১৫ মে, ২০২৪ | ১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ৬ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে  তুলে নিয়ে   গুলি করে হত্যা   ●  যুগান্তর কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিমের পিতৃবিয়োগ   ●  জোয়ারিয়ানালায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত রামু কলেজের অফিস সহায়ক   ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু   ●  রামুতে ওসির আশকারায় এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে ‘সিভিল টিম’   ●  ড. সজীবের সমর্থনে বারবাকিয়ায় পথসভা   ●  কক্সবাজারে শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট রোবায়েত    ●  উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা   ●  বাহারছরা পুলিশের অভিযানে হত্যা চেষ্টা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার   ●  নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কচ্ছপিয়ার নোমান চেয়ারম্যানের হুমকি

‘দুই বছরেও ‘উন্নয়নের মুখ’ দেখেনি মরিচ্যা-গোয়ালিয়া রেজু খালের সেতু!

pic r2
‘ধ্বসে পড়ার দুইটি বছর অতিবাহিত হলেও ‘উন্নয়নের’ মুখ দেখেনিই রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইনানী মেরিন ড্রাইভ সংযোগ সড়কের মরিচ্যা গোয়ালিয়া রেজু খালের সেতু । জন গুরুপূর্ণ এই সেতুটি পূর্ণ নির্মানে কেউ এগিয়ে আসছে না। নানা সময় অনেকেই এই সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা কথার ফুলঝুরিতে সীমাবদ্ধ রয়েছে।
চলতি বর্ষার মৌসুমে নড়ে-বড়ে কাঠের সেতুটি ধ্বসে পড়ার আশংকা প্রকাশ করছেন এই সড়ক দিয়ে চলাচলরত হাজারো মানুষ। কিভাবে এই বর্ষার মৌসুমে রেজু খাল পারাপার করবে তা শংকিত রয়েছে অনেকেই।
গত বিএনপি জোট সরকারের আমলে মরিচ্যা-গোয়ালিয়া রেজু খালের উপর একটি বিশাল লম্বা সেতু নির্মাণ করা হয়। এই সেতু নির্মানের পর আরো মরিচ্যা বাজারের ব্যবসা-বানিজ্যে ব্যাপক প্রসার ঘটে।

স্থানীয়দের মতে, এ সেতু দিয়ে বৃহত্তর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পশ্চিম গোয়ালিয়া, পূর্ব গোয়ালিয়া, পেচারদ্বীপ, নয়াপাড়া, থাইংঘাকাটা, হিমছড়ি, ধোঁয়াপালং এলাকার লোকজনের যাতায়ত। প্রায় অর্ধলক্ষাধিক লোকজনের যাতায়ত এ সেতু দিয়ে। এই সেতুটি ২০১৩ সালের ২৪ আগষ্ট হঠাৎ ধ্বসে পড়ে। তৎক্ষানিক কক্সবাজার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীসহ অনেকেই এই সেতুটি নির্মানের প্রতিশ্রুতি দেয়।
তৎসময়ে (ধ্বসে) পড়ার পর প্রাথমিক ভাবে চলাচলের জন্য প্রায় ২ লাখ টাকার ব্যায়ে একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করে দেয় এই এলাকার তরুন সমাজ সেবক মরিচ্যা বাজারে টি-আর মার্কেট এ অবস্থিত এম এইচ এন্টারপ্রাইজ এর মালিক মোস্তাক আহমদ কোম্পানী।
দীর্ঘ দুই বছর এই কাঠের সেতু দিয়ে লোকজন চলাচল করলেও বর্তমানে এই কাঠের সেতুটি নড়ে- বড়ে হয়ে পড়েছে। রেজু খালের পানির ঢলে এই কাঠের সেতু ভেসে যাওয়ার আশংকা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসি।
এই কাঠের সেতুটি ভেসে গেলে আবারও নৌকায় ভরসা হতে হবে এই এলাকার বিশাল জনগোষ্টির।

এদিকে গেল রামু উপজেলার উপ-নির্বাচনে কক্সবাজার-সদর রামু আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল খুনিয়াপালং এলাকায় একাধিকবার সফর করেন। ওই সময়ে স্থানীয় এলাকাবাসি এই সেতুটি নির্মানের দাবি জানান। এমনকি এই সেতুর উপর দাড়িয়ে সাংসদ কমল তার প্রার্থী রিয়াজুল আলম নির্বাচিত হলে এই সেতু নির্মান করে দিবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেয়।
এই পর্যন্তও এই প্রতিশ্রুতি ‘লাল’ ফিতায় বন্ধী রয়েছে।
স্থানীয় কলেজ ছাত্র আবদুর রহিম জানান, এই এলাকার হাজারো ছাত্র-ছাত্রী এই সড়ক দিয়ে যাতায়ত করে আসছে। বর্ষায় কাঠের সেতুটি মেরামত না করলে দূর্ভোগ এ পড়তে হবে।
তিনি এলাকার বিত্তশালীদের কাঠের সেতুটি মেরামতের উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানিয়েছেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ি মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানিয়েছেন, এই সড়ক দিয়ে বৃহত্তর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পশ্চিম গোয়ালিয়া, পূর্ব গোয়ালিয়া, পেচারদ্বীপ, নয়াপাড়া, থাইংঘাকাটা, হিমছড়ি, ধোঁয়াপালং এলাকার লোকজনের যাতায়ত। প্রায় অর্ধলক্ষাধিক লোকজনের যাতায়ত এ সেতু দিয়ে। এই সেতুটি আবারও ধবসে পড়লে এলাকার লোকজনের দূর্ভোগ পোহাতে হবে।
এই ব্যাপারে তিনি স্থানীয় চেয়ারম্যানের সু-সৃষ্টি কামনা করেন।

পূর্ব গোয়ালিয়াপালং এলাকার তরুন সমাজ সেবক মরিচ্যা বাজারের এম এইচ এন্টারপ্রাইজ এর মালিক মোস্তাক আহমদ কোম্পানী জানান, ইতিমধ্যে এই সেতুটি পূর্ণ মেরামতের দাবি তুলেছেন এলাকাবাসি। বৃষ্টি থামলে আবারও এই কাঠের সেতুটি মেরামত করে দেয়া হবে তার পক্ষ থেকে।
তিনি আরও জানান, বর্ষার পরে কক্সবাজার-সদর রামু আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের সাথে সাক্ষ্যত করে এই সেতুটি স্থায়ী নির্মানের দাবি জানাবো।

খুনিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ জানান, এই সেতুটি নির্মানের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বর্ষার পরে কাজ শুরু হবে এমন আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

ফাইল ছবি

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।