২৯ মার্চ, ২০২৪ | ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ | ১৮ রমজান, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  উখিয়ায় পাহাড় চাপা পড়ে রোহিঙ্গা শ্রমিকের মৃত্যু   ●  স্বদেশ ফিরতে ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সমাবেশ   ●  মহাসড়কে ফুটপাত দখলমুক্ত করার উদ্যোগ রামু ক্রসিং হাইওয়ে থানার   ●  কক্সবাজারে হাফেজ মুশফিকুর রহমানকে সংবর্ধনা দিল ছাত্রলীগ   ●  রামুতে এক ঘন্টার ব্যবধানে স্কুল ছাত্রসহ হতাহত চার   ●  সুগন্ধা পয়েন্টের লাল মিয়াসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা   ●  সাংবাদিক রাশেদুল মজিদের উপর পুলিশের হামলা, এক সদস্যের তদন্ত কমিটি   ●  কক্সবাজারে ট্রাফিক পুলিশের ‘আসকারায়’ যত্রতত্র পার্কিং, কোটি টাকার বাণিজ্য   ●  কক্সবাজারে ট্রাফিক পুলিশের অনিয়ম-দূর্নীতি ও প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি   ●  ড্রাইভিং পেশায় মহিলাদের সুযোগ দিলেন সেভ দ্য চিলড্রেন ও সিএনআরএস

কক্সবাজার এলজিইডি অফিসে অনিয়ম-দুর্নীতির মহোৎসব উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি

oniyom
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এল.জিইডি) কক্সবাজার সদর উপজেলা অফিসে চলছে সরকারী অর্থ লুটপাটের মহোৎসব। গত ১৮ বছর ধরে একাধারে ঐ অফিসে কর্মরত উপসহকারী প্রকৌশলী হেলাল উদ্দীন ও উপজেলা প্রকৌশলী পরস্পর যোগসাজসে চলছে সরকারী মাল দরিয়ায়ে ডাল পদ্ধতিতে লুটপাট। শুধু তাই নয়, অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে পর্যটন জেলা কক্সবাজারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উক্ত এলজিইডি অফিসে লাখ টাকার সরকারী প্রকল্পকে কোটি টাকার উন্নীত করে লুটপাটের ফিরিস্তি ও।
জানা গেছে, এই অফিসের অধীনে সরকারী উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নকারী এমন কোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নেই যাকে শতাংশহারে ঘুষ দিতে হয় না। সূত্র জানায়, উপসহকারী প্রকৌশলী পদে কর্মরত শাখা কর্মকর্তা (এস.ও) হেলাল উদ্দীনের প্রকাশ্য দুর্নীতিতে নিমজ্জিত উক্ত প্রতিষ্ঠানে উপজেলা প্রকৌশলীদের উপরও চলে তার খবরদারী। সুত্র মতে, বাংলাদেশের সরকারী কর্মচারীদের ইতিহাসে নজিরবিহীন ভাবে একটানা ১৮ বছর একই কর্মস্থলে একই পদে বহাল তবিয়তে থাকার সুযোগটি কাজে লাগিয়ে এস.ও হেলাল উদ্দীন সবসময় ধরাকে সরজ্ঞানে পরিণত করেন। তাঁর আকণ্ঠ দুর্নীতির কারনে গত বছরের প্রথম দিকে দুর্ঘটনায় পতিত কক্সবাজার রাবারড্যাম প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মোক্তার চৌধুরী প্রকল্পের নাম ভাঙ্গিয়ে ৮৫ লক্ষ টাকার সরকারী কাজকে আড়াই কোটি টাকা বানিয়ে উক্ত অফিসে কর্মরত সাবেক উপজেলা প্রকৌশলীসহ নিজেরাই ভাগ বাটোয়ারা করে নেন। ঠিকাদার মোক্তার চৌধুরী অভিযোগ করেন, সরকারীভাবে তিনি যে ৮৫ লক্ষ টাকার কাজ পেয়েছিলেন, সেটিকে আড়াই কোটি টাকায় উন্নীত করে এস.