২৪ এপ্রিল, ২০২৪ | ১১ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৪ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ, শৃংখলা জোরদারের  লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট, জরিমানা   ●  রামুতে নিরাপদ পানি ও উন্নত স্যানিটেশন  সুবিধা পেয়েছে ৫০ হাজার মানুষ     ●  কক্সবাজারে ছাত্রলীগের ৫ লক্ষ গাছ লাগনোর উদ্যোগ   ●  মহেশখালীতে সাংসদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্টের অভিযোগ    ●  জেএস‌আরের বিরুদ্ধে উঠা সকল অভিযোগ কে অপপ্রচার বলে দাবি সভাপতি জসিমের   ●  ‘দশ হাজার ইয়াবা গায়েব, আটক  সিএনজি জিডিমূলে জব্দ   ●  বাংলাদেশ ফরেস্ট রেঞ্জার’স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা   ●  কক্সবাজার পৌরসভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুলের বরণ ও উপ-সহকারি প্রকৌশলী মনতোষের বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত   ●  জলকেলি উৎসবের বিভিন্ন প্যান্ডেল পরিদর্শনে মেয়র মাহাবুব   ●  উখিয়া সার্কেল অফিস পরিদর্শন করলেন ডিআইজি নুরেআলম মিনা

রামুতে নন্দন’র সংগীতায়োজন কচি প্রাণের হাসি-গান

নান্দনিক শুদ্ধতায় গড়ে উঠুক আগামী প্রজন্ম

নীতিশ বড়ুয়া,রামুঃ কক্সবাজারের রামুতে সুকুমার ও ললিতকলা পীঠ ‘নন্দন’ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘কচি প্রাণের হাসি-গান’। ‘জীবনকে সুন্দর করে গড়তে নন্দন’ শ্লোগানে শুক্রবার (১২ অক্টোবর) রাতে রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী মিলনায়তনে শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় নন্দন’র বার্ষিক সংগীতায়োজন। এ সংগীতের আসর উদ্বোধন করেন, রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রবীন শিক্ষাগুরু সাধন কুমার দে। নন্দন অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংগীতায়োজন সঞ্চালনা করেন, ‘কচি প্রাণের হাসি-গান’ প্রযোজনা অধিকর্তা অধ্যাপক নীলোৎপল বড়ুয়া ও নন্দন কর্ম পরিষদ আহ্বায়ক কন্ঠশিল্পী মানসী বড়–য়া।
সম্প্রতি জাতীয় পর্যায়ে দেশের গানে নন্দনের দুই শিক্ষার্থী মেহরিন রাহব্বাত ইপসিতা ও মেহজাবিন রুবাইয়াত ঈশিকা প্রথম স্থান (গোল্ড মেডেল) অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা ২০১৮ প্রতিযোগিতায় মেহরিন রাহব্বাত ইপসিতা (ক বিভাগে) ও মেহজাবিন রুবাইয়াত ঈশিকা (গ বিভাগে) এ কৃতিত্ব অর্জন করে। ‘কচি প্রাণের হাসি-গান’ সংগীতায়োজনে নন্দন’র দুই কৃতি শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধিত করা হয়। নন্দিত শিশু শিল্পীদের হাতে ক্রেষ্ট তুলে দিয়ে সংবর্ধিত করেন, প্রবীন শিক্ষাগুরু সাধন কুমার দে, রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও নন্দন অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ।
