৫ মে, ২০২৪ | ২২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৫ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কচ্ছপিয়ার নোমান চেয়ারম্যানের হুমকি   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  নিরাপদ নুরুল আবছারকেই পছন্দ ভোটারদের   ●  আদালতে তিন মামলারই জবানবন্দি দিলেন অস্ত্র সহ গ্রেফতার সিরাজ   ●  টেকনাফে অপহরণ চক্রের সদস্য অস্ত্রসহ গ্রেফতার   ●  উপজেলা চেয়ারম্যান শফিউল্লাহর প্রার্থীতা বাতিলে হাইকোর্টে রিট   ●  প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর ৩০ বছরের পথচলা ও সাফল্য উদযাপন   ●  কক্সবাজার পৌরসভায় ৩ টি প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা   ●  কুতুবদিয়ায় সুপারডাইকে বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও পারাপারে ফেরী সার্ভিস চালুর দাবী   ●  ‘সবাইকে ভালোর দিকে ছুটতে  হবে, খারাপের দিকে নয়’

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সেনা ও বিজিপির ২৮৮ সদস্য ফিরল মিয়ানমারে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
মিয়ানমারে সংঘাতের জেরে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া দেশটির সেনা ও বিজিপির ২৮৮ জন সদস্যকে স্বদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ঘন্টাব্যাপি দু’দেশের প্রতিনিধি দলের উপস্থিতিতে ইমিগ্রেশন ও যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শেষে কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়াস্থ বিআইডব্লিটিএ ঘাটে তাদের হস্তান্তর করা হয়। পরে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে টাগবোটে করে তাদের তুলে দেয়া হয় গভীর সাগরে অবস্থানরত মিয়ানমারের জাহাজে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়াস্থ ঘাট। কঠোর নিরাপত্তা বলয়; চারদিকে বিজিবি, কোস্টগার্ড ও পুলিশের অবস্থান। ঘিরে ফেলা হয়েছে প্রত্যাবাসন কার্যক্রমের পুরো এলাকাটি। ভোর সাড়ে ৪টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি বর্ডার গার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে আসা একে একে ১১টি বাসযোগ ভোর সাড়ে ৫টায় পৌছায় কক্সবাজারস্থ নুনিয়ারছড়া প্রত্যাবাসন ঘাটে। তারপর মিয়ানমারের সেনা ও বিজিপির ২৮৮ জন সদস্যের শুরু হয় যাচাই বাছাই কার্যক্রম।
এরই মধ্যে ঘাটে উপস্থিত বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল। চলে হস্তান্তর প্রক্রিয়ার বৈঠক। যেখানে অংশ নেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ও বিজিপির ৫ সদস্য আর বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিরা। ঘন্টাব্যাপি যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শেষে সকাল ৭টায় দ্রুত মিয়ানমারের সেনা ও বিজিপির সদস্যদের তুলে দেয়া হয় টাগবোটে। এরপরই মিয়ানমারের সেনা ও বিজিপিবাহি টাগবোটটি রওনা হয় গভীর সাগরে। আর টাগবোটটির সামনে ও পেছনে কঠোর নিরাপত্তার দায়িত্বে নেয় কোস্টগার্ড। পরবর্তীতে তাদের তুলে দেয়া হয় সাগরে অবস্থানরত মিয়ানমারের জাহাজে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, প্রথম দফায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি উখিয়ার ইনানীস্থ নৌবাহিনীর জেটি মিয়ানমারের সেনা, বিজিপি ও কাস্টমস কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জনকে স্বদেশে ফেরত পাঠানো হয়। এরপর গত দেড়মাসে নতুন করে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় মিয়ানমারের সেনা ও বিজিপির আরও ২৮৮ জন। তাদেরকে নানা প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার সকালে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরপর তাদেরকে গভীর সাগরে মিয়ানমারের জাহাজে তুলে দেয়া হয়েছে। তারা এখন স্বদেশে ফিরে যাচ্ছে।
এদিকে পুরো কার্যক্রম শেষে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েসহ প্রতিনিধি দলকে বিদায় জানায় বিজিবির শীর্ষ কর্মকর্তারা। তবে; প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে মিয়ানমার প্রতিনিধি দল বা বিজিবির কোন কর্মকর্তাই গণমাধ্যমকে কিছু বলতে রাজি হননি।
এদিকে বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে মিয়ানমারের কারাভোগ শেষে দেশটির জাহাজে করে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশি ১৭৩ জন নাগরিক। ১৭৩ জনের মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজার জেলার, ৩০ জন বান্দরবান জেলার, সাতজন রাঙ্গামাটি জেলার, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার একজন করে।
মিয়ানমারে ফেরত যাওয়া ২৮৮ জন গত ১ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল পর্য়ন্ত সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। এরও আগে ফেব্রুয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন। যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
চলতি বছরের গেলো ৩ মাসে মিয়ানমারের সেনা ও বিজিপির ছয়’শ ১৮ জনকে মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় এবং প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।