২৭ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৭ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  মেয়র মাহাবুবের অর্থায়নে প্রতিবন্ধীদের মাঝে সহায়ক উপকরণ বিতরণ   ●  টেকনাফে ১০ কৃষক অপহরণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার, আদালতে জবানবন্দি    ●  বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সেনা ও বিজিপির ২৮৮ সদস্য ফিরল মিয়ানমারে   ●  কক্সবাজার পৌরবাসির কাছে মেয়রের শেষবারের মতো ৫ অনুরোধ   ●  কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ, শৃংখলা জোরদারের  লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট, জরিমানা   ●  রামুতে নিরাপদ পানি ও উন্নত স্যানিটেশন  সুবিধা পেয়েছে ৫০ হাজার মানুষ     ●  কক্সবাজারে ছাত্রলীগের ৫ লক্ষ গাছ লাগনোর উদ্যোগ   ●  মহেশখালীতে সাংসদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্টের অভিযোগ    ●  জেএস‌আরের বিরুদ্ধে উঠা সকল অভিযোগ কে অপপ্রচার বলে দাবি সভাপতি জসিমের   ●  ‘দশ হাজার ইয়াবা গায়েব, আটক  সিএনজি জিডিমূলে জব্দ

২৮ এপ্রিলের পর থাকছে না লকডাউন


আগামী ২৮ এপ্রিলের পর দেশে আর লকডাউন থাকছে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধীরে ধীরে সবকিছু খুলবে। চালু হবে গণপরিবহন, সীমিত পরিসরে খুলবে সরকারি-বেসরকারি অফিস।

শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আগামী ২৮ এপ্রিলের পর বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে। কিন্তু নো মাস্ক নো সার্ভিস- এটা শতভাগ বাস্তবায়ন করা হবে। মানুষ মাস্ক পড়বে, শারীরিক দূরত্ব মেইনটেইন করবে। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানলেই আমরা জীবন ও জীবিকা দুটোই চলাতে পারব। এই কয়দিনে সংক্রমণ অনেকটাই কমে যাবে, এটাই স্বাভাবিক।’

তিনি বলেন, ‘গণপরিবহন চালুর বিষয়টি সিদ্ধান্তের পর্যায়ে আছে। চালু হলেও তো স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলতে হবে। আমাদের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করতে হবে। শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সেটা করা হবে। যেভাবে আস্তে আস্তে বন্ধ হয়েছে, সেভাবে খুলবে।’

সামনে লকডাউন সেভাবে আর বাড়বে না। তবে তখন জীবনযাত্রার বিষয়ে দিক-নির্দেশনার দিয়ে আগামী ২৮ এপ্রিল একটা প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। সেখানে অফিসের জনবলের বিষয়টি উল্লেখ থাকবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আটদিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। লকডাউনের মধ্যে পালনের জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। সেই মেয়াদ শেষ হয় গত বুধবার (২১ এপ্রিল) মধ্যরাতে। তবে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় লকডাউনের মেয়াদ আগামী ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

এর মধ্যে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে দোকান ও শপিংমল খুলে দেয়ার দাবি জানানো হয়। তারা এ বিষয়ে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে তাদের দাবি তুলে ধরেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী রোববার (২৫ এপ্রিল) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দোকান ও শপিং মল খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়ে শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

অপরদিকে লকডাউনের বর্ধিত মেয়াদ শেষে আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে বাস চালাতে চান পরিবহন মালিকরা।

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় এর আগে গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত লকডাউন বা বিধি-নিষেধ ছিল। তবে গণপরিবহন, মার্কেট খোলা রেখে এই লকডাউন ছিল অনেকটাই অকার্যকর।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।