২৯ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৯ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  ঈদগাঁওতে সোহেল, ইসলামাবাদে রাজ্জাক, ইসলামপুরে দেলোয়ার, জালালাবাদে জনি ও পোকখালীতে রফিক বিজ়য়   ●  মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই’র ১০তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  হোয়াইক্ষ্যং হাইওয়ে পুলিশের অভিযানে গুলিসহ দু’জন গ্রেফতার   ●  তীব্র তাপদাহে মানুষের পাশে মেয়র মাহাবুব   ●  টেকনাফে অপহরণ চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার   ●  মেয়র মাহাবুবের অর্থায়নে প্রতিবন্ধীদের মাঝে সহায়ক উপকরণ বিতরণ   ●  টেকনাফে ১০ কৃষক অপহরণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার, আদালতে জবানবন্দি    ●  বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সেনা ও বিজিপির ২৮৮ সদস্য ফিরল মিয়ানমারে   ●  কক্সবাজার পৌরবাসির কাছে মেয়রের শেষবারের মতো ৫ অনুরোধ   ●  কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ, শৃংখলা জোরদারের  লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট, জরিমানা

শীত অাসছে…

resize_1414773297
ছয় ঋতুর দেশ আমাদের প্রিয় মাতৃভুমি বাংলাদেশ। ঐ ছয় ঋতুর মধ্যে যে ঋতু টি নিয়ে বাংলার ঘরে ঘরে বার্তা বহন করে আসে তা হচ্ছে শীতকাল বাংলা বর্ষপুন্জির আগ্রাহায়ন মাসই মুলত শীতের জম্ম কাল হিসেবে বেশ অপরিচিত, আগামী কাল আগ্রাহায়নের পহেলা তারিখ মানে শীত আসছে। এখন হিমেল হাওয়া শিশিরভেজা ভোর আর
কুয়াশায় ঢাকা সন্ধ্যা জানিয়ে দিচ্ছে প্রকৃতির সবচেয়ে আদুরে ঋতু শীতের আগমনী বার্তা। কার্তিক মাসেরর আজ শেষ দিন, মিষ্টি হয়ে উঠছে সকালের রোদ। সবুজ ঘাসের ডগায়এবং আমন
ধানের পাতায় শিশিরবিন্দু গুলো সকালের আলোয় ঝলমল করে উঠে। শিশিরগুলো যেন মুক্তোর দানার মতো নান্দনিক রূপ ধারন করেছে। রাতের
বেলায় টিনের চালে টুপটাপ ঝরে পড়ছে শিশির, মনে হয় যেন আকাশটা কেঁদে চলছে অনাবরত। শীতের আগমনকে সামনে নিয়ে সৈতক নগরী কক্সবাজার জেলার উপজেলা গুলোর প্রত্যান্ত অন্চলে শুরু হয়ে গেছে খেজুর রস সংগ্রহের প্রস্তুতি। গরম গরম ভাঁপা পিঠা খাওয়া খেজুর রস দিয়ে এরই মধ্যে হাট বাজারে শুরু হয়ে গেছে ভাঁপা পিঠার ধুম। মাঠজুড়ে চলছে শীতকালীন সবজি আবাদ, পরিচর্যা ও আগাম উৎপাদিত সবজি বিক্রি করতে হাটে নেওয়ার ব্যস্ততা। মাঠে মাঠে সোনালী বর্ণ ধারণ করেছে আমন ধান।
কৃষকদের শ্রমে আর ঘামে উৎপাদিত এসব আমন ধানকে ঘিরে গ্রামীন জনপদে চলছে নবান্নের প্রস্তুতি। ক’দিন পরেই ফুটবে সরিষার ফুল। দিগন্ত জুড়েই পাকা আমনের সোনালী রঙ এবং হলুদ বর্ণের সরিষার ফুল দেখে যে কারো চিত্তহৃদয় মূহুর্তের মধ্যে হারিয়ে যাবে প্রকৃতির মাঝে। গ্রামীণ জনপদের জলাশয় গুলোতে ইতি মধ্যে শোনা যাচ্ছে অতিথি পাখির কলরব ও
ডানা ঝাপটানোর মধুর আওয়াজ। প্রকৃতিতে শুরু হয়ে গেছে শুস্কতা। গ্রাম-বাংলার গাছের গাঢ় সবুজ পাতা গুলো দিনদিন খয়েরি-কালে রূপ ধারণ করছে। শুরু হবে পাতা ঝরার পালা। শীতের অগ্রদূত হয়ে প্রকৃতির দোয়ারে হাজির হয়েছে গেছে সব চিত্র।
তার মাঝে দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে গ্রামীন
জনপদের গুলোর চিত্র।কক্সবাজার জেলার চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশ খালী, কুতুবদিয়া, রামু সদর উপজেলা সহ উখিয়া- টেকনাফ উপজেলার গ্রাম গুলোতে শীতকালীন সবজি নিয়ে মহাব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কৃষক-কৃষাণীরা। কেউ নুতন ভাবে বিচ রোপন করছে কেউ আবাদ করছে, আবার কেউ আগাছা পরিস্কার করে কীটনাশক প্রয়োগসহ পরিচর্যা করছে, কেউ কেউ আগাম উৎপাদিত সবজি বাজারে নিয়ে যাচ্ছে। হাট-বাজারেও
আসতে শুরশু করেছে শীতকালীন সবজি যেমন মুলাশাক, লালশাক, সরিষাশাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, বেগুন, শিম, লাউ, শসা, বরবটি, ঢেটস, টমেটো, গাজর, দেশি মরিচ ইত্যাদি। শীতের আগমনে গ্রীস্মকালে অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকা দামী দামী শীতবস্ত্র গুলো হয়ে উঠতে জাগ্রত
প্রানের স্পর্শে ফিরে পাবে ঐ সব গরম কাপড়ের হারানো সম্মান। ইতিমধ্যে গরম কাপড়ে মার্কেট, বিপনী বিতানের দোকান সম্মুহ ভরে উঠেছে। জ্যাকেট,সোয়েটার,শাল, মাবলার, চাদর, কম্বল, হাত-পায়ের মোজা ওলের টুপি থরে থরে সাঁজিয়ে রেখেছে দোকানিরা, অপেক্ষা কন-কনে শীত থেকে বাচাঁর জন্য আগত ক্রেতা সাধারনের। দেশের ধনীরা হাই কোয়ালিটির শপিং মলের দিকে ছুটলেও গরিব নিম্মবৃত্তদের জন্য পুরাতন কাপড়েই ভরসা। তাই তারা ছুটছে রাস্তার পার্শের দোকান খুলে বসা হকার ও মৌসুমী শীতবস্ত্র বিক্রেতাদের কাছে। মনিহারি, স্টেশনারী ষ্টোরে মজুদ করা হয়েছে শীতের নানান প্রসাধনী লীপজেল বিভিন্ন ধরনের ক্রীম, পেট্রোলিয়াম জেলী, লোশন মর্শরাইজার জেলীর নেই কোন জুড়ী,। শীতকালে সব ছেয়ে বড় সমস্যার ঠান্ডা জনিত রোগ বযস্কদের শ্বাষকষ্ট, ছোটদের নিমোনিয়া, হাপাঁনী, এলার্জি এ্যজমা, চুলকানী সর্দি-কাশি, হাত-পা ফাঁটা সহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। আমাদের উচিত সকল বিষয়ে সচেতনাতা অবলম্বন করে সতর্ক থাকা। শত দুঃখের মাঝেও একটি আনন্দ, শীত আসছে আমাদের মাঝে বছর ঘুরে পিকনিক টা হয়ে যাক এবার।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।