‘কচি প্রাণের হাসি-গান’ প্রযোজনা অধিকর্তা অধ্যাপক নীলোৎপল বড়ুয়া বলেন, শাস্ত্রীয় সংগীত হলো সংগীতের মূল ও ভিত্তি। নন্দন শাস্ত্রীয় সংগীতকে ভিত্তি ধরেই বিভিন্ন ধারার সংগীত শিক্ষা ও চর্চার কাজ করে। আমরা মনে করি সংগীতের শুদ্ধ রূপকে ধারণ করতে পারলে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চা আরো বিকশিত হবে।
‘নন্দন’ শিক্ষার্থীদের সমবেত কন্ঠে শুরু হয় ‘কচি প্রাণের হাসি-গান’ সংগীতায়োজন। এতে একক গানে রামুর সুকুমার ও ললিতকলা পীঠ ‘নন্দন’র শিক্ষার্থী নীলোৎপল বড়ুয়া, চিকু বড়ুয়া, শাহেদ কামাল, মেহেজাবিন রুবাইয়াত ঈশিকা, তাজকিয়া ইসলাম রিশপা, খাদিজা নূর মীম, রোদমিলা জারিয়াত অতসি, মেহেরিন রাহব্বাত ঈপসিতা, ঐন্দ্রিলা পাল তিশা, মির্জা আসিফ শাহরিয়ার, সামিরা, প্রেরণা বড়ুয়া, স্বরজিত বড়ুয়া শক্তি, শ্রাবন্তী বড়ুয়া, সুস্মিতা বড়ুয়া, শিমলা বড়ুয়া, প্রহেলী বড়ুয়া দিঘী, অনন্দ্রিলা বড়ুয়া রিয়া, সুপা বড়ুয়া, ফাইজা কালাম আসিফা, হিমাদ্রী বড়ুয়া, রাজর্ষি বড়ুয়া, অন্নি বড়ুয়া ও নন্দন অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন। সমবেত সংগীতে আরো অংশ নেয়, আয়ুষ দীপ্র শর্মা ওম, ওয়াসিত সরওয়ার সাহেল, রূপন্তী, বিশ্ববন্ধু কর্মকার, সৌমিক দে, মুলতাযাম নাযিয়াত অদ্রী, আবসির জান্নাত অর্থী, তৃষান্ত।
নন্দন’র শিক্ষার্থী পরিবেশনায় উদ্ভাসিত হয় ‘কচি প্রাণের হাসি-গান’। অনুষ্ঠানে তবলায় সঙ্গত করেন, শিল্পী রবিন চৌধূরী, গীটারে জুলফিকার আলী, কীবোর্ডে মিজানুল হক ও এস্রাজ বাজান রামুর সুকুমার ও ললিতকলা পীঠ ‘নন্দন’র উদ্যোক্তা রেজাউল করিম রেজু। বরেণ্য শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সংগঠক, কবি, আবৃত্তিকার ও সুশীল সমাজের অংশ গ্রহণে সংগীতের আসর মুখর হয়ে উঠে। নন্দন শিক্ষার্থীদের একের পর এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশনায় মুগ্ধ হন দর্শকরা।
নন্দন কর্ম পরিষদ আহ্বায়ক মানসী বড়ুয়া বলেন, রামুতে নন্দন নান্দনিক শুদ্ধতায় গড়ে উঠুক আগামী প্রজন্ম। সুন্দর ও বিশেষের প্রতি মানুষের আগ্রহ অসীম ও চিরন্তন। যা সুন্দর তাই সত্য। এই সুন্দর ও সত্যের নিমিত্তেই চলে মানুষের সুকুমারবৃত্তিক কর্মকান্ড। সুকুমারবৃত্তিক কর্মকান্ডের বিশেষ ও ব্যাপক ধারা সংগীত হয় ‘শুদ্ধ সংগীত’। শিক্ষা চর্চা ও পরিবেশনের মাধ্যমে শুদ্ধ সংগীতের ধারাকে প্রবাহমান রাখার মানসে ২০১০ সালে রামুতে যাত্রা করে সুকুমার ও ললিতকলা পীঠ ‘নন্দন’।
‘নন্দন’র উদ্যোক্তা রেজাউল করিম রেজু বলেন, রামুতে অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে নন্দন’র যাত্রা শুরু হয়েছে। রামুর সংগীত প্রিয় মানুষ নন্দনকে গ্রহণ করেছে। এতেই আমাদের সার্থকতা। সুধীজন, সংস্কৃতিজন ও বিশিষ্টজনের ভালবাসা, সহযোগিতা, পৃষ্ঠপোষকতায় নন্দন শুদ্ধ সংগীতের ধারা প্রবাহমান রেখে সমৃদ্ধ করতে পারবে দেশের সংগীতধারাকে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।