১৯ মে, ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১০ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  কালেক্টরেট চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সভাপতি আব্দুল হক, সম্পাদক নাজমুল   ●  ক্যাম্পের বাইরে সেমিনারে অংশ নিয়ে আটক ৩২ রোহিঙ্গা   ●  চেয়ারম্যান প্রার্থী সামসুল আলমের অভিযোগ;  ‘আমার কর্মীদের হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে’   ●  নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবকিছু কঠোর থাকবে, অনিয়ম হলেই ৯৯৯ অভিযোগ করা যাবে   ●  উখিয়া -টেকনাফে শাসরুদ্ধকর অভিযানঃ  জি থ্রি রাইফেল, শুটারগান ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ৫   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে  তুলে নিয়ে   গুলি করে হত্যা   ●  যুগান্তর কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিমের পিতৃবিয়োগ   ●  জোয়ারিয়ানালায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত রামু কলেজের অফিস সহায়ক   ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু   ●  রামুতে ওসির আশকারায় এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে ‘সিভিল টিম’

হুমকির মুখে জেলায় ১০ হাজার খামার

poly-216x160
কক্সবাজারে ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগীর অন্তত ১০ হাজার পোল্ট্রি খামার বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে দাড়িয়েছে। বাচ্চা ও খাদ্যের দামের উর্দ্ধগতির কারনে অধিকাংশ খামারে বাচ্চা তোলছেনা। তারা গুটিয়ে নিচ্ছে পোল্ট্রি খামার। এসব খামারে যে সব শিক্ষিত বেকার যুবক উৎসাহ নিয়ে ঝুঁকেছিল তারা আবার বেকার হয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সাথে বেকার হয়ে পড়েছেন শত শত সাধারণ মালিক ও শ্রমিক-কর্মচারী।
সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় এক শ্রেণীর অসাধু পোল্ট্রি শিল্প ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট তৈরি করে তাদের ইচ্ছেমত বাচ্চা ও খাদ্যের দাম নির্ধারণ করে চলার কারনে এ পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে বলে জানান পোষ্ট্রি খামারীরা। বাচ্চার দাম ৩ গুন এবং খাবারের দাম বস্তা প্রতি কয়েকশ’ টাকা বাড়িয়ে দেওয়ায় পোল্ট্রি ব্যবসায় ধস নামতে শুরু করেছে। বাচ্চা ও খাদ্যের মূল্যের ঊর্ধ্ব গতির কারণে খামারীরা আর ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না।
তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, জেলায় বিভিন্ন স্থানে খামার রয়েছে প্রায় ১০ হাজার। আর এসব খামারীরা বাচ্চা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কাজী, ছিপি, আগা, প্রভিটা, ব্র্যাক, নিরিবিলি, গাওছিয়া, আফতাব, নাহার ও নারিস থেকে নিয়মিত বাচ্চা সংগ্রহ করে থাকে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তারা একক আধিপাত্য বিস্তার করে আসছে। একটি বাচ্চার উৎপাদন খরচ ২৫-২৬ টাকা হলেও বর্তমানে ডিলারদের তা বিক্রি করছে ৭০ টাকা মূল্যে। আর দুই হাত বদল হয়ে খামারীরা কিনছে ৭৩-৭৪ টাকা পর্যন্ত।
জেলার মরিচ্যা বাজারের পালং পোল্ট্রির প্রোপ্রাইটর কামাল উদ্দিন জানান- খামারীদের ভাষ্য মতে, এত অধিক মূল্যে বাচ্চা কিনে লালন পালন শেষে বর্তমানে বাজার মূল্য প্রতি কেজি মুরগী ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি করে উৎপাদন খরচ ওঠে না। তিনি আরো জানান- পোল্ট্রি খামারে এলাকার অনেক বেকার যুবকের কর্ম সংস্থান হয়েছিল। অনেক খামারী ব্যাংক, এনজিও থেকে উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও বর্তমানে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় অনেক খামারী পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
খুনিয়া পালং এর খামারী আওয়ামীলীগ নেতা জসিম উদ্দিন বুলু জানান- বাচ্চা ও খাদ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে খামীরারা তাদের খামার বন্ধ করে দেওয়ার উপক্রম হয়ে দাড়িয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে অল্প দিনের মধ্যে সব খামার বন্ধ হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।
উখিয়া সদরের বিউটি পোল্ট্রী মো: আনোয়ার ইসলাম জানান- পোল্ট্রির বাচ্চা আগে যে দামে কিনতে হতো এখন তা দ্বিগুণ দাম হয়েছে। একইভাবে বেড়েছে মুরগির খাদ্য ও ঔষধের দামও। তারা এই পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য দায়ী করছে মুরগির বাচ্চা ও খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
ধোয়া পালং এর তসলিমা পোল্ট্রীর ছৈয়দ হোসাইন বাবুল জানান- উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গুলো সংঘবদ্ধ হয়ে অভিন্ন বাজার দর নির্ধারণ করে রাখায় খামারীরা লোকসানে পড়ছে। আর এর বিরুপ প্রভাব পড়ছে সাধারণ ক্রেতাদের ওপর।
এদিকে এ প্রসঙ্গে বাচ্চা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ছি.পি পোল্ট্রী ফিডের কক্সবাজার জেলা দায়িত্ব কর্মকর্তা ডাঃ সোহেল পোল্ট্রি খাদ্যের কথা স্বীকার করে জানান- কাচামালের মূল্য বৃদ্ধির ফলে বাজারে পোল্ট্রি খাদ্যের দাম বেড়েছে।
প্রভিটা পোল্ট্রী ফিডের কক্সবাজার জেলা দায়িত্ব কর্মকর্তা মো: রাশেদ জানান- খাদ্যের মূল্য সম্প্রতি কিছুটা কমেছে। দেশের ১৭৫টি রেজি কোম্পানীর মধ্যে তাদের প্রতিষ্ঠানটি উন্নত সেবা দিয়ে থাকেন। মূল্য বৃদ্ধির বিষয় তিনি বলেন- বর্তমানে একদিন বয়সী ব্রয়লার ও লেয়ার বাচার অতিরিক্ত মূল্য। আর ২০১৩সনের শুরু থেকে একই ভাবে আছে। বর্তমানে তারা হ্যচারী মূল্য ৬৮ টাকায় একদিন বয়সী বাচ্চা বিক্রি করছে। যা খামারীদের কিনতে হয়েছে ৭১-৭২ টাকায়।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।