নার্সিং পেশাকে তার সরকার অনেক গুরুত্ব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চিকিৎসা সেবা উন্নত করতে শিগগির আরও ১০ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে, এজন্য পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। গাজীপুরের কাশিমপুরের সারাবোর তেঁতুইবাড়ি এলাকায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে নার্সিং কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমবার ক্ষমতায় এসেও আমরা নার্স নিয়োগ দিয়েছি। অনেক নীতিমালা শিথিল করেও নিয়োগ দিয়েছি। এই পেশাকে আমরা অনেক গুরত্ব দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘নার্সিং পেশাকে আমি সম্মান করি। একজন রোগী ডাক্তারের চিকিৎসা নেন বটে, কিন্তু একজন নার্সের হাতের স্পর্শ, সেবাযত্ন রোগীকে সুস্থ করে তোলে। সুস্থ হওয়ার প্রেরণা যোগায়। নার্সিং পেশাকে তাই আমি শ্রেষ্ঠ পেশা হিসেবে বিবেচনা করি।’

গাজিপুরে নার্সিং কলেজ স্থাপনের বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে অনেক শিল্প কলকারখানা রয়েছে। যেখানে শ্রমিকরা কাজ করেন। দুর্ঘটনা এবং অন্য কারণে তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার তেমন সুযোগ ছিল না। আজ থেকে সেই সুযোগ সৃষ্টি হল।

চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে হবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার দেশেই আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল তৈরিতে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তার সরকারের উদ্দেশ্য জনগণকে দারিদ্র্যের হাত থেকে তুলে আনা। জীবনমান উন্নত করা, যাতে তারা সম্মানজনক জীবন-জীবিকা করতে পারেন।’ সরকারের উদ্দেশ্য মানুষের সেবা করা ও স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘এই হাসপাতালের সঙ্গে আমরা একটি নার্সিং কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছি। আমাদের দেশে রোগীর তুলনায় নার্সের সংখ্যা অনেক কম। পাশাপাশি উন্নত মানের নার্সের ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি পূরণে এখানে নার্সিং কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।’

২০১১ সালের ১৪ জানুয়ারি এই হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এরপর ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতোসিরি মোহাম্মদ নজিব বিন তুন আবদুল রাজাক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোটবোন শেখ রেহানা যৌথভাবে এই হাসপাতালের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। মালয়েশিয়ার সেবা সংস্থা কামপুলান পেরুতান জহর এই আধুনিক হাসপাতালের সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছে। এটি পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারিত্তে বাস্তবায়িত হয়েছে।