১৪ মে, ২০২৪ | ৩১ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৫ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে  তুলে নিয়ে   গুলি করে হত্যা   ●  যুগান্তর কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিমের পিতৃবিয়োগ   ●  জোয়ারিয়ানালায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত রামু কলেজের অফিস সহায়ক   ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু   ●  রামুতে ওসির আশকারায় এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে ‘সিভিল টিম’   ●  ড. সজীবের সমর্থনে বারবাকিয়ায় পথসভা   ●  কক্সবাজারে শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট রোবায়েত    ●  উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা   ●  বাহারছরা পুলিশের অভিযানে হত্যা চেষ্টা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার   ●  নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কচ্ছপিয়ার নোমান চেয়ারম্যানের হুমকি

কালারমার ছড়া পুলিশ বিটের আইসি ফরিদের অমানবিকতা!

images4

মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া পুলিশ ফাঁড়ীর অমানবিকতা আর ক্ষমতা দেখল সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী। জানা গেছে, একজন স্কুল পড়–য়া ছাত্রীকে লাথি মেরে সংজ্ঞত কারনে তার নাম প্রকাশ করা হল না চলন্ত স্যালাইন খুলে অসুস্থ যুবক সহ তিন জনকে আটক করে ফাঁড়ীতে নিয়ে গিয়ে টাকা আদায় করে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে খোদ এস আই ফরিদের বিরুদ্ধে। জানা যায় যে, কালারমারছড়া উত্তর নলবিলা দরগাহঘোনা এলাকায় কালারমারছড়া পুলিশ ফাঁড়ীর আইসি এস আই ফরিদসহ একদল পুলিশ কক্সবাজার উপকূলীয় সাংবাদিক ফোরামের জেলা সভাপতি দৈনিক সাগর দেশের প্রতিবেদক সাংবাদিক স.ম. ইকবাল বাহার চৌধুরীর ভিটা-বাড়ীতে মঙ্গলবার রাত এগারটায় হানা দেয়। তারা তার বড় বোনের বাড়ীতে প্রবেশ করে অস্ত্র তল্লাশী করার নাম দিয়ে এবং কোন কিছু না পেয়ে বাড়ীতে বেড়াতে আসা চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীর একজন মেহমান সহ তার ভাগিনা (দীর্ঘ দু‘মাস ধরে টাইফয়েডে আক্রান্ত ঐ সময় তার শরীরে স্যালাইন অর্ধেক চলন্ত অবস্থায় টেনে রক্তাক্ত করে)  ইসমাইল ও তার ভাই ইউনুছকে আটক করে ফাঁড়ীতে নিয়ে নয় হাজার টাকা আদায় করে ছেড়ে দেয়। সাংবাদিক ইকবাল জানান , টাকা না দিলে ডাকাতি ও হত্যা মামলায় আসামী করে চালান দেয়া হবে বলে হুমকি দিয়ে আইসি এ টাকা আদায় করেছেন। তিনি আরো জানান, তাহার পরিবারের কোন সদস্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কোন থানায় ওয়ারেন্টতো দুরের কথা কোন ধরনের মামলা, জিডি এমনকি পাড়ায় ও কোন ধরনের বিচার নাই। এভাবে দিনের পর দিন আটক বানিজ্য এবং ছাড় বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে বর্তমান আইসি যোগদানের পর থেকে। উল্লেখ্য যে গত প্রায় তিন বৎসর আগে ও তিনি কালারমারছড়া পুলিশ ফাঁড়ীতে থাকা অবস্থায় কালারমারছড়া  সোনার পাড়া পান বাজারে সিভিল পোষাকে চাঁদাবাজী করতে গেলে জনগনের রোষে পড়ে মার খেয়ে রক্তাক্ত জখম হয় এবং তৎকালীন পুলিশ সুপার সাথে সাথে তাকে কালারমারছড়া ফাঁড়ি থেকে বদলী করে থানায় নিয়ে আসে। তিন বৎসর পর আবার যোগদান করে আটক বানিজ্য শুরু করে। এল্কাা বাসী জানান, এসআই ফরিদ আসার পর থেকে এলাকার সাধারন জনগনের মাঝে আটক বানিজ্যের আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। এ ব্যাপারে অনুসন্ধানে জানা গেছে, মহেশখালী উপজেলার বর্তমান সবচেয়ে বেশি আটক বানিজ্য হচ্ছে কালারমারছড়া ইউনিয়নে। এ এলাকার সাধারণ মানুষ এখন পুলিশ দেখলে ভয়ে পালিয়ে যায়। আর যারা থাকে তারাও সন্ধ্যা হলে দরজা বন্ধ করে ঘর হতে বের হতে চায় না। কারন যাদের বাড়ীতে আসামী নাই সম্মানি ব্যক্তিদের বাড়ীতে অভিযান চালায় এস.আই ফরিদ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা আ.লীগের এক শীর্ষ নেতা জানান, এস আই ফরিদ আ.লীগের নেতাদের উপর গভীর ভাব জমালেও বি,এনপি সমর্থিত সন্ত্রাসীদের সাথে রয়েছে গোপনে গভীর সম্পক। যার কারনে ওসমান চেয়ারম্যান, মুজিব উল্লাহ বাদল এস আই পরশ কুমার ত্রিপুরাসহ জাফর হত্যার আসামীদের না ধরে পুলিশ প্রতিদিন  নিরপরাধ নিরীহ লোকজনদের ধরে নিয়ে এসে বিটে আটক বাণিজ্য করে অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য যে, এসআই ফরিদ উত্তর নলবিলা চালিয়া তলী নামক স্থানে প্রতিদিন বিভিন্ন মালবাহী চাঁদের গাড়ী থেকে চাঁদা আদায় করে বলে জানান লাকড়ী ব্যবসায়ী আব্দুল হক। অথচ প্রতিনিয়ত ডাকাতি হচ্ছে মাতারবাড়ী সংযোগ সড়কে। ডাকাতদের সাথে তার গোপন সংযোগের কথা জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জনপ্রতিনিধি। চালিয়া তলীর ইয়াবা ব্যবসায়ী, মানবপাচারকারী ও বিভিন্ন ডাকাতী মামলার দাগী আসামী ডাকাত সর্দার শফিক আহমদ , নাজেম ডাকাত ও এলাকার টাউট নামে খ্যাত লোকমানের সাথে মিলে উত্তর নলবিলায় টাকা আদায় করতে পারবে এমন লোকদের টাগের্ট করে তাদের বাড়ীতে হানা দিয়ে আটক করে ফাঁড়ীতে এনে টাকা আদায় করে ছেড়ে দেয় বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী এক লোক। সাংবাদিক স.ম.ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান , পেশাগত দক্ষতা বিষয়ক এক প্রশিক্ষনের জন্য তিনি এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন সেখান থেকে আসলে এসআই ফরিদের বিরুদ্ধে সংশিলষ্ট প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ সুপার এবং চট্টগ্রাম বিভাগিয় ডিআই জি বরাবরে এ বিষয়ে অভিযোগ দাখিল করবেন। এ বিষয়ে কালার মার ছড়া পুলিশ ফাঁড়ীর আইসি এসআই ফরিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন অভিযান চালানোর সময় ডাকাত ভেবে তাদের আটক করা হয়, পরে তদন্ত করে দেখা যায় তারা ডাকাত নয় তাই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অমানবিক ভাবে অসুস্থ যুবককে আটকের বিষয়ে কোন মন্তব্য না করলেও টাকা নেওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল-চকরিয়া) মোঃ মাসুদ আলমের সাথে ফোনে কথা হলে, লিখিত অভিযোগ পেলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।