২৮টি কম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক (পেনিসিলিন ও সেফালোস্পোরিন), স্টেরয়েড, অ্যান্টিক্যান্সার ও হরমোন-সংক্রান্ত ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত।
গত ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট এক রায়ে ২৮টি কম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক (পেনিসিলিন ও সেফালোস্পোরিন), স্টেরয়েড, অ্যান্টিক্যান্সার ও হরমোন-সংক্রান্ত ওষুধ উত্পাদন ও বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে রায়ের কপি পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে ওষুধ প্রশাসন মহাপরিচালককে পাঁচ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা রিট আবেদনে জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট ওই রায় দেন।
এ রায় স্থগিত চেয়ে টেকনো ড্রাগ লিমিটেড আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালতে আবেদন করে। গত বৃহস্পতিবার এ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত কোনো স্থগিতাদেশ না দিয়ে আগামী ১৮ মে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। টেকনো ড্রাগ লিমিটেডের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আকতার হামিদ। রিট আবেদনকারী পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকটে মনজিল মোরসেদ।
যে ২৮ প্রতিষ্ঠানের ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো অ্যামিকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, এজটেক ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, বেঙ্গল টেকনো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, বেনহাম ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ডিসেন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ড. টিমস ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, গ্লোবেক্স ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, গ্রিনল্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ইনোভা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ম্যাক্স ড্রাগস ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, মেডিমেট ল্যাবরেটরিজ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, মডার্ন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, মিসটিক ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিজ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, অর্গানিক হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ওয়েস্টার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, প্রিমিয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, প্রাইম ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, সীমা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, হোয়াইট হর্স ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, মমতাজ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ইউনিক ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ইউনাইটেড কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, এফএনএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, টেকনো ড্রাগস লিমিটেড ইউনিট-১, ২ ও ৩।
এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এক রায়ে হাইকোর্ট ২০টি কম্পানির সব ধরনের ওষুধ উত্পাদন এবং ১৪টি কম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক (পেনিসিলিন, ননপেনিসিলিন ও সেফালোস্পোরিন গ্রুপ) উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।