১৯ মে, ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১০ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  এভারকেয়ার হসপিটালের শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. তাহেরা নাজরীন এখন কক্সবাজারে   ●  কালেক্টরেট চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সভাপতি আব্দুল হক, সম্পাদক নাজমুল   ●  ক্যাম্পের বাইরে সেমিনারে অংশ নিয়ে আটক ৩২ রোহিঙ্গা   ●  চেয়ারম্যান প্রার্থী সামসুল আলমের অভিযোগ;  ‘আমার কর্মীদের হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে’   ●  নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবকিছু কঠোর থাকবে, অনিয়ম হলেই ৯৯৯ অভিযোগ করা যাবে   ●  উখিয়া -টেকনাফে শাসরুদ্ধকর অভিযানঃ  জি থ্রি রাইফেল, শুটারগান ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ৫   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে  তুলে নিয়ে   গুলি করে হত্যা   ●  যুগান্তর কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিমের পিতৃবিয়োগ   ●  জোয়ারিয়ানালায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত রামু কলেজের অফিস সহায়ক   ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু

সৈকত পরিচ্ছন্নতায় অংশ নিলো ৬০০ স্কাউট

সমুদ্র সৈকতের পরিচ্ছনতায় অংশ নিলো কক্সবাজার জেলার ৬০০ স্কাউট। জেলা স্কাউট সমাবেশের অংশ হিসেবে এক পরিচ্ছনতা অভিযানে এই স্কাউটেরা বুধবার বেলা সাড়ে ৩ টায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্নতা কাজে অংশ নেন। জেলা প্রশাসন ও বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার রুহুল আমীন। সৈকতের লাবণী পয়েন্টে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী আবদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সাইফুল ইসলাম মজুমদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আনোয়ারুল নাসের, ট্যুরিস্ট পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী।
উদ্বোধনী বক্তব্যে বিভাগীয় কশিনার রুহুল আমীন বলেন, ‘কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত হিসেবে বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের অনেক মানুষ এই সৈকতকে চেনেন। তাইতো অনেকে ছুটে আসেন এই সৈকতে। এই কারণে কক্সবাজারের এই সৈকতের সব কার্যক্রমের মধ্যে সবার আগে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। স্কাউটেরা যে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাচ্ছে তা অবশ্যই মহৎ ও অনুকরণীয় উদ্যোগ। তাদেরকে অনুকরণ করে সকল মানুষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালালে এই সৈকত স্বমহীমায় বিশ্বের কাছে তার পরিচয় ধরে রাখতে সক্ষম হবে।’


জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, ‘কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে এক সঙ্গে এত শিক্ষার্থীর অংশ নেয়া বিরল। স্কাউটদের এই প্রশংসনী উদ্যোগকে আন্তরিক সাধুবাদ জানাচ্ছি। সৈকতে এই রকম একটি বড় পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো আমাদের দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা ছিলো। স্কাউটেরা আমাদের পরিকল্পনাকে বাস্তবায়নের সুযোগ করে দিলো। এই অনুপ্রেরণা থেকে আমরা আগামীতে আরো পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়ে সৈকতের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমকে বেগবান রাখবো। এর ফলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত তার মাধুর্য্য ধরে রাখতে সক্ষম হবে।’
জেলা স্কাউটটের সহকারী কমিশনার বিপ্লব কান্তি দে জানান, জেলা স্কাউটের চারদিন ব্যাপী সমাবেশ চলছে। এই সমাবেশের অংশ হিসেবে সৈকত পরিচ্ছন্নতা অভিযান করা হয়েছে। অভিযানে আট উপজেলার ৫৫ টি বিদ্যালয়ের ৬০০ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম স্কাউটের অন্যতম অংশ বলে জানান তিনি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী আবদুর রহমান জানান, স্কাউটদের পরিচ্ছন্নতা অভিযানে সৈকতের পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও বীচকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের লোকজনও অংশ নেন। সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পয়েন্ট গিয়ে অভিযানটি সফলভাবে শেষ হয়।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।