১৭ মে, ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ৮ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবকিছু কঠোর থাকবে, অনিয়ম হলেই ৯৯৯ অভিযোগ করা যাবে   ●  উখিয়া -টেকনাফে শাসরুদ্ধকর অভিযানঃ  জি থ্রি রাইফেল, শুটারগান ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ৫   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে  তুলে নিয়ে   গুলি করে হত্যা   ●  যুগান্তর কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিমের পিতৃবিয়োগ   ●  জোয়ারিয়ানালায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত রামু কলেজের অফিস সহায়ক   ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু   ●  রামুতে ওসির আশকারায় এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে ‘সিভিল টিম’   ●  ড. সজীবের সমর্থনে বারবাকিয়ায় পথসভা   ●  কক্সবাজারে শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট রোবায়েত    ●  উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা

‘বাবার সামনে ভেসে গিয়ে ছেলের মৃত্যু’

11824989_1644152809167070_8447376005027247755_n

রামু উপজেলার খুনিয়াপালং পূর্ব ধেছুয়াপালং এলাকায় রেজু খালে মাছ ধরতে গিয়ে বাবার সামনে ভেসে গিয়ে মারা গেছে মেহেদী হাসান (৭) নামের এক শিশু। এ ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা তানিম ও রনি মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছে। নিখোঁজ থাকার প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে আবুল কালামের ছেলে মেহেদী হাসানের (৭) মরদেহ পাওয়া গেলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে মরিচ্যা লাল ব্রিজের পূর্ব পাশে^ রেজু খালে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহত মেহেদী হাসানের বাবা আবুল কালাম জানান, শুক্রবার সকালে ধেছুয়াপালং এর রেজু খালে তিনিসহ তার ছেলে মেহেদী হাসান মাছ ধরতে যান। সাথে পাশ^বর্তী গ্রামের খুনিয়াপালং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফরিদুল আলমের ছেলে সাইমুম শাহরিয়ার তানিম ও মাহবুব আলমের ছেলে ইমরানুল হক রনি যান।
তাদেরকে খালের পাড়ে রেখে আবুল কালাম মাছ ধরতে খালে নামে। কিছু ক্ষন পর তার অগোচরে ওই তিন শিশু খালে নেমে পড়ে। এক পর্যায়ে ওই শিশুরা ডুবে যাওয়ার চিৎকার শুনে আবুল কালাম এগিয়ে গিয়ে তানিম ও রনিকে উদ্ধার করতে পারলেও তার ছেলে মেহেদী হাসানকে উদ্ধার করতে পারেনি।
পরে গ্রামবাসি ও কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কমান্ডার আবদুল মজিদের নেতৃত্বে একদল কর্মী উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। নিখোঁজ থাকার প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে আবুল কালামের ছেলে মেহেদী হাসানের (৭) মরদেহ পাওয়া যায়।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা আবদুল মজিদ সাংবাদিকদের জানান, এলাকার খেটে খাওয়া বাসিন্দা আবুল কালাম তার ছেলে মেহেদী হাসানকে নিয়ে মরিচ্যা লাল ব্রিজের কাছে খালে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। ওই সময় আরো দুই শিশু তাদের সঙ্গে যায়।
তিনি জানান, নিখোঁজ শিশুদের মধ্যে এলাকাবাসী তানিম ও রনি নামের দুই শিশুকে জীবিত উদ্ধার করেন। পরে দীর্ঘ সময় অনুসন্ধান চালিয়ে গ্রামবাসির সহযোগিতায় দমকল বাহিনী নিখোঁজ শিশু মেহেদী হাসানের লাশ উদ্ধার করেন।
এদিকে বাদে আছর নিহত মেহেদী হাসানের জানাযার শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
অপরদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও নিহতের পরিবারের কাছে সমবেদনা জানাতে যান খুনিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ। তিনি শিশু মেহেদী হাসানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

 
এদিকে রামুতে নৌকাডুবির ৩দিন পর নিখোঁজ ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের হাইটুপি ভুতপাড়া এলাকায় বাঁকখালী নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় নিখোঁজ ছাত্র ওসমান গণির (৯) লাশ উদ্ধার করা হয়। সে কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ডাকভাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র এবং কচ্ছপিয়ার ফকিরনির চর এলাকার আবদু শুক্কুরের ছেলে।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিদ্যালয় ছুটির পর সহপাঠীদের সাথে ওসমান গণি নৌকায় চড়ে বাঁকখালী নদী পার হওয়ার সময় নৌকাটি ডুবে যায়। এতে নৌকার অন্য যাত্রীরা কুলে উঠতে পারলেও ওসমান গণি নদীর ¯্রােতে ভেসে যায়। অনেক খোঁজাখুজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তিনদিন পর গতকাল শুক্রবার (৭ আগষ্ট) সকালে ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের হাইটুপি এলাকায় বাঁকখালী নদীতে ভাসমান অবস্থায় একটি ছেলের লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবরটি জানাজানি হলে ওসমান গণির আত্মীয় স্বজন লাশটি ওসমান গণির বলে সনাক্ত করে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।