২০ মে, ২০২৪ | ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১১ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  এভারকেয়ার হসপিটালের শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. তাহেরা নাজরীন এখন কক্সবাজারে   ●  কালেক্টরেট চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সভাপতি আব্দুল হক, সম্পাদক নাজমুল   ●  ক্যাম্পের বাইরে সেমিনারে অংশ নিয়ে আটক ৩২ রোহিঙ্গা   ●  চেয়ারম্যান প্রার্থী সামসুল আলমের অভিযোগ;  ‘আমার কর্মীদের হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে’   ●  নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবকিছু কঠোর থাকবে, অনিয়ম হলেই ৯৯৯ অভিযোগ করা যাবে   ●  উখিয়া -টেকনাফে শাসরুদ্ধকর অভিযানঃ  জি থ্রি রাইফেল, শুটারগান ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ৫   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে  তুলে নিয়ে   গুলি করে হত্যা   ●  যুগান্তর কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিমের পিতৃবিয়োগ   ●  জোয়ারিয়ানালায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত রামু কলেজের অফিস সহায়ক   ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু

ফুলছড়ি রেঞ্জে সামাজিক বাগান দখল উচ্ছেদ করতে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশ

কক্সবাজারের উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন ফুলছড়ি রেঞ্জের ২০০৪-০৫ সালের প্রায় ১০ হেক্টরের অধিক সামাজিক বাগান দখল উচ্ছেদ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিভাগীয় বন কর্মকতা ড. শাহি-ই আলম। গতকাল বুধবার দুপুরে তিনি সরেজমিন পরিদর্শণ পূর্বক এ নির্দেশ দেন। এসময় চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আলম, ফুলছড়ি এসিএফ মো: ইউছুপ, রেঞ্জ কর্মকর্তা কাজী মোকাম্মেল কবির, খুটাখালী বিট কর্মকর্তা আবদু রাজ্জাক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণসহ উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে ফুলছড়ি রেঞ্জের বন ভূমি স্থানীয় ভূমি খেকোরা দখল ও ঘর নির্মাণ চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি উপকার ভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় দৈনিক সহ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে বন বিভাগের টনক নড়ে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা। এসময় তিনি উপকার ভোগীদের সাথে কথা বলে স্থানীয় দখলবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও নির্মানাধীন ঘর উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। এক পর্যায়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আলম সামাজিক বাগান দখল করে যারা ঘর নির্মাণ করেছেন দলীয় লোক হলেও তাদেরকে ছাড় দেয়া হবেনা বলে জানিয়েছেন। এদিকে স্থানীয়রা প্রতিদিন বন নিধনযজ্ঞ ও পাহাড় কেটে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ চলতে থাকলে আগামীতে বনায়ন সৃজনের মতো আর কোন পরিবেশ থাকবেনা বলে মনে করছেন।
২০০৪-০৫ সালের ০৩ নং প্লটের উপকারভোগী ফাতেমা বেগম জানিয়েছেন ইতিমধ্যে তাদের প্লটে ২/৩ টির অধিক অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে বন বিভাগ একাধিকবার উচ্ছেদ করলেও সরকারী দলের নাম ভাঙ্গীয়ে এক শ্রেনীর পাতি নেতা গাছ কেটে পাহাড় দখল অব্যাহত রেখেছে। এদিকে একইদিন দুপুরে মধুর শিয়ার জবর দখল ও স্থাপনা পরিদর্শণ করেন সংশ্লিষ্টরা। উল্লেখ্য ফুলছড়ি রেঞ্জের বেশ ক‘টি সামাজিক প্লটের দলিল হস্তান্তর করা হলেও অন্যান্য বন ভূমি, বনদস্যূ, হেডম্যান ভিলিজার ও গাছ চোরদের থাবায় বেহাত হয়ে গেছে। আর ঐ সব বন ভূমিতে বর্তমানে হাজার হাজার ঘরবাড়ি ও অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। বিশেষ করে মেধাকচ্ছপিয়া ও ফুলছড়িতে ২ হাজার হেক্টর বন ভূমির জায়গা অবৈধ দখলদারদের দখলে রয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।