২০ মে, ২০২৪ | ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১১ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  এভারকেয়ার হসপিটালের শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. তাহেরা নাজরীন এখন কক্সবাজারে   ●  কালেক্টরেট চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সভাপতি আব্দুল হক, সম্পাদক নাজমুল   ●  ক্যাম্পের বাইরে সেমিনারে অংশ নিয়ে আটক ৩২ রোহিঙ্গা   ●  চেয়ারম্যান প্রার্থী সামসুল আলমের অভিযোগ;  ‘আমার কর্মীদের হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে’   ●  নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবকিছু কঠোর থাকবে, অনিয়ম হলেই ৯৯৯ অভিযোগ করা যাবে   ●  উখিয়া -টেকনাফে শাসরুদ্ধকর অভিযানঃ  জি থ্রি রাইফেল, শুটারগান ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ৫   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে  তুলে নিয়ে   গুলি করে হত্যা   ●  যুগান্তর কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিমের পিতৃবিয়োগ   ●  জোয়ারিয়ানালায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত রামু কলেজের অফিস সহায়ক   ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু

রামুতে হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কক্সবাজাজার রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানা এলাকার ঝন্টু ধর (২৫) নামে এক সেলুন ব্যবসায়ীকে হত্যা মামলার অনত্যম প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। ধৃত শ্রীমন্ত কর্মকারকে গতকাল আদালতে পাঠিয়েছে জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি পুলিশ।
সূত্র জানায়, ২ হাজার ১৫ সালে ২৬ ডিসেম্বর জোয়ারিয়ানালা পূর্ব জুলাল পাড়া এলাকার রতন ধরের ছেলে ঝন্টু ধরকে পিকনিকে নিয়ে যাবে বলে ঘর থেকে বের করে একই এলাকার শ্রীমন্ত কর্মকর্তার। ওই দিন ঘর থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফিরেনি ঝন্টু ধর। একদিন পর অনেক খোঁখুজির পর ঝন্টু ধরের গলাই ফাঁস লাগানো মৃতদেহ পাওয়া যায় স্থানীয় একটি পাহাড়ের নিচে। ওই মৃত দেহ উদ্ধারের সময় শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্নও পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ঝন্টু ধরের বাবা কক্সবাজারের রামু থানায় ২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার হত্যা মামলা নং ৩৫২/২০১৫। এই মামলা দায়ের হওয়ার পর দীর্ঘদিন পলাতক থাকে আসামীরা । অবশেষে মামালার এক বছরের কাছাকাছি সময়ে প্রধান আসামী শ্রীমন্ত কর্মকারের স্ত্রী ২ নং আসামী বাবলী কর্মকর্তার (বাপ্পী) কে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার স্বীকারোক্তিতে এই হত্যার পেছনে তার স্বামী শ্রীমন্ত কর্মকর্তারের নাম আসে। এবং গ্রেফতারকৃত আসামী স্পষ্ট ভাবে জবানবন্দী দেন যে তার স্বামীই ঝন্টু ধরকে গলাই ফাঁস দিয়ে ও বেধড়ক পিঠিয়ে হত্যা করে।
নিহত ঝন্টু ধরের বাবা রতন ধর জানান, পূর্ব শক্রতা কেন্দ্র করে আমার ছেলেকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিত ভাবে আমার ছেলেকে হত্যা করে শ্রীমন্ত কর্মকার ও তার স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার দিন ২০১৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর আমার ছেলের সন্ধান পাওয়া না যাওয়ায় অনেক খোঁজাখুজি হয়। একদিন পর জোয়ারিয়ানালার উত্তর মিঠাছড়ি পূর্ব কুলাল পাড়াস্থ শশ্মানের উত্তর পাশ্বস্থ রাবার বাগানের পাহাড়ের ঢালুতে আমার ছেলের গলায় রশি দ্বারা ফাঁসা লাগানো রশির এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিঠের আঘাতের চিহ্ন মৃতদেহ উদ্ধার করি।
রতন ধর বলেন, আমার ছেলের সৎকার করে ওই বছরের ২৭ ডিসেম্বর রামু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করি। এই মামলায় দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গত ৮ অক্টোবর রোববার সন্ধ্যায় কুতুপালংয়ের থাইংখালী এলাকায় জনতার হাতে আটক হয় মামলার প্রধান আসামী শ্রীমন্ত কর্মকার। পরে জনতা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)কে সোপর্দ করেন।
এই মামলা নিয়ে দীর্ঘ দুই বছর লড়াই করা বিজ্ঞ আইনজীবী মহিউদ্দিন খান জানান, দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে এই হত্যার মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার হয়েছে। আশা করি নিহতের পরিবার শতভাগ বিচার পাবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।