১৬ মে, ২০২৪ | ২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ৭ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে  তুলে নিয়ে   গুলি করে হত্যা   ●  যুগান্তর কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিমের পিতৃবিয়োগ   ●  জোয়ারিয়ানালায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত রামু কলেজের অফিস সহায়ক   ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু   ●  রামুতে ওসির আশকারায় এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে ‘সিভিল টিম’   ●  ড. সজীবের সমর্থনে বারবাকিয়ায় পথসভা   ●  কক্সবাজারে শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট রোবায়েত    ●  উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা   ●  বাহারছরা পুলিশের অভিযানে হত্যা চেষ্টা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার   ●  নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কচ্ছপিয়ার নোমান চেয়ারম্যানের হুমকি

রামুতে সাংসদের হাতে প্রহৃত বিএনপি নেতা

Mp kamol pic

রামুর গর্জনীয়ায় এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের হাতে প্রহৃত হয়েছেন জিল্লু চৌধুরী নামের এক বিএনপি নেতা। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় গর্জনীয়ার বটতলী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় জিল্লু চৌধুরী বিএনপির সাবেক এমপি লুৎফুর রহমান কাজলের পক্ষে এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করছিলেন।

রামু উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ছৈয়দ মো: আবদুস শুকুর জানান, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও গর্জনীয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মওলা চৌধুরীকে নিয়ে রবিবার সারাদিন গর্জনীয়াকচ্ছপিয়া এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেন উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য জিল্লু চৌধুরী। তারা বিএনপির সাবেক এমপি লুৎফুর রহমান কাজলের পক্ষে এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করে ইফতার করার জন্য গোলাম মওলা চৌধুরীর প্রাইভেট কারে করে বাজারে যাচ্ছিলেন। তাদের পেছনে ছিল ত্রাণবাহী একটি জিপও। পথিমধ্যে তারা সরকার দলীয় এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের গাড়ি বহরের মুখোমুখি হয়। এসময় তারা প্রাইভেট কারটিসহ ত্রাণবাহী গাড়িটি রাস্তার একপাশে রেখে সাংসদের গাড়িবহরের জন্য রাস্তা ছেড়ে দেন। সাংসদ কমল রাস্তা অতিক্রম করে কিছুদূর যাওয়ার পর গাড়ি থামিয়ে জিল্লু চৌধুরীকে ডেকে পাঠান। সাংসদের আহবানে সাড়া দিয়ে জিল্লু চৌধুরী কাছে গেলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে কিলঘুষি মারতে থাকেন সাংসদ কমল। এসময় তার দেখাদেখি কচ্ছপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিনসহ সাংসদের অন্যান্য সহযোগীরাও তাকে বেধড়ক মারধর করে। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে সাংসদ তার গাড়ি বহর নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

ঘটনার শিকার বিএনপি নেতা জিল্লু চৌধুরী জানান, এক সময় তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। প্রায় ৭ মাস আগে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে সাংসদ কমল এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে মনে করেন তিনি।

এদিকে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন রামু উপজেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ। অপরদিকে ঘটনার ব্যাপারে জানতে সাংসদ কমলের মোবাইলে বার বার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ না করে লাইন কেটে দেয়ায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।