১৭ মে, ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ৮ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবকিছু কঠোর থাকবে, অনিয়ম হলেই ৯৯৯ অভিযোগ করা যাবে   ●  উখিয়া -টেকনাফে শাসরুদ্ধকর অভিযানঃ  জি থ্রি রাইফেল, শুটারগান ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ৫   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে  তুলে নিয়ে   গুলি করে হত্যা   ●  যুগান্তর কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিমের পিতৃবিয়োগ   ●  জোয়ারিয়ানালায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত রামু কলেজের অফিস সহায়ক   ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু   ●  রামুতে ওসির আশকারায় এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে ‘সিভিল টিম’   ●  ড. সজীবের সমর্থনে বারবাকিয়ায় পথসভা   ●  কক্সবাজারে শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট রোবায়েত    ●  উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা

দুই বহনকারী আটক হলেও অধরা সেতুনীপাড়ার মোস্তাক, রাসেল ও আমিন

মরিচ্যায় রাসেলের নেতৃত্বে বিদেশী সিগারেটের বিশাল সিন্ডকেট

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মায়ানমার থেকে চোরাইপথে বিদেশী সিগারেট এনে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে উখিয়ার মরিচ্যা এলাকার মোহাম্মদ রাসেলের নেতৃত্বে একটি বিশাল সিন্ডিকেট। গত রোববার (৪জুন) রাসেলের একটি বিদেশী সিগারেটের চালানসহ দুই বহনকারী রামু থানা পুলিশ আটক করলেও অধরা রয়েছে রাসেল সহ তার অপর সহযোগি সেতুনীপাড়া এলাকার মোস্তাক ও চট্রগ্রামের টিআরএস আমিন। টিআরএস আমিন সেতুনীপাড়ায় মোস্তাকের বোনের বাসায় ভাড়া থাকেন। প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, রোববারের  বিদেশী সিগারেটের চালান আটকের সময় রাসেল পুলিশের জালে ধরা পড়লেও মোটা অংকের বিনিময়ে ছাড়া পান। রাসেল উখিয়ার পূর্ব মরিচ্যা মধুঘোনা  এলাকার সালামত উল্লাহ ড্রাইভারের ছেলে।

বিগত ২০২২ সালের (৫ এপ্রিল) রাসেলের প্রধান সহযোগি মোস্তাক আহমদ ৯শ ক্যান এনার্জি ড্রিংকস ও বিদেশী সিগারেট নিয়ে সহযোগিসহ র‍্যাবের জালে আটক হন।
জামিনে এসে রাসেলের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট তৈরী করে এনার্জি ড্রিংকস ও বিদেশী সিগারেট ব্যবসা চালিয়ে আসছে। আলোচিত মোস্তাক আহমদ উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের পশ্চিম মরিচ্যা সেতুনি বটতলী এলাকার মৃত হাসু মিয়ার ছেলে।

র‌্যাব-১৫, সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মোঃ বিল্লাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, র‍্যাবের চৌকস আভিযানিক দল উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং পশ্চিম পাড়াস্থ একটি গোডাউনে অভিযান চালায়। এসময় র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দুইজন ব্যাক্তি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র‍্যাব তাদের ধৃত করে। পরবর্তীতে গোডাউনে ভিতর আমদানী নিষিদ্ধ বিদেশি সিগারেট ২৯৬ প্যাকেট যার মধ্যে ৫৯ হাজার ২শ শলাকা এবং ৯০০ ক্যান এনার্জি ড্রিংকস (কমান্ডো) উদ্ধার করা হয়।

এদিকে  মোস্তাক আহমদ একবার  আটক হলেও অধরা রয়েছে মোস্তাকের বড় ভাই জিয়াবুল হক ও বোনের জামাই জিয়াবুল। বোনের জামাই জিয়াবুল কুতুপালং এ ফার্মেসি ব্যবসার আড়ালে ইয়াবা ব্যবসা করা আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয়দের মতে, মোস্তাক, রাসেল ও আমিনকে গ্রেফতার করলে দক্ষিন চট্রগ্রামের   মাদকসহ নানা অপরাধে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।