২৫ এপ্রিল, ২০২৪ | ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৫ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সেনা ও বিজিপির ২৮৮ সদস্য ফিরল মিয়ানমারে   ●  কক্সবাজার পৌরবাসির কাছে মেয়রের শেষবারের মতো ৫ অনুরোধ   ●  কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ, শৃংখলা জোরদারের  লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট, জরিমানা   ●  রামুতে নিরাপদ পানি ও উন্নত স্যানিটেশন  সুবিধা পেয়েছে ৫০ হাজার মানুষ     ●  কক্সবাজারে ছাত্রলীগের ৫ লক্ষ গাছ লাগনোর উদ্যোগ   ●  মহেশখালীতে সাংসদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্টের অভিযোগ    ●  জেএস‌আরের বিরুদ্ধে উঠা সকল অভিযোগ কে অপপ্রচার বলে দাবি সভাপতি জসিমের   ●  ‘দশ হাজার ইয়াবা গায়েব, আটক  সিএনজি জিডিমূলে জব্দ   ●  বাংলাদেশ ফরেস্ট রেঞ্জার’স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা   ●  কক্সবাজার পৌরসভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুলের বরণ ও উপ-সহকারি প্রকৌশলী মনতোষের বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

পেকুয়ায় সংস্কার হচ্ছে ৪৮ গ্রামীণ সড়ক

কক্সবাজারের পেকুয়ার প্রত্যন্ত গ্রাম হিরাবনিয়া পাড়া। দীর্ঘ দিন ধরে উন্নয়নবঞ্চিত টৈটং ইউনিয়নের গ্রামটি। চলাচলের প্রধান সড়কটিই কাঁচা। দেড় কিলোমিটারের সড়কটি বর্ষায় থাকে কাদায় ভরা। শুষ্ক মৌসুমে ওড়ে ধুলাবালু। ফলে কষ্ট সয়ে চলাচল করতে হয় গ্রামের সাড়ে তিন হাজার মানুষকে। অবশেষে গ্রামবাসীর কষ্টের দিন শেষ হচ্ছে। ইট বিছানো হচ্ছে সড়কটিতে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কাশেম বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে এই গ্রামে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। উপজেলা পরিষদ থেকে চলতি অর্থবছরে সড়কটিতে ইট বিছানোর কাজ শুরু হয়। সড়ক যোগাযোগ ভালো না থাকায় এত দিন থমকে ছিল এলাকার সব ধরনের উন্নয়ন।’
একইভাবে কিছুদিন আগে টৈটং ইউনিয়নের শেরআলী মাস্টারপাড়ার এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটিতে ইট বিছানো হয়েছে। পেকুয়া ও বাঁশখালীর সীমান্তবর্তী গ্রাম নিত্যান্তঘোনা ও শের আলী মাস্টারপাড়ার লোকজন এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। এভাবেই বদলে যাচ্ছে পেকুয়া উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামগুলো।
পেকুয়া উপজেলা পরিষদ সূত্র জানায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকায় উজানটিয়া, টৈটং, শীলখালী, পেকুয়া সদর, রাজাখালী ও মগনামা ইউনিয়নের ৪৮টি গ্রামীণ সড়কের ইট বিছানোর কাজ চলছে। গত অর্থবছরে ইট বিছানো হয় ৩৪টি সড়কে। এতে ব্যয় হয় ১ কোটি ১১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহেদুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘এডিপি (বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) ও উপজেলা উন্নয়ন তহবিলের টাকায় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এভাবে পরিকল্পনামাফিক কাজ করলে আগামী পাঁচ বছর পর উপজেলায় আর কাঁচা সড়ক থাকবে না।’
পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ বলেন, পরিকল্পনা তৈরি করে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে পেকুয়ার উন্নয়নকাজ। বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে উন্নয়নবঞ্চিত এলাকার সমস্যা চিহ্নিত করে।
উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘ছোট ছোট সড়কে ইট বিছিয়ে দিচ্ছে উপজেলা পরিষদ। এ কারণে মানুষের যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হচ্ছে। ভোগান্তি কমছে শিক্ষার্থীসহ এলাকার মানুষের।’

সূত্র- প্রথম আলো

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।