২৪ এপ্রিল, ২০২৪ | ১১ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৪ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ, শৃংখলা জোরদারের  লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট, জরিমানা   ●  রামুতে নিরাপদ পানি ও উন্নত স্যানিটেশন  সুবিধা পেয়েছে ৫০ হাজার মানুষ     ●  কক্সবাজারে ছাত্রলীগের ৫ লক্ষ গাছ লাগনোর উদ্যোগ   ●  মহেশখালীতে সাংসদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্টের অভিযোগ    ●  জেএস‌আরের বিরুদ্ধে উঠা সকল অভিযোগ কে অপপ্রচার বলে দাবি সভাপতি জসিমের   ●  ‘দশ হাজার ইয়াবা গায়েব, আটক  সিএনজি জিডিমূলে জব্দ   ●  বাংলাদেশ ফরেস্ট রেঞ্জার’স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা   ●  কক্সবাজার পৌরসভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুলের বরণ ও উপ-সহকারি প্রকৌশলী মনতোষের বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত   ●  জলকেলি উৎসবের বিভিন্ন প্যান্ডেল পরিদর্শনে মেয়র মাহাবুব   ●  উখিয়া সার্কেল অফিস পরিদর্শন করলেন ডিআইজি নুরেআলম মিনা

থমকে আছে কক্সবাজারের মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প

index
সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত পদ্মাসেতু নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে চললেও ধীর গতিতে চলছে কক্সবাজারের মাতারবাড়ি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী এই প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ হওয়া নিয়েও শঙ্কিত সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, ২০১৪ সালে নেওয়া সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার-প্রাপ্ত সাত প্রকল্পের মধ্যে গতি নেই মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের কাজে।
সূত্রমতে,সরকারের অন্যতম প্রকল্প মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের যৌথ উদ্যোগে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএস) কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর মাতারবাড়ি ও ধলঘাটা ইউনিয়নে ২০১৪ সালের জুলাইতে শুরু হয়ে ২০২৩ সালের জুন এই মেয়াদে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি মূল্যমানের এ উন্নয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। কয়লাভিত্তিক এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার ৯৮৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিলের ৪ হাজার ৯২৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
জাইকার অর্থায়ন ২৮ হাজার ৯৩৯ কোটি ৩ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ২ হাজার ১১৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। প্রকল্পের প্রধান উপাদান ২টি ইউনিটে ৬’শ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি স্টিম টারবাইন, সার্কুলেটিং কুলিং ওয়াটার স্টেশন স্থাপন, ২৭৫ মিটার উচ্চতার ২টি স্টেক, আবাসিক এবং সামাজিক এলাকা গঠন, পানি শোধন ব্যবস্থা, সাব-স্টেশন, গভীর সমুদ্রে জেটি (বন্দর) কয়লা সংরক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনা, অ্যাশ ডিসপোজাল এরিয়া এবং বাফার জোন নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্পটির ব্যয় খাত সম্পর্কে জানা যায়, পাওয়ার প্ল্যান্ট (সিভিল), জেটি দুই কিলোমিটার লম্বা, ২৫০ মি. চওড়া এবং ১৮ মিটার গভীর চ্যানেল নির্মাণ বাবদ ৭ হাজার ৯১ কোটি টাকা ব্যয় হবে। পাওয়ার প্ল্যান্ট বয়লার বাবদ ৮ হাজার ৩৭ কোটি টাকা, পাওয়ার প্ল্যান্ট টারবাইন ও জেনারেটর বাবদ ৪ হাজার ৫শ ৭৯ কোটি টাকা, পাওয়ার প্ল্যান্টের কয়লা ও উৎপন্ন এ্যাশ ব্যবস্থাপনা বাবদ ২ হাজার ২শ ২৩ কোটি টাকা, ট্রায়েল রান বাবদ এক হাজার ৯শ ২৬ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
এ ছাড়াও টাউনশিপ উন্নয়ন বাবদ ২শ ২৫ কোটি, পরামর্শক খাতে ৫শ ৭ কোটি টাকা, ইন্স্যুরেন্স, লোকাল ট্রান্সপোর্ট ও পোর্ট হ্যান্ডেলিং বাবদ ১ হাজার ৭ কোটি টাকা, জমি অধিগ্রহণ রিসেটলমেন্ট প্ল্যান ও ভূমি উন্নয়ন বাবদ ৪০৮ কোটি টাকা, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন বাবদ এক শ’ কোটি টাকা, সিডি-ভ্যাট বাবদ এক হাজার ৭শ ২৬ কোটি টাকা, ইরেকশন, কমিশনের উপর ভ্যাট ও আয়কর বাবদ এক হাজার ১৮২ কোটি টাকা, পল্লী বিদ্যুতায়ন বাবদ ৭১ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
এই পাওয়ার প্ল্যান্টটি থার্মাল এফিসিয়েন্সির দিক থেকে পৃথিবীর মধ্যে সর্বোচ্চমানের। এর থার্মাল এফিসিয়েন্সি ৪১ দশমিক ৩ ভাগ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেটা ৩৫ ভাগ, ভারতে ২৯ ভাগ, ইউকে, জার্মানি এবং ফ্রান্সে ৩৮ভাগ, এমনকি খোদ জাপানেও ৪০ ভাগ। জনগুরুত্বপূর্ণ ও দেশীয় অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন দ্রুত করতে ফাস্টট্র্যাকে যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।