১০ম জুডিশিয়ারিতে গত রবিবার সহকারী জজ হিসাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হলেন কক্সবাজার জেলার খুনিয়া পালং এর কৃতি সন্তান নুরুল হক।
এছাড়া সম্প্রতি উনি হাইকোর্ট বিভাগের অ্যাডভোকেট হিসাবে অনুমতিপ্রাপ্ত।
তিনি কবি নুরুল বলেও সমধিক পরিচিত।
বহুবার ব্যর্থ হওয়ার পর আজকে তার এই সফলতা তাকে দুই হাত দিয়ে বরণ করেছে।
উনি ৩৩তম, ৩৪তম ও ৩৫তম বিসিএস এ মোট তিনবার ভাইভা পর্যন্ত গিয়ে উনি ক্যাডার হতে পারেননি।এর মধ্যে ৭ম,৮ম ও ৯ম জুডিশিয়ারিতে ভাইভা পর্যন্ত গিয়েও উনি শূণ্য হাতে ফিরে এসেছেন।
তারপরও উনি একটুও আশাহত হননি,
থেমে যাননি স্বপ্ন দেখার পথ থেকে।নুরুল হক খুনিপালং এর মৃত ফররুখ আহমদ মাতা খাদিজা বেগমের সুযোগ্য সন্তান।
উনি ২০০৩ সালে বিজ্ঞান বিভাগে আল ফুয়াদ একাডেমী থেকে এসএসসি এবং২০০৫ সালে বিজ্ঞান বিভাগে কক্সবাজার সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। তার ‘বিশ্ববিদ্যালয় জীবন ছিল স্বপ্নের মতো’ এই তো সেদিন ২০০৫-০৬ সেশনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি হতে না হতেই পরের বার এডমিশন টেস্ট দিয়ে আইন বিভাগে ভর্তির মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু। অল্প সময়ের মধ্যে একটু ব্যতিক্রম হিসেবে পুরো ক্যাম্পাসে সমধিক পরিচিতি লাভ করে ‘কবি’ হিসেবে। অনেক সময় ক্লাস চলাকালীন লিখে ফেলেন কিছু জনপ্রিয় কবিতা আর তা মাঝেমধ্যে স্থানীয় পত্রিকায়ও প্রকাশিত হতে থাকে। মূলত দেশ, মাটি, মানুষ, প্রকৃতি, মানবপ্রেম, মানবতা, মানবাধিকার, নববর্ষ, পহেলা বৈশাখ,,,,, একুশে ফেব্রুয়ারি, বিজয় দিবস প্রভৃতি নিয়ে লেখালেখি চলে। ‘কালো পুতুলের হাসি’, ‘ শাটল ট্রেন ‘, ‘বিদ্যাশিক্ষা’, ‘মানবাধিকার’, ‘স্বপ্নচূড়া’, ‘১৫ তম ব্যাচ’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য কবিতা। নুরুল হকের ছোটভাই বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ৪র্থ শিক্ষার্থী নুরুল আবছারকে তার ভাই এর এই সফলতায় তার অনুভূতি কেমন জিজ্ঞেস করলে কক্সবাজার সময় ডটকমকে সে জানায়
“চমৎকার অনুভূতি! ধৈর্য্য এবং পরিশ্রমের বিজয়, আল্লাহ্ সবসময় পরিশ্রমীদের পক্ষে থাকেন এটা আবারো প্রমাণিত হলো। ওনার এই সাফল্য আমার, পরিবার এবং এলাকার বিদ্যার্থীদের অনুপ্রেরণা হিসেবে দারুণ কাজ করবে। সাথে অভিবাকও উৎসাহি হবে সন্তানদের পড়ালেখায় পাঠাতে। ওনার এই কৃতিত্ব আমাদের সকলের সফলতার পাথেয়”
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।