২৯ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৯ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই’র ১০তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  হোয়াইক্ষ্যং হাইওয়ে পুলিশের অভিযানে গুলিসহ দু’জন গ্রেফতার   ●  তীব্র তাপদাহে মানুষের পাশে মেয়র মাহাবুব   ●  টেকনাফে অপহরণ চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার   ●  মেয়র মাহাবুবের অর্থায়নে প্রতিবন্ধীদের মাঝে সহায়ক উপকরণ বিতরণ   ●  টেকনাফে ১০ কৃষক অপহরণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার, আদালতে জবানবন্দি    ●  বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সেনা ও বিজিপির ২৮৮ সদস্য ফিরল মিয়ানমারে   ●  কক্সবাজার পৌরবাসির কাছে মেয়রের শেষবারের মতো ৫ অনুরোধ   ●  কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ, শৃংখলা জোরদারের  লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট, জরিমানা   ●  রামুতে নিরাপদ পানি ও উন্নত স্যানিটেশন  সুবিধা পেয়েছে ৫০ হাজার মানুষ  

নীল নকশা

কক্সবাজারে তখন ভূমি অধিগ্রহণ, পানি শোধনাগার দুর্নীতি সহ বেশ কিছু তদন্ত কার্যক্রম চলমান। সেখানে একজন শীর্ষস্থানীয় আমলা সহ জেলার বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম আসে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তখন আমি বিভিন্ন ফোরামে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিকে সমর্থন করে এসব দুর্নীতির সমালোচনা করে বক্তব্য দিই।

আমার মুখ বন্ধে তখন ঐ দুর্নীতিবাজ চক্রটি একজন উপজেলা পর্যায়ের নেতার মাধ্যমে তাঁর সাথে বসার প্রস্তাব দেন। অন্যথায় প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দেন । আমি একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে আমলার হুমকিতে সমঝোতা করতে অস্বীকৃতি জানাই।

তখন ঐ সংঘবন্ধ চক্রটি একজন বিতর্কিত, বিদ্রোহী উপজেলা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আমার ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দেয়। এসব অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা না পাওয়ায় তখন অনুষ্ঠানিক তদন্ত হয়নি।

পরবর্তীতে পৌর ও ইউনিয়ন নির্বাচন কেন্দ্রীক দলীয় বিভাজনকে কাজে লাগায় ঐ দুর্নীতিবাজ চক্রটি। নির্বাচনে পরাজিত এক আলোচিত ইউপি চেয়ারম্যানকে (উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতা) দিয়ে পুনরায় অভিযোগ দেয়ানো হয়। এবার ঐ অবসরপ্রাপ্ত আমলা ও একজন পৌর মেয়র স্বশরীরে গিয়ে অভিযোগপত্র জমা দেন। ঐ আমলার অব্যাহত অপচেষ্টায় আমার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ অনুসন্ধানে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।

আমি একজন আইনপ্রনেতা হিসেবে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। পুরো তদন্ত প্রক্রিয়ায় আমি ও আমার পরিবারের সদস্যবর্গ পূর্ণ সহযোগিতা করবো। কিন্তু দুর্নীতিবাজ চক্রের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে নিজ দলের কিছু খন্দকার মোস্তাক ও এক দুর্নীতিবাজ আমলার প্রণীত নীল নকশা ইতিহাস হয়েই থাকবে।

উল্লেখ্য, আমার স্ত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। বিএনপির আমলে তাকে বদলী/চাকুরীচ্যুত করতে ষড়যন্ত্র হয়েছিল। আমার তিন সন্তান। বড় মেয়ে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স-মাস্টার্স। পাশাপাশি সাধারণ বীমা কর্পোরেশনে কর্মরত। আমার জামাতা গ্লোবাল স্কলার হিসেবে আমেরিকায় গ্রীন কার্ড পাওয়ার পরও আমার মেয়েকে নিয়ে পিএইচডি শেষে দেশে ফিরে বুয়েটে জয়েন করেছে।

আমার একমাত্র ছেলে মালয়েশিয়ায় একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষে দেশে ফিরে নিজ উপজেলায় একটি রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করছে। পাশাপাশি মাস্টার্সে অধ্যায়নরত। সে মাধ্যমিক থেকেই কক্সবাজারের অন্যতম মাদক বিরোধী সংগঠন স্বাধীন মঞ্চের অন্যতম সংগঠক হিসেবে মাদক ও বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলনে সম্পৃক্ত।

আমার পুত্রবধু এমবিবিএস শেষ করে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ইন্টার্নশীপ করছে। ছোট মেয়েটি বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজে একাদশ শ্রেণীতে অধ্যায়নরত। আমার পরিবারের সকল সদস্য সাদামাটা জীবন যাপনে অভ্যস্ত। আমি চাই তারা দৃঢ় প্রত্যয়ে এসব নীল নকশা ছিন্ন করে দেশের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করুক। দিনশেষে সত্যেরই জয় হবে, ইনশাআল্লাহ্…

-জাফর আলম এমপি
৪ আগষ্ট ২০২২ ইংরেজী
চকরিয়া, কক্সবাজার।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।