২১ মে, ২০২৪ | ৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১২ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  এভারকেয়ার হসপিটালের শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. তাহেরা নাজরীন এখন কক্সবাজারে   ●  কালেক্টরেট চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সভাপতি আব্দুল হক, সম্পাদক নাজমুল   ●  ক্যাম্পের বাইরে সেমিনারে অংশ নিয়ে আটক ৩২ রোহিঙ্গা   ●  চেয়ারম্যান প্রার্থী সামসুল আলমের অভিযোগ;  ‘আমার কর্মীদের হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে’   ●  নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবকিছু কঠোর থাকবে, অনিয়ম হলেই ৯৯৯ অভিযোগ করা যাবে   ●  উখিয়া -টেকনাফে শাসরুদ্ধকর অভিযানঃ  জি থ্রি রাইফেল, শুটারগান ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ৫   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে  তুলে নিয়ে   গুলি করে হত্যা   ●  যুগান্তর কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিমের পিতৃবিয়োগ   ●  জোয়ারিয়ানালায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত রামু কলেজের অফিস সহায়ক   ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু

দেশের অন্যতম খাটো মানুষ রামুর গর্জনিয়ায়


হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী : জাকের হোছনকে মনে হবে হাজেরা খাতুনের ছোট ভাই- নয়তো অন্যকিছু। অথচ সেই ধারণা ভুল। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী। ২০ বছরের অধিক সময় ধরে সংসার চলছে। কিন্তু সাংসারিক জীবনে সন্তানের দেখা পায়নি তাঁরা। তাদের বাড়ি কক্সবাজারের রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের শাহ মোহাম্মদপাড়ায়। জাকের ৪৫ বছরেও উচ্চতায় মাত্র সাড়ে ৩ ফুট। তবে ২৯ বছর বয়সি হাজেরার উচ্চতা ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকালে জঙ্গলঘেরা শাহ মোহাম্মদপাড়ায় গেলে এসব তথ্য জানা যায়। জাকের হোছন একই গ্রামের মৃত বাঁচা মিয়ার ছেলে। সে ছয় ভাই-বোনের মধ্যে দ্বিতীয়। একটি ঝুপড়ি ঘরে বউকে নিয়ে জীবন যাপন করছেন।
জাকের হোছন বলেন, ‘উচ্চতা কম হওয়ায় সব কাজ করা যায়না। সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হয়। এই জন্য চন্দ্রঘোনার লালপাহাড় থেকে লাকড়ি সংগ্রহ করি আর লতা দিয়ে হওর (গরুর মূখে কুলুপ) তৈরী করি। বাজারে এসব বিক্রি করে অল্প টাকা আয় হয়। এর পরও ঘর চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’
হাজেরা খাতুন বলেন, ‘খাটো স্বামীকে নিয়ে কোন আক্ষেপ নেই। তবে সন্তান না হওয়া নিয়ে মনে কষ্ট আছে। রাস্তার কাজ করে আমি প্রতিমাসে সাড়ে ৪ হাজার টাকা আয় করি আর স্বামী প্রতিবন্ধী ভাতা হিসাবে সরকার থেকে ছয় মাস অন্তর অন্তর ৩ হাজার ৬০০ টাকা পায়। মূলত এসব দিয়ে সংসার চলে না। ঘরে ভাল কাপড় নেই। বর্ষায় বৃষ্টির পানিতে থাকার ঘরটি ভিজে যায়।’ জাকেরের ছোট ভাই জাফর আলম জানান, ভাই-ভাবির সন্তান হচ্ছে না কেন সেটা পরীক্ষা করে দেখা দরকার। ডাক্তার বলেছে তা ব্যায়বহুল।
এদিকে গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘জাকের হোছন দেশের অন্যতম খাটো মানুষের মধ্যে একজন। তাঁর মতো খাটো চট্টগ্রাম বিভাগে আর দেখিনি। তাকে নিয়ে এলাকায় অনেক কৌতুহল রয়েছে।’
নাইক্ষ্যংছড়ি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক দিদারুল আলম, গর্জনিয়ার ছাত্রনেতা আজিজুল হক, শহীদুল্লাহ শহীদ ও ইনজামাম উল হক চৌধুরী শুক্রবার বিকেলে জাকেরের সঙ্গে দেখা করতে যান। তারা বলেন, ‘দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে হলেও দেশের অন্যতম খাটো মানুষের দেখা পাওয়ায় মনে প্রশান্তি এসেছে। ’
উল্লেখ্য, বিশ্বের সবচেয়ে খাটো মানুষ ছিলেন ‘চন্দ্র বাহাদুর ডাংগি’ নামের একজন নেপালি নাগরিক। তার উচ্চতা ছিল ১ ফুট ৯ ইঞ্চি। বিশ্বের সবচেয়ে খাটো মানুষ হিসেবে ২০১২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে তাঁর নাম উঠে। মারা যাওয়ার সময় তার বয়স ছিল ৭৫ বছর।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।