২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া এ গবেষণা শেষ হয় গত বছরের ডিসেম্বরে। তবে এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন এখনও প্রকাশ হয়নি।

খুলনা, যশোর ও সাতক্ষীরার প্রায় ১৫৩৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চালিত এ গবেষণায় পানির লবণাক্ততা ও সুপেয় পানির ঘাটতি যাচাই করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০৫০ সাল নাগাদ জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে মিষ্টি পানির আধারের পরিমাণ এখনকার তুলনায় অনেকটা কমে আসবে। আর যেসব অঞ্চলে এখন লবণাক্ততা রয়েছে, ২০৫০ সালে সেখানে লবণের পরিমাণ ১৪ শতাংশ বাড়বে বলেও জানানো হয়েছে।

গবেষণার প্রকল্প প্রধান এম রেজাউল হাসান জানান, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার কারণেই উপকূলের লবণাক্ততা বেড়েছে। আর এখানকার বাসিন্দারা লবণাক্ত পানিতে অভ্যস্ত বলেই বিষয়টা ধরতে পারে না।

গবেষণায় দেখা গেছে, এ এলাকার ভূগর্ভের জলাধারগুলোতে লবণাক্ততা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হলো চিংড়ি চাষের জন্য তৈরি করা লবণাক্ত পানির ঘের।

উল্লেখ্য, উপকূলের জলাধারগুলোই বিশ্বব্যাপী সুপেয় পানির অন্যতম যোগানদার। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলো অপেক্ষাকৃত নিচু হওয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ প্রভাবের শিকার হবে। বিপদের আশঙ্কা প্রকাশ করে রেজাউল হাসান জানান, ২০৫০ সালের মধ্যে লবণাক্ত পানির জলাধার বাড়বে ২ দশমিক ২৭ শতাংশ, অন্যদিকে সুপেয় পানির অঞ্চল কমবে ৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ।