২ মে, ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২২ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  টেকনাফে অপহরণ চক্রের সদস্য অস্ত্রসহ গ্রেফতার   ●  উপজেলা চেয়ারম্যান শফিউল্লাহর প্রার্থীতা বাতিলে হাইকোর্টে রিট   ●  প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর ৩০ বছরের পথচলা ও সাফল্য উদযাপন   ●  কক্সবাজার পৌরসভায় ৩ টি প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা   ●  কুতুবদিয়ায় সুপারডাইকে বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও পারাপারে ফেরী সার্ভিস চালুর দাবী   ●  ‘সবাইকে ভালোর দিকে ছুটতে  হবে, খারাপের দিকে নয়’   ●  বিজয়ী হয়ে অভিভাবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন নজির আহাম্মদ   ●  চকরিয়ায় সাবেক সাংসদের উপস্থিতিতে সাংবাদিকের উপর হামলা   ●  উখিয়ায় কৃষি বিভাগের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত   ●  দুর্নীতির মডেল উখিয়া পল্লীবিদ্যুৎ! ডিজিএম বললেন- ‘ভেতরের খবর’ আপনাকে দিবো কেন?

উখিয়ার লোকালয়ে একজোড়া বন্যহাতি; কয়েক ঘন্টার প্রচেষ্টায় ফিরলো বনে

বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়ায় লোকালয়ে হানা দিয়েছে দুই বন্য হাতি। বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকালে উখিয়া
রেঞ্জের থাইংখালী বিটের তেলখোলা  বটতলী এলাকার বন থেকে হাতি দুটি অকস্মাৎ লোকালয়ে চলে এলে আশপাশে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে এলিপ্যান্ট রেসকিউ টিমের বনবিভাগের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েক ঘন্টা চেষ্টায় বিকেলে হাতি দুটোকে বনে ফেরাতে সক্ষম হন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সারোয়ার আলম।
থাইংখালীর বিট কর্মকর্তা মো. রাকিব হোসেন জানান, ভিলেজাররা খবর দেয় লোকালয়ে এক জোড়া হাতি এসেছে। অনেকে ভয়ে ঘর থেকে বের না হলেও শিশু-কিশোর ও উৎসুক জনতা হাতি দুটির অদূরে ভীড় জমায়। রেঞ্জার ও  ডিএফওকে অবহিত করে এ্যালিপেন্ট রেসকিউ টিমকে সাথে নিয়ে থাইংখালী, ওয়ালা ও দোছড়ি বিটের কর্মকর্তা-ফরেস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্ট ভিলেজার-হেডম‍্যানদের নিয়ে হাতির এলাকায় যাওয়া হয়। সকলের আন্তরিক  প্রচেষ্টায় বন‍্য হাতি দুটিকে বিকেলের দিকে নিরাপদে বনে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয় আমরা।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সারোয়ার আলম বলেন, গত কয়েক দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। পাড়ি ছরায় বেড়েছে পানি। মনে হচ্ছে পানি খেতে বা পানিতে খেলতে হাতি দুটি পাহাড় থেকে নেমে আসে। ঘুরতে ঘুরতে তারা লোকালয়ে চলে এসেছিল।
ডিএফও আরো বলেন, এখন কাঁঠাল ও ধান পাকার সময়। এ সময় কাঁঠাল ও পাকা ধান খেতেও হাতিরপাল ধাব ক্ষেত ও লোকালয়ে আসতে পারে।
তিনি অনুরোধ করে বলেন, কক্সবাজারের চলমান সময়ে অধিকাংশ বসতি পাহাড়ের পাদদেশে। যা হাতি চলাচল ও বিচরণের জায়তা হিসেবে পরিচিত। তাই, সবার প্রতি অনুরোধ হাতির পাল পাকা ধান খেলে, ফলজ বাগান নষ্ট করছে দেখলে বনবিভাগকে খবর দিন। এদের অতিরিক্ত বিরক্ত করবেন না। ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় হাতি ক্ষতিকরলে তার যথাযথ ক্ষতিপূরণ সরকার পরিশোধ করবে। বন্যপ্রাণী ও মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে স্ব স্ব অবস্থান থেকে প্রচেষ্টা চালানো সবার নৈতিক দায়িত্ব।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।