২৬ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৬ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  মেয়র মাহাবুবের অর্থায়নে প্রতিবন্ধীদের মাঝে সহায়ক উপকরণ বিতরণ   ●  টেকনাফে ১০ কৃষক অপহরণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার, আদালতে জবানবন্দি    ●  বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সেনা ও বিজিপির ২৮৮ সদস্য ফিরল মিয়ানমারে   ●  কক্সবাজার পৌরবাসির কাছে মেয়রের শেষবারের মতো ৫ অনুরোধ   ●  কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ, শৃংখলা জোরদারের  লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট, জরিমানা   ●  রামুতে নিরাপদ পানি ও উন্নত স্যানিটেশন  সুবিধা পেয়েছে ৫০ হাজার মানুষ     ●  কক্সবাজারে ছাত্রলীগের ৫ লক্ষ গাছ লাগনোর উদ্যোগ   ●  মহেশখালীতে সাংসদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্টের অভিযোগ    ●  জেএস‌আরের বিরুদ্ধে উঠা সকল অভিযোগ কে অপপ্রচার বলে দাবি সভাপতি জসিমের   ●  ‘দশ হাজার ইয়াবা গায়েব, আটক  সিএনজি জিডিমূলে জব্দ

৪৪ বছর পর রাজঘাটের শনির দশা কাটছে

Gomatoli
স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৪ বছর পর সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলী-রাজঘাট সড়কের শনির দশা অবশেষে কাটছে। পৌনে ২ কি:মি সড়কটি সংষ্কারে কক্সবাজার এলজিইডি প্রায় কোটি টাকা ব্যায় করে দুটি কালভার্ট নির্মাণ  কাজ ইতিমধ্যে শুরু করেছেন। দীর্ঘ বছর পর হলেও সড়ক ও কালভার্ট নির্মাণে এলাকাবাসীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বইছে।
জানা যায়, দীর্ঘ সাড়ে ৩ যুগ ধরে কাঁচা-পাকা সামান্য ব্রীকে সলিনের এ রাস্তাটি অযতেœ অবহেলায় ছিল।  এলাকাবাসী জানায় বছর দুয়েক পূর্বে তৎকালিণ ককসবাজার-রামু আসনের সাংসদ লুৎফুর রহমান কাজল এমপি ২ফুট করে মাটি ভরাট করেছিলেন। অপর দিকে ঐ সময়কার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ছলিম উল্লাহ বাহাদুর নিজ এলাকা পরিদর্শনের সময় সড়কের এই বেহাল দশা দেখে স্থানীয় এলাকাবাসীকে অতিদ্রুত সড়কটি সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নের আলোর মুখ না দেখায় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছিল।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়,আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে পোকখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মৌলভী ফরিদুল আলম সংশ্লিষ্ট এলাকায় কোন উন্নয়ন করেননি। পোকখালী নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় উন্নয়নে ভূমিকা রাখলেও দৃষ্টি দেয়নি অবহেলিত গোমাতলীর দিকে। তবে গোমাতলীর বঞ্চিত মানুষের অভিযোগ এ এলাকাটি আওয়ামীলীগ অধ্যুষিত হওয়ায় দীর্ঘবছর ধরে মেরামত ও পাকা করনের কোন প্রকারের উদ্যোগ নেয়নি কোন সরকার।
সূত্র জানায়, উক্ত সড়ক দিয়ে গাইট্ট্যা খালী,আজিম পাড়া,উত্তর গোমাতলী,রাজঘাট,চরপাড়া সহ প্রায় ২০ হাজার লোক প্রতিদিন যাতায়ত করেন। এখানে রয়েছে প্রাইমারী স্কুল,হাইস্কুল,মাদ্রাসা ও ফোরকানিয়া সহ বেশ কটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জ্ঞান পিপাসু কোমলমতি শিক্ষার্থীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। স্থানীয় অনেকেই জানান,দীর্ঘ সাড়ে ৩ যুগ ধরে গোমাতলী এলাকাটি আওয়ামীলীগ অধ্যূষিত হওয়ায় যুগযুগ ধরে অন্যান্য সরকারের সময়ে উন্নয়ন বঞ্চিত ছিল। দূর্ভাগ্যের বিষয় গোমাতলীতে ছিল এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ স্বাধীনতার যুদ্ধের সুর্য্যসন্তান মুক্তিযুদ্ধারা। তবুও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। সম্প্রতি সড়কটি উন্নয়নে সরকার আন্তরিক হলে উন্নয়নের কাজ শুরু হয়। বর্তমানে সড়কের মাটি ভরাটের কাজ প্রায় সম্পন্ন। চলছে ব্রীজ কালভার্টের কাজ।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।