ও হেলাল উদ্দীনরা যে আত্মসাৎ করেছে তা জানলেও তার করার কিছুই ছিল না। তিনি বলেন ঠিকাদার হিসেবে উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নকালীন সময়ে উক্ত অফিসে কর্মরত এস.ও হেলাল উদ্দীন কৌশলে তার কাছ থেকে অলিখিত বেশ কয়েকটি চেক নিয়ে নেন। এক পর্যায়ে উক্ত চেকগুলো দুর্নীতিবাজরা অপব্যবহার করে তার প্রতিষ্ঠানের নাম ভাঙ্গিয়ে সরকারী টাকা আত্মসাৎ করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, কক্সবাজার এলজিইডি অফিসের আরও বেশ কয়েকজন ঠিকাদার জানান, কক্সবাজার রাবারড্যাম প্রকল্পের আত্মসাৎকৃত সরকারী কোটি টাকার এ অংশ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ মোঃ আলমগীর চট্টগ্রাম জেলার তার পছন্দমত স্থানে বদলী হন। ঠিকাদারদের অভিযোগ গ্রামের বাড়ী কুষ্টিয়া জেলাধীন এস.ও একজন হেলাল উদ্দীন সরকারী কোন নিয়মে টানা ১৮ বছর একই স্থানে দাপটের সাথে অপকর্ম করে যাচ্ছেন তা কারো বোধগম্য নয়। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ ঠিকাদার ও কক্সবাজারের সুশীল সমাজের দাবী অবিলম্বে দুর্নীতিবাজ এস.ও হেলাল উদ্দীনকে কক্সবাজার এল.জি.ই.ডি অফিস থেকে বদলী করা না হলে সরকারী ভাবমুর্তি ক্ষুন্নের পাশাপাশি এই প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি কোনদিন বন্ধ হবে না।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে প্রতিবেদকের পক্ষ থেকে হেলাল উদ্দীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে দয়া করে তার বিরুদ্ধে কোন কিছু না লিখে তার সাথে অফিসে গিয়ে যোগাযোগের অনুরোধ জানান।
নিজের কর্মরত দপ্তরে সরকারী কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং অনিয়ম, দুর্নীতি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে উপজেলা প্রকৌশলীর নিজেদের ফেরেস্তা দাবী করে। কোন দুর্নীতি হচ্ছে না জানিয়ে প্রতিবেদককে তার অফিসে চায়ের আমন্ত্রন জানান।
কক্সবাজার জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদর উপজেলার সরকারী এই প্রতিষ্ঠানটিতে চলমান ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি প্রসঙ্গে অবহিত করা হলে নির্বাহী প্রকৌশলী কক্সবাজার এর কিছুই জানেন না বলে জানান। এক পর্যায়ে নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে দুর্নীতিবাজ এস.ও হেলাল উদ্দীন সরকারী কোন নিয়মে একই পদে ১৮ বছর ধরে অপকর্ম করে যাচ্ছেন জানতে চাওয়া হলে তিনি কোন সৎ উত্তর না দিয়ে প্রতিবেদককে লেখালেখি না করার অনুরোধ জানিয়ে মিলেমিশে থাকার পরামর্শ দেন।
এই অবস্থায় কক্সবাজারের সর্বমহলের দাবী উল্লেখিত ব্যাপারে উক্ত দপ্তরের কর্মকান্ড ও লুটপাটের বাস্তবতা গুলো উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত অপরিহার্য্য। তাদের দাবি তদন্ত টিম যদি গত ১৮ বছর ধরে এ অফিসের কর্মকান্ড গুলো খোঁজ খবর নেন তাহলে বেরিয়ে আসবে এস.ও হেলাল উদ্দীনরা সরকারী কত টাকা কোন কাজ কর্ম না করে নিজেরাই ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন তার বাস্তব চিত্র।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।