৫ মে, ২০২৪ | ২২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৫ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  বাহারছরা পুলিশের অভিযানে হত্যা চেষ্টা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার   ●  নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কচ্ছপিয়ার নোমান চেয়ারম্যানের হুমকি   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  নিরাপদ নুরুল আবছারকেই পছন্দ ভোটারদের   ●  আদালতে তিন মামলারই জবানবন্দি দিলেন অস্ত্র সহ গ্রেফতার সিরাজ   ●  টেকনাফে অপহরণ চক্রের সদস্য অস্ত্রসহ গ্রেফতার   ●  উপজেলা চেয়ারম্যান শফিউল্লাহর প্রার্থীতা বাতিলে হাইকোর্টে রিট   ●  প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর ৩০ বছরের পথচলা ও সাফল্য উদযাপন   ●  কক্সবাজার পৌরসভায় ৩ টি প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা   ●  কুতুবদিয়ায় সুপারডাইকে বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও পারাপারে ফেরী সার্ভিস চালুর দাবী

বেড়েই চলেছে রসুনের দাম

বাজারে সব পণ্যের দাম মোটামুটি স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েই চলেছে রসুসের দাম। দুই সপ্তাহ আগেও রসুনের বাজার ছিল স্থিতিশীল। গত সপ্তাহে পণ্যটির দাম বাড়ার পর আর কমছেই না বরং বেড়েই চলেছে। দুই সপ্তাহ আগে যে বিদেশি রসুন ছিল ১৭০-১৯০ টাকা কেজি তা গত সপ্তাহে বেড়ে দাঁড়ায় ১৯০-২০০ টাকা। এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই এ সপ্তাহে প্রতি কেজি বিদেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২১০-২৩০ টাকা। আমদানিকৃত রসুনের দামের প্রভাব পড়েছে দেশি রসুনের ওপরেও। প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২৫ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০-১১০ টাকা।
রসুনের এমন দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে শুক্রাবাদ বাজারের মুদি ব্যবসায়ী মো. নাইম জানান, পাইকাররা বলেন বিদেশি রসুনের আমদানি কম। আমদানি কম হওয়ায় দাম বেড়ে গেছে। যার প্রভাব দেশি রসুনের ওপরেও পড়েছে।
এদিকে রসুনের দাম বাড়লেও কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের দাম। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩২ টাকায় যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২-৩৪ টাকা কেজি। ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪-২৬ টাকায় যা গত সপ্তাহে ছিল ২৫-২৮ টাকা কেজি। আদা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৯০ টাকা কেজি।
চালের দাম আগে এক দফায় বেশ বাড়লেও এখন রয়েছে স্থিতিশীল। প্রতি কেজি স্বর্ণা ৪০-৪২ টাকা, পারিজা ৪৪-৪৬ টাকা, আটাশ ৪৬-৪৮ টাকা, নাজিরশাইল প্রকারভেদে ৪৬-৬০ টাকা, মিনিকেট ৫৩-৫৫ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চালের মতো আটা-ময়দার দাম স্থিতিশীল রয়েছে। খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ২৬-২৮ টাকা কেজি আর প্যাকেটজাত আটা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩২ টাকা কেজি। খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৩৪-৩৬ টাকা প্রতি কেজি আর প্যাকেটজাত ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪২ টাকা প্রতি কেজি। ডালের বাজারও রয়েছে আগের মতোই। দেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকা কেজি আর বিদেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা প্রতি কেজি দরে। মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকা কেজি, ছোলার ডাল ৯০-১০০ টাকা কেজি, আংকর ডাল ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
দুই একটা ব্যতিক্রম বাদে সবজির বাজারও রয়েছে স্থিতিশীল। যেসব সবজির দাম বেড়েছে তার মধ্যে পটল ৪৫-৫০ টাকা কেজি যা আগে ছিল ৩০-৪০ টাকা কেজি। টমেটোর দাম ৫ টাকা বেড়ে ৩৫-৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ঢেঁড়সের দাম কিছুটা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। আর কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ঝিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। স্থিতিশীল রয়েছে যেসবের দাম তার মধ্যে আলু ১৮-২২ টাকা কেজি, মরিচ ৫৫-৬০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৪৫-৫০ টাকা কেজি, বরবটি ৪৫-৫০ টাকা কেজি, বেগুন ৪০-৫০ টাকা কেজি, করলা ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ মাংসের বাজার আগের মতোই রয়েছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায় আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭৫০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি ১৫৫-১৬০ টাকা কেজি আর দেশি মুরগি ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছের মধ্যে রুই ২১০-২৩০ টাকা কেজি, তেলাপিয়া ১৩০-১৫০ টাকা কেজি, ইলিশ ৭০০-১২০০ টাকা কেজি, কাতলা ২১০-২৪০ টাকা কেজি, শিং ৬৫০-৭৫০ টাকা কেজি, পাবদা ৫০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।