১৪ মে, ২০২৪ | ৩১ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৫ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে  তুলে নিয়ে   গুলি করে হত্যা   ●  যুগান্তর কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিমের পিতৃবিয়োগ   ●  জোয়ারিয়ানালায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত রামু কলেজের অফিস সহায়ক   ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু   ●  রামুতে ওসির আশকারায় এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে ‘সিভিল টিম’   ●  ড. সজীবের সমর্থনে বারবাকিয়ায় পথসভা   ●  কক্সবাজারে শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট রোবায়েত    ●  উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা   ●  বাহারছরা পুলিশের অভিযানে হত্যা চেষ্টা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার   ●  নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কচ্ছপিয়ার নোমান চেয়ারম্যানের হুমকি

কক্সবাজারে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে দিনব্যাপী অভিযান

কক্সবাজার শহরের চারটি এলাকায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে দিনব্যাপী অভিযান চালিয়েছে কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রশাসন। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা।
কক্সবাজার শহরের কলাতলী সৈকতপাড়া এলাকায় ১০/১৫ দিন ধরে পাহাড় কাটছিলেন ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের (টুয়াক) সাধারণ সম্পাদক ও কামাল পাশার পুত্র নুরুল কবির পাশা পল্লব ও তাঁর স্ত্রী রূপা পাশা। সেখানে অভিযান চালিয়ে পাহাড় কাটার শাবল, কোদাল, মাটি পরিবহনের ট্রলি ও সিসি ক্যামেরার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এসময় পাহাড় কর্তনকারীরা পালিয়ে যায়। পাহাড়টিতে আনুমানিক দেড় লাখ ঘনফুট মাটি কাটা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানটি সীলগালা এবং পরিবেশ অধিদপ্তরকে জড়িতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার নির্দেশ দেন। এরপরই অভিযান চালানো হয় কক্সবাজার পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাদশাহঘোনা এলাকায়। সেখানে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে দুই মাস ধরে সরকারি পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণ করছিলেন বান্দরবান মৌজার লালমোহনবাগান এলাকার চমশিম বমের মেয়ে মাঙাই বম প্রকাশ মেঘা ও কক্সবাজার শহরের মোহাজের পাড়া এলাকার মৃত ফকির আহমদের পুত্র রবি আলম। সেখানে আনুমানিক এক লাখ ২০ হাজার ঘনফুট মাটি কাটা হয়। অভিযানে সরকারি পাহাড় কেটে নির্মাণাধীন স্থাপনার কাজ বন্ধ এবং পরিবেশ অধিদপ্তরকে জড়িতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার নির্দেশ দেন ইউএনও। সর্বশেষ অভিযান চালানো হয় কক্সবাজার শহরের কলাতলী বাইপাস সড়কের বিকাশ বিল্ডিং এলাকায়। সেখানে দুটি স্পটে শ্রমিক ও এস্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কাটছেন যথাক্রমে উখিয়ার রাজাপালং এর ছিদ্দিক আহমদের পুত্র মোহাম্মদ ইলিয়াছ, কক্সবাজার শহরের কলাতলীর মৃত জাফর আলমের পুত্র নুরুল আলম ভুট্টো, কলাতলী আদর্শগ্রামের মৃত শাহাবুদ্দিনের পুত্র শাহ আলম, মুন্না সহ কয়েকজন। সেখানে পাহাড় কাটার এস্কেভেটর জব্দ করা হয় এবং মামলার নির্দেশ দেন ইউএনও। অভিযানে কক্সবাজার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ উল্লাহ নিজামী, পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা বলেন, ‘ভয়াবহ আকারে পাহাড় কাটা চলছে। পাহাড় কাটার সরঞ্জাম জব্দ, সীলগালা এবং নিয়মিত মামলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাহাড় কাটা রোধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এনভায়রনমেন্ট পিপল এর প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ বলেন, ‘কক্সবাজারে শতাধিক পাহাড় নির্বিচারে কেটে ফেলা হচ্ছে। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরকে অবহিত করলেও কোন প্রতিকার মিলছে না। বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা সহ কঠোর পদক্ষেপ নেয়া না হলে কক্সবাজারের পাহাড় রক্ষা সম্ভব হবে না।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।