১৮ এপ্রিল, ২০২৪ | ৫ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৮ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  উখিয়া সার্কেল অফিস পরিদর্শন করলেন ডিআইজি নুরেআলম মিনা   ●  ‘বনকর্মীদের শোকের মাঝেও স্বস্তি, হত্যার ‘পরিকল্পনাকারি কামালসহ গ্রেপ্তার আরও ২   ●  উখিয়া নাগরিক পরিষদ এর ঈদ পুনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত   ●  আদালতে ফরেস্টার সাজ্জাদ হত্যার দায়স্বীকার সেই ডাম্পার চালক বাপ্পির   ●  ‘অভিযানে ক্ষুব্ধ, ফরেস্টার সাজ্জাদকে পূর্বপরিকল্পনায় হত্যা করা হয়’   ●  ফাঁসিয়াখালীতে পৃথক অভিযানে জবর দখল উচ্ছেদ, বালিবাহী ডাম্পার জব্দ   ●  অসহায়দের পাশে ‘রাবেয়া আলী ফাউন্ডেশন’   ●  ফরেস্টার সাজ্জাদ হত্যার মূল ঘাতক সেই বাপ্পী পুলিশের জালে   ●  ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার,ক্র্যাকের সভাপতি জসিম, সম্পাদক নিহাদ   ●  নতুন জামাতে রঙিন ১০০ শিশুর মুখ

