১৭ মে, ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ৮ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবকিছু কঠোর থাকবে, অনিয়ম হলেই ৯৯৯ অভিযোগ করা যাবে   ●  উখিয়া -টেকনাফে শাসরুদ্ধকর অভিযানঃ  জি থ্রি রাইফেল, শুটারগান ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ৫   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে  তুলে নিয়ে   গুলি করে হত্যা   ●  যুগান্তর কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিমের পিতৃবিয়োগ   ●  জোয়ারিয়ানালায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত রামু কলেজের অফিস সহায়ক   ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু   ●  রামুতে ওসির আশকারায় এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে ‘সিভিল টিম’   ●  ড. সজীবের সমর্থনে বারবাকিয়ায় পথসভা   ●  কক্সবাজারে শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট রোবায়েত    ●  উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা

১০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ বদির, দুদকের প্রতিবেদন

 

: কক্সবাজার-৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির ১০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।এজন্য বদির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়ার সুপারিশ করেছে দুদকের তদন্তকারী দল।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের পাশাপাশি অর্থ পাচার আইনেও অভিযোগপত্র দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

বদির বিরুদ্ধে দুদকের মামলার তদন্ত শেষে সোমবার এ প্রতিবেদন দেওয়া হয় বলে দুদক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

দুদক সূত্র জানায়, তদন্তে বদির নামে-বেনামে ১০ কোটি ৩২ লাখ ৮১ হাজার ৯৭৫ টাকার অবৈধ সম্পদ পাওয়া গেছে।

এর মধ্যে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ৬ কোটি ৩৩ লাখ ২৮ হাজার ৯৪৮ টাকার।

দুদকে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে বদি গোপন করেন ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৭ টাকা।

বদির বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত করেন উপপরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ ও সহকারী পরিচালক এস এম রফিকুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ ১৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে বদি ও তার পরিবারের সদস্যদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির রেকর্ডপত্র যাচাই করে দেখা যায়, এজাহারে উল্লেখিত অভিযোগ যথাযথ।

দুদক সূত্র জানায়, বদিকে অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহায়তাকারী হিসেবে বদির সহোদর আব্দুস শুকুরকে চিহ্নিত করেছে অনুসন্ধানকারী দল।

তদন্তে আব্দুস শুকুরের ব্যাংক হিসাবে ৪৫ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে।

গত বছরের ২১ আগস্ট অবৈধ সম্পদের অভিযোগে আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করে দুদক।

দুদকের মামলায় প্রায় তিন সপ্তাহ কারাভোগ করেন এই সংসদ সদস্য।

নির্বাচনী হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, মহাজোট সরকারের পাঁচ বছরে বদির আয় বেড়েছে ৩৫১ গুণ। ওই পাঁচ বছরে তিনি আয় করেছেন ৩৬ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪০ টাকা।

দুদকের মামলায় বদির বিরুদ্ধে ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকার সম্পদ গোপন এবং ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩ হাজার ৩৭৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছিল।

তদন্তে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ কয়েক লাখ টাকা কমেছে। তবে গোপন করা সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় চার কোটি টাকার।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় অস্বাভাবিক সম্পদের তথ্য পেয়ে ক্ষমতাসীন দলের সাবেক তিন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও তিন সাংসদের বিরুদ্ধে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

এর মধ্যে আব্দুর রহমান বদি, সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান এবং সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ইতিমধ্যে মাহবুবুর রহমানের মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।

তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, সংসদ সদস্য আসলামুল হক ও এনামুল হককে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।