১৭ মে, ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ৮ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবকিছু কঠোর থাকবে, অনিয়ম হলেই ৯৯৯ অভিযোগ করা যাবে   ●  উখিয়া -টেকনাফে শাসরুদ্ধকর অভিযানঃ  জি থ্রি রাইফেল, শুটারগান ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ৫   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে  তুলে নিয়ে   গুলি করে হত্যা   ●  যুগান্তর কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিমের পিতৃবিয়োগ   ●  জোয়ারিয়ানালায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত রামু কলেজের অফিস সহায়ক   ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু   ●  রামুতে ওসির আশকারায় এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে ‘সিভিল টিম’   ●  ড. সজীবের সমর্থনে বারবাকিয়ায় পথসভা   ●  কক্সবাজারে শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট রোবায়েত    ●  উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা

জেলার কার্গো ট্রলারশিল্পে অচলাবস্থা

talar
চলতি লবণ উৎপাদন মৌসুমে আশানুরূপ লবণ উৎপাদন না হওয়ায় ভয়াবহ লোকসানের মুখে পড়েছে জেলার লবণবাহী কার্গোবোট শিল্প ও এর মালিক-শ্রমিকরা। বৈরী আবহাওয়ায় মাঠপর্যায়ে লবণ উৎপাদনে ক্রমাগত বিঘœ ও মাঠে পর্যাপ্ত পরিমাণ অপরিশোধিত লবণ মজুদ না থাকায় ভাড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জেলার অন্ততঃ পাঁচ শতাধিক কার্গোবোট। এতে এ শিল্পে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
দেশের একমাত্র লবণ উৎপাদনকারী জেলা কক্সবাজারে উৎপাদিত অপরিশোধিত লবণ মাঠ থেকে বিভিন্ন মোকামে নৌপথে পরিবহন করার জন্য জেলাব্যাপী কার্গোবোট শিল্প গড়ে ওঠে। কাঠনির্মিত ছোট বড় এসব ট্রলার উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকা থেকে মোকাম ও লবণ কারখানায় লবণ পরিবহন করে থাকে। দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী ও কুতুবদিয়াসহ পেকুয়া, চকরিয়া টেকনাফ এবং সদর উপজেলার সমুদ্র উপকূলীয় দুর্গম বিভিন্ন লবণ উৎপাদন এলাকায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নত হওয়ায় এসব এলাকায় উৎপাদিত লবণ জলপথে পরিবহন করা হয় কার্গোবোটে করে। এছাড়া জলপথে খরচও তুলনামূলক কম। সাধারণত ৪/৫/৬ হাজার মন ধারণক্ষমতার কার্গোবোটগুলো কক্সবাজার থেকে ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, চাঁদপুর, ঝালকাঠি, বরিশাল ও খুলনাসহ বিভিন্ন দূরবর্তী মোকামে লবণ পরিবহন করে থাকে। এছাড়াও ৫০০ মন থেকে ৩০০০ মন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ছোট আকারের বোটগুলো সদরের ইসলামপুর শিল্প এলাকা, চট্টগ্রামের পটিয়া, মিলিটারী পুল ও মাঝিরঘাট পর্যন্ত চলাচল করে থাকে। কিন্তু লবণ উৎপাদন ও পরিবহনের ভরা মৌসুমে ভাড়ার অভাবে এখন অলস বসে আছে এসব বোট। সদরের জালালাবাদ ফরাজী পাড়ার ট্রলার মালিক মৌঃ মনজুর বলেন, প্রতিবছর লবণ উৎপাদন মৌসুমে জানুয়ারী-মে ৪/৫ মাস ভাড়া চলে। এছাড়া সারা বছরই কার্যত ট্রলার বসিয়ে রাখতে হয়। ট্রলার শ্রমিক মোস্তফা মাঝি বলেন, লবণ মৌসুমের আগে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করে ট্রলার মেরামত করে দিয়েছিল মালিকপক্ষ। ট্রলারের বডি, ইঞ্জিন, গিয়ারবক্স, হাল ও প্রপেলারসহ যাবতীয় যন্ত্রাংশ মেরামত করে মৌসুমের জন্য প্রস্তুত করে রাখার পরেও এখন লবণের অভাবে ভাড়া না পাওয়ায় বসে থাকতে হচ্ছে। এতে চরম লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন কার্গো ট্রলারের মালিক ও শ্রমিকরা। লবণ ব্যবসায়ী এনায়েত সিকদার বলেন, মাঠে লবণ না থাকায় সরবরাহ করা যাচ্ছে না। রোববার সরেজমিন ইসলামপুর শিল্প এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, খালে শত শত খালি কার্গোবোট অলস বসে আছে। কারখানা মালিকরা বলেন, দেশব্যাপী বিভিন্ন ভোক্তা-ব্যবসায়ীদের থেকে পরিশোধিত লবণ সরবরাহের প্রচুর অর্ডার পাওয়া সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় কাঁচামালের অভাবে সরবরাহ করা যাচ্ছে না। লবণ শিল্পের উন্নয়ন প্রকল্প (বিসিক) সূত্রে প্রকাশ, চলতি মৌসুমে কক্সবাজারে ১৮ লক্ষ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদনের লক্ষমাত্রা থাকলেও এ পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে মাত্র ১১ লক্ষ টন। ফলে লবণ সংকটের কারণে ভাড়া ও ট্রিপ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কার্গো ট্রলারগুলো।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।