১৭ মে, ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ৮ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবকিছু কঠোর থাকবে, অনিয়ম হলেই ৯৯৯ অভিযোগ করা যাবে   ●  উখিয়া -টেকনাফে শাসরুদ্ধকর অভিযানঃ  জি থ্রি রাইফেল, শুটারগান ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ৫   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে  তুলে নিয়ে   গুলি করে হত্যা   ●  যুগান্তর কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিমের পিতৃবিয়োগ   ●  জোয়ারিয়ানালায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত রামু কলেজের অফিস সহায়ক   ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু   ●  রামুতে ওসির আশকারায় এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে ‘সিভিল টিম’   ●  ড. সজীবের সমর্থনে বারবাকিয়ায় পথসভা   ●  কক্সবাজারে শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট রোবায়েত    ●  উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা

শ্রেষ্ঠ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী বাংলাদেশের সুমাইয়া

photo
অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থী সুমাইয়া সুলতান ২০১৬ সালের শ্রেষ্ঠ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন যিনি সেখানকার ম্যাকুয়ারি ইউনিভার্সিটিতে পড়ছেন।
বিজ্ঞান ও প্রকৌশল প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখার জন্য সম্প্রতি সিডনি অপেরা হাউসে এক অনুষ্ঠানে ডিপার্টমেন্ট অফ প্রিমিয়ার অ্যান্ড কেবিনেটের সংস্থা ‘স্টাডি এনএসডব্লিউ’ তাকে এই সম্মানে ভূষিত করে।
ম্যাকুয়ারি ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে নারীদের সচেতনতা ও গুরুত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘উইমেন ইন সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (ওয়াইজ)’ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন প্রধান উদ্যোক্তা।
সুমাইয়াকে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী নির্বাচনের কারণ হিসেবে আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, “শুধু শিক্ষাগত অর্জনের জন্য তাকে এই সন্মানে ভুষিত করা হয়নি, সমাজের মুল্যবোধে ইতিবাচক পরিবর্তনে তার অব্যাহত অবদানের জন্যই বিশেষভাবে তাকে এই সন্মানে ভুষিত করা হয়েছে।” ম্যাকুয়ারি ইউনিভার্সিটির ম্যানেজার (ক্যারিয়ার ও এমপ্লয়মেন্ট) জুলি ডোহার্টি সুমাইয়াকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেন।
তিনি বলেন, “সুমাইয়া প্রকৃত অর্থেই একজন ব্যতিক্রমী শিক্ষার্থী, আমি এটা তার অ্যাকাডেমিক সাফল্যের জন্য বলছি না। বরং তার মধ্যে অন্যকে প্রভাবিত করার এবং ব্যতিক্রমী কিছু একটা করার অদম্য স্পৃহা রয়েছে।”
পুরস্কার পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় সুমাইয়া সুলতান বলেন, “আমি প্রথম যেদিন ক্লাসে যাই সেদিন ক্লাসে মাত্র ছয় বা সাতজন নারীকে পাই এবং আমি এই অবস্থার পরিবর্তন করবো বলে মনস্থির করে ম্যাকুয়ারি ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে ‘উইমেন ইন সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (ওয়াইজ) প্রতীষ্ঠার উদ্যোগ নেই।”
তিনি বলেন, এনএসডব্লিউতে যাওয়ার যাওয়ার পর আমার সেই বিশ্বাস আরও জোরালো হয় এবং আমি নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করতে শুরু করি যেন তারা আরো উপরে উঠতে পারে এবং তাদের মধ্যে যে সুপ্ত শক্তি রয়েছে তা জাগিয়ে দেয়ার জন্য।’
তিনি বলেন, “মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই প্রুপের সদস্য ৮২ জনে উন্নীত হয়। গ্রুপের সাফল্যের কারণেই বাইরে থেকে তহবিল সংগ্রহের অনুমতি মিলেছে। সাফল্য না পেলে এটা সম্ভব ছিল না। আর আমাদের আট সদস্যের একটি নির্বাহী গ্রুপের নেতৃত্বও আমি দিচ্ছি।”
সুমাইয়ার বাড়ি ঢাকার দোহারে। তার বাবা আবু সুলতান ভূইয়া ব্যবসা করেন এবং মা মাকসুদা বেগম গৃহিণী।
এ বিষয়ে ম্যাকুয়ারি ইউনিভার্সিটির নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদে বলা হয়েছে, “ইউনিভার্সিটির কমিউনিটিতে থাকা ও পড়াশোনা করতে আসা সবার উন্নততর জীবনযাত্রায় সুমাইয়ার সাফল্য ছিল একটি অনন্য সাধারণ উদাহরণ।”দৈনিকশিক্ষা

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।