১৯ মে, ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১০ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  কালেক্টরেট চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সভাপতি আব্দুল হক, সম্পাদক নাজমুল   ●  ক্যাম্পের বাইরে সেমিনারে অংশ নিয়ে আটক ৩২ রোহিঙ্গা   ●  চেয়ারম্যান প্রার্থী সামসুল আলমের অভিযোগ;  ‘আমার কর্মীদের হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে’   ●  নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবকিছু কঠোর থাকবে, অনিয়ম হলেই ৯৯৯ অভিযোগ করা যাবে   ●  উখিয়া -টেকনাফে শাসরুদ্ধকর অভিযানঃ  জি থ্রি রাইফেল, শুটারগান ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ৫   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে  তুলে নিয়ে   গুলি করে হত্যা   ●  যুগান্তর কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিমের পিতৃবিয়োগ   ●  জোয়ারিয়ানালায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত রামু কলেজের অফিস সহায়ক   ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু   ●  রামুতে ওসির আশকারায় এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে ‘সিভিল টিম’

ঢাকা থেকে এমপি নির্বাচন করতে চান ডিপজল

ভিলেন রুপে যার আগমনে ঢাকাই চলচ্চিত্রে এক সময় ভিন্ন মাত্রা যোগ হয়েছিল। যিনি ভিলেনের ভূমিকায় অভিনয় করেও নায়কের জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। তিনি আর কেউ নন, অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। এর আগে সিনেমায় সাংসদ-নেতার ভূমিকা পালন করলেও এবার বাস্তবেই ঢাকা থেকে সংসদ হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এই খলনায়ক।

জানা গেছে, আগামী সংসদ নির্বাচনেই এই স্বপ্ন পূরণ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ডিপজল। তার ঘনিষ্ঠজনদের এমনটাই বলেছেন তিনি।

তবে আওয়ামী লীগ না বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন, তা খোলাসা করেননি চৌকস এই অভিনেতা।

সিনেমার মতোই ব্যক্তি জীবনেও অভিজাত ডিপজল ১৯৯৪ সালে ঢাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। তিনি তখন বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয়। সিনেমা পাড়াতেও বেশ দাপুটে অভিনেতা, তা খলনায়ক কিংবা নায়ক।

এক-এগারোর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আর সব রাজনীতিকের মতো বিপাকে পড়েন ডিপজল। সিনেমার পর বাস্তবেও ভিলেন বনে যান তিনি। কারাগারেও যেতে হয় তাকে। তার ঘনিষ্ঠরা বলেন, এক-এগারোতে ডিপজল ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিকভাবে যে ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন তা নজিরবিহীন।

পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে দীর্ঘদিন রাজনীতির বাইরে ছিলেন ডিপজল। বিএনপির কোনো রাজনৈতিক সভা-সেমিনারে দীর্ঘকাল দেখা যায়নি তাকে। সিনেমাতেও অভিনয় করেননি অনেক দিন। সবশেষে ২০১৫ সালের এপ্রিলের শুরুতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সামাধিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রকাশ্যে আসেন ডিপজল।

ওই দিন সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্যই এই বাংলাদেশ হয়েছে। আমি টুঙ্গিপাড়ায় আসতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। আমি তার গড়া দলের একজন হয়ে থাকতে চাই।

তবে এরপর আওয়ামী লীগের প্রকাশ্য রাজনীতিতে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি তাকে। দলের কোনো সভা-সেমিনারেও দেখা যায় না সচরাচর। তবে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়েই তিনি বিএনপির রাজনীতি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে আসেন।

ডিপজলের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র জানিয়েছে, তিনি এখন আবার সিনেমায় সময় দিচ্ছেন। পাশাপাশি স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নিয়ে রাজনীতি করতে চান। তবে তার বড় ইচ্ছে ঢাকার সংসদ সদস্য হওয়া। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য তিনি ঢাকার কোন আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন তাও খোলাসা করে বলেননি। শুধু এটুকু বলেছেন, সময় হলে সব বলবেন।

১৯৫৮ সালের ১৫ জুন ঢাকার মিরপুরের বাগবাড়িতে জন্ম নেওয়া ডিপজলের বাংলা সিনেমায় আগমন হয় পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবরের হাত ধরে। তার প্রথম ছবি ‘টাকার পাহাড়’। নব্বই দশকের শেষ দিকে এসে নতুন পরিচয় নিয়ে চলচ্চিত্রে আসেন ডিপজল। কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘তেজী’ ছবিতে তিনি প্রথম ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করেন। ওই ছবি রীতিমতো সাড়া ফেলে দেয়।

এরপর টানা কয়েক বছর ভিলেন হিসেবে দাপটের সঙ্গে অভিনয়ের পর বিরতি নেন তিনি। পরে ২০০৪ সালে এফ আই মানিক পরিচালিত ‘কোটি টাকার কাবিন’ ছবিতে পুরোপুরি নতুনভাবে আসেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন তিনি। ছবিটি হিট হলে আবার আলোচনায় আসেন শক্তিমান এই অভিনেতা।

তবে চলচ্চিত্রে সফল ডিপজল রাজনীতিতেও কেমন সাড়া ফেলেন সেটা আগামী সংসদ নির্বাচনে দেখার বিষয়।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।