১৯ মে, ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১০ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  কালেক্টরেট চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সভাপতি আব্দুল হক, সম্পাদক নাজমুল   ●  ক্যাম্পের বাইরে সেমিনারে অংশ নিয়ে আটক ৩২ রোহিঙ্গা   ●  চেয়ারম্যান প্রার্থী সামসুল আলমের অভিযোগ;  ‘আমার কর্মীদের হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে’   ●  নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবকিছু কঠোর থাকবে, অনিয়ম হলেই ৯৯৯ অভিযোগ করা যাবে   ●  উখিয়া -টেকনাফে শাসরুদ্ধকর অভিযানঃ  জি থ্রি রাইফেল, শুটারগান ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ৫   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে  তুলে নিয়ে   গুলি করে হত্যা   ●  যুগান্তর কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিমের পিতৃবিয়োগ   ●  জোয়ারিয়ানালায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত রামু কলেজের অফিস সহায়ক   ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু   ●  রামুতে ওসির আশকারায় এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে ‘সিভিল টিম’

উখিয়ায় আশংকাজনক হারে বাড়ছে শিশুশ্রম


উখিয়া উপজেলায় আশংকাজনক হারে বাড়ছে শিশুশ্রম। শিশুশ্রম নিষিদ্ধ হলেও দারিদ্রতার কারণে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা জুড়ে অসংখ্য শিশু বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ কাজ থেকে শুরু করে গাড়ির হেলপার, গৃহকর্মী, হোটেল-রেস্তোরা, সাগরে পোনা আহরণ, মাছ বিক্রি, গ্রীল ওয়ার্কশপে ওয়েল্ডিংয়ের মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নেমে পড়েছে শিশু শ্রমিকরা। নামমাত্র শ্রম মজুরীর পাশাপাশি এক পর্যায়ে কারণে-অকারণে শিশুদের ভাগ্যে জোটছে শারীরিক, মানসিক শোষণ সহ বিভিন্ন রকমের নির্যাতন।

জানা গেছে, শিশুদের শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার না করতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কঠোর আইনী বিধিনিষেধ থাকলেও কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না শিশুশ্রম। বরং বয়স্কদের পাশাপাশি শিশুরাও সমভাবে শ্রম বিক্রি করছে। অভাবের তাড়না ও সংসারের অশান্তির কারণে পথকলি শিশুরা মুলত বাঁচার তাগিদে জীবিকার সন্ধানে নেমে পড়ে রাস্তায়। এতে শিশু শ্রমিকরা স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ক্ষতিকর শ্রম বিক্রি করে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে।

সচেতন মহলের মতে, প্রতি বছর বিশ্ব শিশু শ্রম প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়ে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুদের অধিকার আদায়ের লক্ষে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য দিন ব্যাপী নানা কর্মসূচী চললেও আদতে সেটা মানা হচ্ছে না। এছাড়াও অনেক সময় শিশুদের অমানবিকভাবে ১২ থেকে ১৮ ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করেও পায় না শ্রমের ন্যায্যমূল্য। অভাবের তাড়নায় এসব শিশুদের মা-বাবা প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের জন্য বিদ্যালয়ে পাঠদানের জন্য না পাঠিয়ে নাম মাত্র মূল্যে গৃহস্থ কাজে কিংবা এসব ঝুঁকিপূর্ণ কাজে পাঠাতে বাধ্য হচ্ছেন। বর্তমানে এর সংখ্যা দিন দিন আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সোনারপাড়া বাজারের হোটেলের কয়েকজন গ্লাস বয়ের সাথে কথা হলে জানা যায়, অভাবের তাড়নায় চায়ের দোকানে কাজ করতে হচ্ছে। তারা সকাল দশটা থেকে পর দিন গভীর রাত পর্যন্ত একটানা পরিশ্রম করে মজুরী পায় শখানেক টাকা। এনিয়ে পরিবার চলাতো দুরের কথা, নিজেও চলা কঠিন হয়ে পড়ে।

কোটবাজারের গ্রীল ওয়ার্কশর্প শ্রমিক আহমদ কবির জানান, অল্প বয়সে শিক্ষা ছেড়ে পারিবারিক ভাবে আর্থিক যোগদান দেওয়ার জন্য এই ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নামতে হয়েছে।

হেলপ কক্সবাজারের নির্বাহী পরিচালক আবুল কাসেম জানান, উখিয়া উপজেলায় শিশুর শ্রমিকের সংখ্যা ৪০ হাজারের ন্যায়। এজন্য প্রতিটি শিশুর মৌলিক অধিকার যেন নিশ্চিত থাকে সেইজন্য সরকারী-বেসরকারি বিভিন্ন উদ্যোগের প্রয়োজন।

উখিয়া উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সহ-সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য নেজাম উদ্দিন দুলাল জানান, শ্রম আইনে শিশুদের শ্রম বিক্রি নিষিদ্ধ করা হলেও মানা হচ্ছে না সেই আইন। অনেক ক্ষেত্রে শারীরিক নির্যাতন চালানোও হয় শিশু শ্রমিকদের। শিশুশ্রম বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।