১৭ মে, ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ৮ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবকিছু কঠোর থাকবে, অনিয়ম হলেই ৯৯৯ অভিযোগ করা যাবে   ●  উখিয়া -টেকনাফে শাসরুদ্ধকর অভিযানঃ  জি থ্রি রাইফেল, শুটারগান ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ৫   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে  তুলে নিয়ে   গুলি করে হত্যা   ●  যুগান্তর কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিমের পিতৃবিয়োগ   ●  জোয়ারিয়ানালায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত রামু কলেজের অফিস সহায়ক   ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু   ●  রামুতে ওসির আশকারায় এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে ‘সিভিল টিম’   ●  ড. সজীবের সমর্থনে বারবাকিয়ায় পথসভা   ●  কক্সবাজারে শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট রোবায়েত    ●  উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা

উখিয়ার গহীন অরণ্যে গড়ে উঠা জঙ্গি আস্তানা গুঁড়িয়ে দিয়েছে যৌথ বাহিনী

Ukhiya Pic-04-06-2015
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির সংলগ্ন মধুরছড়ার সেই দুর্গম পাহাড়ের সরকারি বনভুমি দখল করে জঙ্গী অর্থায়নে গড়ে তোলা অর্ধশতাধিক রহস্যময় স্থাপনা অবশেষে গতকাল বৃহষ্পতিবার সকালে গুঁড়িয়ে দিয়েছে যৌথ বাহিনী। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) মোঃ আবদুস সোবহানের নেতৃত্বে বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও বন বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনীর প্রায় ৪ শতাধিক সদস্য বৃহস্পতিবার রাত ৩ টার দিকে প্রায় দেড় ঘন্টায় দুর্গম পাহাড়ের এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন। দ’ুটি বুলডোজার দিয়ে মাত্র সাড়ে ৩ ঘন্টার মধ্যেই অর্ধ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
সংশি¬ষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মোটা অংকের লেনদেনে বন কর্মীদের যোগসাজসে ১৫/২০ একর সরকারি বনভুমি দখল করে জঙ্গী সম্পৃক্ত বিদেশী এনজিওর অর্থায়নে এবং সশস্ত্র পাহারায় রাতারাতি অর্ধ শতাধিক সেমিপাকা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। এর আগেও একই এলাকায় জঙ্গী সম্পৃক্ত এনজিওর অর্থায়নে এরকম স্থাপনা স্থাপন তৈরি করা হয়েছিল। উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা আন্তর্জাতিক এনজিও মুসলিম এইড এবং তুরষ্কের আরো কয়েকটি এনজিওর ২৬ কোটি টাকার অনুদানে দুর্গম পাহাড়ে রোহিঙ্গাদের প্রশিক্ষণের জন্য এসব স্থাপনা নির্মাণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। বন বিভাগের সহকারি বন সংরক্ষক রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, সশস্ত্র পাহারা বসিয়েই বন কর্মীদের অজান্তে এসব রহস্যময় স্থাপনা গড়ে তোলা হয়।
জঙ্গী সম্পৃত্ত এনজিওর অর্থায়নে উখিয়ার মধুরছড়ার দুর্গম পাহাড়ে স্থাপনাগুলো নির্মাণের আগে রামু উপজেলার পানেরছড়া এলাকা এবং মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বালুখালী এলাকার বনভুমিতেও স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। উখিয়ার দুর্গম পাহাড়ে গত ৯ এপ্রিল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ৪ শতাধিক সদস্য নিয়ে একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী রহস্যময় স্থাপনাটি উচ্ছেদ করতে গিয়েছিল। স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র লোকজনের বাঁধার মুখে পড়ে। এ কারনে সে সময় উচ্ছেদ করা যায়নি। এমনকি রহস্যময় স্থাপনাগুলো অক্ষত রাখতে পাহাড়ে যাতায়াতের রাস্তা পর্যন্ত কেটে দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত এলাকার এমপি আবদুর রহমান বদি ঘটনাস্থলে এসে হস্তক্ষেপ করেন। তিনি যৌথ বাহিনীর সাথে এদিন এক বৈঠকে বসে স্থাপনাগুলো স্ব-উদ্যোগে সরিয়ে নেয়ার এক সপ্তাহের সময় নির্ধারণ করেন। সেই সাথে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে পাহাড়ের ভিতর এরকম পরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণের অর্থায়নের রহস্যও জানানোর কথা বলেন। এসব কারনে উচ্ছেদ কার্যক্রম এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়।
কিন্তু এক সপ্তাহের স্থগিতের কথা বলে দীর্ঘ প্রায় ২মাস পর্যন্ত উচ্ছেদ না করায় নানা কথা উঠে। শেষ পর্যন্ত সরকারের শীর্ষ মহলের নির্দ্দেশে বৃহষ্পতিবার এ উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো হয়। কক্সবাজারের দক্ষিন বন বিভাগের নবাগত বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আলী কবির উচ্ছেদের ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সরকারী বনভূমিতে গড়ে উঠা অর্ধ শতাধিক সেমিপাকা অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া সহ ২০ একর বন ভূমি জবর দখলকারীর কবল থেকে বেদখল মুক্ত করা হয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।