২৩ এপ্রিল, ২০২৪ | ১০ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৩ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজারে ছাত্রলীগের ৫ লক্ষ গাছ লাগনোর উদ্যোগ   ●  মহেশখালীতে সাংসদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্টের অভিযোগ    ●  জেএস‌আরের বিরুদ্ধে উঠা সকল অভিযোগ কে অপপ্রচার বলে দাবি সভাপতি জসিমের   ●  ‘দশ হাজার ইয়াবা গায়েব, আটক  সিএনজি জিডিমূলে জব্দ   ●  বাংলাদেশ ফরেস্ট রেঞ্জার’স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা   ●  কক্সবাজার পৌরসভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুলের বরণ ও উপ-সহকারি প্রকৌশলী মনতোষের বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত   ●  জলকেলি উৎসবের বিভিন্ন প্যান্ডেল পরিদর্শনে মেয়র মাহাবুব   ●  উখিয়া সার্কেল অফিস পরিদর্শন করলেন ডিআইজি নুরেআলম মিনা   ●  ‘বনকর্মীদের শোকের মাঝেও স্বস্তি, হত্যার ‘পরিকল্পনাকারি কামালসহ গ্রেপ্তার আরও ২   ●  উখিয়া নাগরিক পরিষদ এর ঈদ পুনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

নিখোঁজের সাড়ে পাঁচ মাসেও খোঁজ মিলেনি রুপনের

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজারের ঈদগাঁওর শ্বশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি মহেশখালী যাবার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে নিখোঁজ হওয়ার সাড়ে ৫ মাসেও খোঁজ মিলেনি দু’সন্তানের জনক এক যুবকের। তিনি মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে টানা কয়েক বছর চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চলতি বছরের ২৫ মার্চ সকাল ৬টা হতে নিখোঁজের পর তাকে খুঁজে পেতে ঈদগাঁওর প্রতিটি এলাকা, মহেশখালীসহ পুরো জেলায় বিচরণ করছেন তার স্ত্রী। স্বামীকে খুঁজে না পেয়ে দু’সন্তানসহ মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন স্ত্রী লাকী দে।
নিখোঁজ রুপন কান্তি দে (৩০) মহেশখালী পৌরসভার গোরকঘাটা দক্ষিণ হিন্দু পাড়ার কালু রাম দে’র ছেলে। তিনি বিগত বছর পাঁচেক সময় হতে ঈদগাঁওর জালালাবাদ হিন্দু পাড়ায় শ্বশুর হৃদয় রঞ্জন দে’র বাড়িতে স্ত্রী ও দু’সন্তান নিয়ে বাস করতেন।
রুপনের সম্মন্ধি ঈদগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক রতন কান্তি দে জানান, বিগত ৯ বছর আগে আমার ছোট বোন লাকীর সাথে পারিবারিক ভাবে রুপনের বিয়ে হয়। সংসারে তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। বড় সন্তান দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে, ছোটটার বয়স এক বছর। রাজমিস্ত্রির কাজ করা রুপন বিয়ের কয়েক বছর পর তার মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। তখন থেকে ঢাকার জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইউনিটের অধ্যাপক ডা. শাহ আলমের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন। অসুস্থার কারণে কাজ করতে না পারায় স্ত্রী-সন্তানসহ তাকে আমাদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করানো হচ্ছিল। নিয়মিত ওষুধ সেবন করলে তিনি স্বাভাবিক থাকেন।
মাস্টার রতন আরো জানান, গত ২৫ মার্চ বাড়ির সবাইকে বলে মহেশখালী যাবার জন্য সকাল ৬টার দিকে বের হয় রুপম। মহেশখালী পৌঁছে মোবাইল করার কথা ছিল। কিন্তু বিকেল পর্যন্তও কল না আসায় মহেশখালী বাবার বাড়িতে ফোন করা হয়। তারা জানায় রুপন সেখানে যায়নি। এরপর পুরো বৃহত্তর ঈদগাঁওতে মাইকিং করা হয়। এভাবে ১১দিন মহেশখালীসহ পুরো কক্সবাজার তন্নতন্ন করে খোঁজার পরও না পেয়ে ৫ এপ্রিল ঈদগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি করে স্ত্রী লাকী দে (১৬৭/২০২২)। রুপনের ছবিসহ বিভিন্ন এলাকায় লিফলেটও সাঁটানো হয়েছে।
কিন্তু এখনো রুপনের খোঁজ মিলেনি। মাঝখানে এক জায়গায় তাকে দেখা গেছে জানার পর সেখানেও খোঁজ করে ব্যর্থ হয় আমরা। প্রেসক্রিপশন মতে ওষুধ না খেলে রুপন অপ্রকৃতস্থ হয়ে যায়। আমাদের শংকা নিয়মিত ওষুধ খাওয়া মিস হওয়ায় সে বাড়ি চিনতে পারছে না।
ঈদগাঁও থানার ওসি আবদুল হালিম বলেন, জিডি পেয়ে আমাদের মতো করে অনেক খুঁজে দেখেছি; এখনো পায়নি। তবে, প্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।