২০ এপ্রিল, ২০২৪ | ৭ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১০ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজার পৌরসভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুলের বরণ ও উপ-সহকারি প্রকৌশলী মনতোষের বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত   ●  জলকেলি উৎসবের বিভিন্ন প্যান্ডেল পরিদর্শনে মেয়র মাহাবুব   ●  উখিয়া সার্কেল অফিস পরিদর্শন করলেন ডিআইজি নুরেআলম মিনা   ●  ‘বনকর্মীদের শোকের মাঝেও স্বস্তি, হত্যার ‘পরিকল্পনাকারি কামালসহ গ্রেপ্তার আরও ২   ●  উখিয়া নাগরিক পরিষদ এর ঈদ পুনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত   ●  আদালতে ফরেস্টার সাজ্জাদ হত্যার দায়স্বীকার সেই ডাম্পার চালক বাপ্পির   ●  ‘অভিযানে ক্ষুব্ধ, ফরেস্টার সাজ্জাদকে পূর্বপরিকল্পনায় হত্যা করা হয়’   ●  ফাঁসিয়াখালীতে পৃথক অভিযানে জবর দখল উচ্ছেদ, বালিবাহী ডাম্পার জব্দ   ●  অসহায়দের পাশে ‘রাবেয়া আলী ফাউন্ডেশন’   ●  ফরেস্টার সাজ্জাদ হত্যার মূল ঘাতক সেই বাপ্পী পুলিশের জালে

উখিয়া-টেকনাফে উদ্বেগজনক হারে রোহিঙ্গা বাড়ছে

images

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট উদ্বেগজনক হারে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বাড়ছে। স্থানীয় এলাকাবাসীর মতে গত কয়েক মাসে উখিয়া টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার থেকে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা নাগরিক এদেশে অনুপ্রবেশ করেছেন। এরা পরবর্তীত সময়ে কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানা গেছে। সীমান্ত এলাকায় বিজিবি সদস্যদের আরো বেশি কঠোর নজরদারী বাড়ানোর দাবী করেছেন এখানকার সচেতন মহল। এসব রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের মূল হোতারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাহিরে। কক্সবাজারের উখিয়া, টেকনাফ ও পার্বত্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসছে অসংখ্য রোহিঙ্গা। বিগত ২০১৪ সালে এসব সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে প্রায় ৫ হাজার ৫শ ২১ জন রোহিঙ্গা নাগরিক এদেশে অনুপ্রবেশ করেন। পরে বিজিবির সদস্যরা মানবিক সহায়তা দিয়ে স্বদেশে ফেরত পাঠান। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে বিজিবি সদস্যরা ২ হাজার ৪শ ৬২ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে স্বদেশে ফেরত পাঠান। সম্প্রতি মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রদেশে সামরিক জান্তার অত্যচারে মুসলিম নাগরিকরা বিজিবি চোখ ফাঁকি দিয়ে এ দেশে প্রবেশ করছে। এছাড়াও সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রভাবশালী জন প্রতিনিধিদের ছত্রছায়ায় এসব রোহিঙ্গাদের আগমন ঘটছে। দেশের অস্থিরতার সুযোগে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে অনেকেটাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। শীঘ্রই রোহিঙ্গা প্রতিরোধের পাশা-পাশি স্থানীয় দালালদের ধরতে সাড়শি অভিযান পরিচালনা করবেন বলে বিজিবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সরজমিনে উখিয়ার সীমান্তবর্তী বালুখালী, থাইংখালী, পালংখালীর আনজুমানপাড়া ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম, তুমব্রু, বাইশপারী সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য রোহিঙ্গা নাগরিক এদেশে অনুপ্রবেশ করছে। বিজিবির সদস্যরা সীমান্ত এলাকায় রাত দিন কঠোর পরিশ্রম করছে। রোহিঙ্গা নাগরিকরা প্রথমে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে সীমান্তবর্তী বাড়ি গুলোতে আশ্রয় নেয়। পরে বিজিবির গতিবিধি দেখেই অন্যত্রে  তারা চলে যান। সম্প্রতি উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবির সংলগ্ন রোহিঙ্গা বস্তিতে কয়েক শতাধিক লোক মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে। কক্সবাজারস্থ বিজিবির সেক্টর কমান্ডার খালেকুজ্জামান বলেন, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং স্থানীয় দালালদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামবে বিজিবি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।