিত। পরিবার কিংবা প্রিয়জনের একটির জন্য অপেক্ষা হয়ে থাকতেন প্রবাসীরা। এখন আর সেই দিন নেই। নানা তথ্য  প্রযুক্তির  উন্নয়নে দিন বদলের ন্যায় পাল্টে গেছে সবকিছু। এখন এক নিমিশেষে খবরা খবর পৌছে যাচ্ছে ঘরে বসে থেকে বিশ্বের যেকোন প্রান্তে। প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে আলাপ চলছে অত্যাধুনিক মোবাইলে। চোখের পলকে খবর পৌছে যাচ্ছে কম্পিউটারাইজম সিস্টেম তথ্য প্রযুক্তির আরেক যাত্রা ই-মেইলে। ডিজিটাল যুগের একদাপ পরিবর্তনের ফলে অচল হয়ে গেছে ডাকে চিঠি প্রেরণ ও টেলিগ্রাফের যুগ। তাই ডাক বিভাগের ধরণ  আর কাজের পরিধির মধ্যে এসেছে নানা পরিবর্তন। কালের বিবর্তনে হয়তো পরিবর্তন এসে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির আদল ধারণ করবে। তখন হয়তো ডাকঘরের আভিধানিক অর্থ এবং কাজের ধরণ ও পাল্টে যাবে। প্রতি বছর ৯ অক্টোবর পালন করা হয় বিশ্ব ডাক দিবস। অথচ এই দিবসে জেলা জুড়ে কোন প্রকার তৎপরতা চোখে পড়েনা। প্রযুক্তির গ্যাড়াকলে পড়ে নানা কারনে এই দিবস অচিরেই হারিয়ে যাচ্ছে জেলাবাসীর কাছ থেকে। ১৮৬৩ সালে আমেরিকায় ডাক বিভাগের প্রবর্তন ঘটলেও ১৮৭৪ সাল থেকে এসে গঠিত হয় জেনারেল পোষ্টাল ইউনিয়ন। ইউনির্ভাসেল পোষ্টাল ইউনিয়ন গড়ে তোলার লক্ষে বিশ্ব ডাক দিবস পালিত হলেও বাংলাদেশে ডাক বিভাগের চিত্র এখন আর পুর্বের মত নেই। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি কারনে এবং বিভিন্ন কুরিয়ার সাভির্সের দাপটে ডাক বিভাগের আগের ব্যস্ততা আর নেই। দেশ বিদেশ থেকে চিঠি পত্রের আদান প্রদান এবং টাকা প্রেরনের সবছেয়ে নিরাপদ মাধ্যম ছিল ডাক বিভাগ। সে সময়ে ডাক বিভাগের কদর ছিল অন্য রকম। এখন কালের আবর্তে অন্যতম তথ্য প্রযুক্তির ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে সেই পুরোনো ডাক যোগাযোগ। দূরত্ব আর এলাকার ধরণের উপর নির্ভর করত ডাক যোগে কোন জিনিস কয় দিনে পৌঁছবে। এখন সে অপেক্ষা আর করতে হয়না। অনায়াসে পৌঁছে যায় প্রিয়জন কিংবা শুভাখাংক্ষিদের কাছে খবরাখবর বা অন্যান্য জিনিস পত্র। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য যে, সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁওয়ের ব্যস্থতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁওয়ের উপ ডাকঘর সহ ইউনিয়ন ভিত্তিক ডাকঘরে অতীতে যে ভাবে ডাক বক্সে চিঠি পত্র আদান প্রদান করা হত, এখন সে তা তথ্য প্রযুক্তির প্রবাহে প্রতিক্ষণে প্রতি মুহুর্তে হারিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে হরেক রকমের মোবাইল সহ অত্যাধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ফলে এ বৃহত্তর এলাকা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সহজ-সরল নারী পুরুষেরা সেই চিঠি পত্র আদান প্রদান করতে ডাক বিভাগে আসতে দেখা যায়না। যার ফলে ডাকঘরের গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধির পরিবর্তে কমতে দেখা যাচ্ছে বলেও ধারনা করেন কৌতহলী লোকজন। চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী ডাকঘরের “ডাক বক্স” দিন বদলের সনদ বাস্তবায়নের কালে ডিজিটাল যুগে অনায়াসে হারিয়ে যাচ্ছে সভ্য সমাজের কাছ থেকে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।