টপ অব দি ইয়াবা

Rafiqul Islam Sohelইয়াবা কিভাবে জনগণের হাতে পৌছে? ইয়াবার সাথে কোন শ্রেণির মানুষ জড়িত? কোন পথ ব্যবহার করে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা? ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কোন স্থানগুলি খুব নিরাপদ? বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় মরণনেশা ইয়াবা পাচার হচ্ছে কিভাবে, যারা রক্ষক তাদের মাধ্যমে কি? পত্রিকার পাতা খুললে দেখা যায়- পুলিশ, বিজিবি না হয় র‌্যাব ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করেছে। জনগণের কৌতুহল এত ইয়াবা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীরা জব্দ করে, তবে কিভাবে মরণনেশা ইয়াবা দেশের সবখানে পৌঁছে যাই। “মগর কোছ কালা হে”, এখানে কিছু রহস্য রয়েছে তাদের মধ্যে, যারা আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত। কক্সবাজারে অনেক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত কর্তাদের মুখে বলে, শুনা যায় আমরা মরণনেশা ইয়াবার বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করবো। আসলেই কথাও কতটুকু যথাযথ বলাতো যায় না। কি বলব! দেশের হর্তা-কর্তাদের মধ্যে অধিকাংশ নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের কথা ও কাজের মধ্যে ছিল নেই। তারা বলে এক করে আরেক এক। এই দেশে কি সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা? আজ নিরাপত্তার কারণে তো দেশে মরণনেশা ইয়াবা জোয়ার-ভাটার মতো চলমানশীল। বিক্রি হচ্ছে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে আর বিক্রি করছে শহরের সব চেয়ে পরিচিত লোক, যারা দেশের হর্তা-কর্তাদের সাথে বসে খেলে খাই। সবচেয়ে বড় কথা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন তাদেরকে একদম কাছ থেকে চিনে। তাদের কাছে ইয়াবা ট্যাবলেট কিভাবে আসে, তাদের কাছে আসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু লোকজনের মাধ্যমে। যখন টেকনাফ হইতে কক্সবাজার প্রায় ৭০ কিলোমিটার পথে বর্ডার গার্ড সহ র‌্যাব-পুলিশের কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রোডগুলো। তবে কেন বাংলাদেশের শহরগুলিতে যেমন, আবার তেমন স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যন্ত মরণনেশা ইয়াবা পৌঁছে যাচ্ছে। নিশ্চয় জনগণের প্রশ্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীদের ইন্ধন রয়েছে। এই মরণনেশা ব্যবহারকারীর জন্য দেশের হাজার হাজার মেধাসম্পন্ন ছাত্র-ছাত্রী নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে সুন্দর জীবনটি ধ্বংসের পথের পথিক হয়ে গেছে। সাথে তাদের পিতা-মাতার আশা-ভরসা চুরমার হয়ে গেছে, নষ্ট করে দিল অর্থসম্পদ এদের জন্য দায় কারা? প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতা, মরণনেশা ইয়াবা পাচারকারীরা? হ্যাঁ, ইয়াবা পাচারকারীরা প্রতিনিয়ত পাচার করে যাচ্ছে, আর রাজনৈতিক ইন্ধন দিয়ে যাচ্ছে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন তাদের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে সম-পরিমাণ ভাগবাটোয়ারা করে ইয়াবা পাচার করতে সহযোগিতা করছে। তা যদি না হয় কিভাবে জনগণের হাতে মরণনেশা ইয়াবা পৌঁছে। পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায় কিছু চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী ঘুরাফেরা করতে দেখা যাই এবং তাদের সাথেও কিছু পুলিশ প্রশাসনের ব্যক্তিদের সাথে আড়ালে গিয়ে কথা বলে। তাহলে আমরা সাধারণ মানুষ কি মনে করবো? জানা যায়, কক্সবাজারের ডিবি অফিসের কিছু এস.আই এখন আগুল ফুলে কলাগাছ।
ডিবি সদস্য কোন ইয়াবা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করলে তখন তাদের কাছ থেকে যদি ১০ হাজার পিস ইয়াবার ট্যাবলেট পেয়ে থাকে তখন ওই ব্যবসায়ীকে ৩ হাজার ইয়াবা দিয়ে চালান করে। প্রশ্ন বাকী ৭ হাজার ইয়াবা চালান কোথায় গেলো? নিশ্চয় বাকী ট্যাবলেটগুলো বাহিরে বিক্রি করে দেয়, যা নির্দ্বিধায় বলা যায়। তাহলে সাধারণ জনগণ কার উপর আস্থা রাখবে? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী বেশ কয়জন প্রশাসনের কর্তাদের নাম তালিকায় রয়েছে, যারা ইয়াবা ও মানবপাচারের সাথে জড়িত রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের টপ অব দি নিউজ ইয়াবা গত ২০ জুন ফেনী থেকে ৭ লাখ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭। এর মধ্যে রয়েছে একজন এস.আই ও একজন ডাইভার। যদি রক্ষক যদি ভক্ষক হয়, তাহলে মরণনেশা ইয়াবা কেন দেশের সর্বত্রে যাবে না? কিছু মানুষের কাছ থেকে শোনা যায়- পুলিশ প্রশাসনের কতিপয় কয়েকজন এস.আই, ২/১ একজন সাধারণ কনস্টেবল সরাসরি ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে। যদি এরা জড়িত না থাকে তাহলে বলেন, এত ইয়াবা কক্সবাজার সহ বাংলাদেশ কিভাবে পাচার হয়? গত ২০ জুন ফেনীতে ৭ লাখ ইয়াবা সহ একজন এস.আই ও ড্রাইভারকে আটক। এতে বুঝা যায়- পুলিশের মতো যারা সীমান্ত রক্ষীরা ও আইন-শৃঙ্খলায় নিয়োজিত রয়েছে তাদের মাধ্যমে দেশে বড় চালানগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে বলে সচেতন মহল ধারণা করেন। উক্ত মহল আরো বলেন, এর চেয়ে বড় বড় চালান গোচরে- অগোচরে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে যায়। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সংশ্লিষ্টতা থাকার কারণে নজরে পড়লেও-শুনলেও না দেখা-শোনার মতো করে থাকে সেটিই স্বাভাবিক। একজন পুলিশ হর্তা-কর্তার সাথে আলাপ করতে শোনা যায় দেশের সব ধরনের অপরাধগুলো পুলিশের সংগোপনে নয় এমন কোন অপরাধী নেই। তাই সাধারণ জনগণ মনে করেন পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যদি সৎ, নিষ্ঠা ও সততার সহিত দায়িত্ব পালন করলে তাহলে দেশের বড় ধরনের কোন অপরাধী সংঘটিত হবে না ও মরণনেশা ইয়াবা পাচার বন্ধ হবে। গত ২০ জুন ফেনীর ৭ লাখ মরণনেশা ২ জনকে গ্রেফতারের বিষয়টি কেন্দ্র করে কক্সবাজারে একযোগে পুলিশের ১১ কর্মকর্তাকে বদলী আদেশ করেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। দেশকে মরণনেশা ইয়াবামুক্ত করতে হলে পুলিশ প্রশাসনকে সৎ, নিষ্ঠা ও সতাতার সহিত দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি দেশে রাজনৈতিক নেতাদের দেশপ্রেমের উদ্বুদ্ধ হয়ে ইয়াবার পাচারে জড়িত বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে সহযোগিতা হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। যে সকল পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মরণনেশা ইয়াবা ব্যবসা সহ পাচারে সাথে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে তাদেরকে দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় এনে শাস্তি বিধান করতে হবে। সাম্প্রতিক মোস্তাফিজুর রহমান দুই ম্যাচে ১১ উইকেট পেয়ে নিজ জেলা সাতক্ষীরা তথা বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে পরিচিতি করেছে এবং কক্সবাজার পুলিশ প্রশাসন ৭ লাখ ইয়াবা পাচারে গ্রেফতারে জড়িত থাকায় কক্সবাজার পরিচয় করে দিয়েছে।
রফিকুল ইসলাম (সোহেল)
সাংবাদিক/কলামিষ্ট
মোবাইল-০১৮২৮০৯০০৭৬ [email protected]

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।