৯ মে, ২০২৪ | ২৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৯ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  ড. সজীবের সমর্থনে বারবাকিয়ায় পথসভা   ●  কক্সবাজারে শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট রোবায়েত    ●  উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা   ●  বাহারছরা পুলিশের অভিযানে হত্যা চেষ্টা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার   ●  নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কচ্ছপিয়ার নোমান চেয়ারম্যানের হুমকি   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  নিরাপদ নুরুল আবছারকেই পছন্দ ভোটারদের   ●  আদালতে তিন মামলারই জবানবন্দি দিলেন অস্ত্র সহ গ্রেফতার সিরাজ   ●  টেকনাফে অপহরণ চক্রের সদস্য অস্ত্রসহ গ্রেফতার   ●  উপজেলা চেয়ারম্যান শফিউল্লাহর প্রার্থীতা বাতিলে হাইকোর্টে রিট

বাবার অনৈতিক সম্পর্কের বলি ৩ মেয়ে

 

বাবার অনৈতিক সম্পর্কের বলি ৩ মেয়ে

আবদুল্লাহ নয়ন, কক্সবাজার : কক্সবাজারের চকরিয়ায় তিন মেয়েকে গলা কেটে হত্যার কারণ বাবার অনৈতিক সম্পর্ক ও পারিবারিক কলহ। পুলিশ প্রাথমিকভাবে হত্যার পেছনে এ দুই কারণ নিশ্চিত হয়েছে।

চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ কামরুল আজম দ্য রিপোর্টকে জানান, ‘পুলিশ প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে পারিবারিক কলহ এবং পরকীয়ার জের ধরে তিন মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।’

বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) খাইরুল বশর দ্য রিপোর্টকে জানান, আবদুল গণি দুশ্চরিত্রের লোক। গত ৪-৫ বছর আগে থেকেই পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েন আবদুল গণি। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে গণির প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লাগত। ইউনিয়ন পরিষদেও অনেক সালিশ-বিচার হয়েছে।

নিহত শিশুদের মা ফাতেমা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী অন্য মেয়ের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এর প্রতিবাদ করতে গেলে প্রতিদিনই শারীরিকভাবে নির্যাতন করত। গত কয়েক দিন ধরে স্বামী নিরুদ্দেশ ছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে ফিরলে খাইরুল মেম্বারের কাছে বিচার দিই। তিনি আমাদের ডেকে নিয়ে বিচারও করেন। এ সময় স্বামী আমাকে বার বার মারধরের চেষ্টা করে এবং বাড়িতে গিয়ে সবাইকে পেটানোর হুমকি দেয়। মেম্বারের পরামর্শে আমি শ্বশুরবাড়িতে চলে যাই।’

নিহত শিশুদের মামা আজগর আলী দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘আবদুল গণি আমাদের বাড়িতে ঘরজামাই ছিল। তিন মেয়েকে নিয়ে সে রাতে ঘুমিয়েছিল। ভোরে আবদুল গণি ফোন করে জানায়, সে তার তিন মেয়েকে ‍খুন করেছে। এর পর থেকেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ঘটনার পর সে পালিয়ে যায়।’

তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে গিয়ে দেখি তিন ভাগ্নির গলাকাটা দেহ বিছানায় পড়ে আছে।’

নিহত শিশুদের নানী নুর আয়েশা বলেন, ‘রাতে নাতি রিফাত আমার কাছে ছিল, মেয়ে তিনটি ছিল তার বাবার কাছে। রিফাতকে ঘরে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবদুল গণি অনেক জোরাজুরি করে। কিন্তু রিফাতকে আমি ছাড়িনি। কারণ সে ছোটবেলা থেকে আমার সঙ্গেই ঘুমায়।’

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে বেশকিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। বাবা পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে চিরুনি অভিযান চলছে।’

শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরীপাড়ায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

নিহত শিশুরা হল- বদরখালী ইউনিয়নের নিদান তরানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী আয়েশা ছিদ্দিকা (১৩), শাহ জব্বারিয়া প্রি-ক্যাডেট মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী শিরো জন্নাত শিউলি (৯) ও প্রায় দুই বছর বয়সী তহুরা জান্নাত। তবে রাতে গণির কাছে না থাকায় বেঁচে যায় ছেলে মোহাম্মদ রিফাত (১৪) ও বউ ফাতেমা বেগম।

f

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।