২০ মে, ২০২৪ | ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১১ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  এভারকেয়ার হসপিটালের শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. তাহেরা নাজরীন এখন কক্সবাজারে   ●  কালেক্টরেট চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সভাপতি আব্দুল হক, সম্পাদক নাজমুল   ●  ক্যাম্পের বাইরে সেমিনারে অংশ নিয়ে আটক ৩২ রোহিঙ্গা   ●  চেয়ারম্যান প্রার্থী সামসুল আলমের অভিযোগ;  ‘আমার কর্মীদের হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে’   ●  নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবকিছু কঠোর থাকবে, অনিয়ম হলেই ৯৯৯ অভিযোগ করা যাবে   ●  উখিয়া -টেকনাফে শাসরুদ্ধকর অভিযানঃ  জি থ্রি রাইফেল, শুটারগান ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ৫   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে  তুলে নিয়ে   গুলি করে হত্যা   ●  যুগান্তর কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিমের পিতৃবিয়োগ   ●  জোয়ারিয়ানালায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত রামু কলেজের অফিস সহায়ক   ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু

রামু বাকঁখালী নদীপারে অরক্ষিত বেড়ীবাঁধ কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের খবর নেই

আগাম বৃষ্টি এসে আমাদের জানিয়ে দিলো বর্ষার আগমন বার্তা। গ্রীষ্মের প্রায় শেষ দিকে বর্ষা আর বেশি দূরে নয়।তাই আকাশে মেঘ দেখলেই রামুর মানুষের মধ্যে সব সময় আতঙ্কের মধ্যে অজানা ভয়ের আশঙ্কার দিন কাটছে। কারণ বাকঁখালীর নদী পারের সাধারণ অভাবী মানুষ গুলো স্বচক্ষে দেখেছে বিভিন্ন সময়ে বয়ে যাওয়া প্রলংকরী ঘুর্নিঝড়ের ভয়াবহতা ও ঊজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের তান্ডব । দীর্ঘদিন ধরে রামু উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ভাঙ্গনকৃত বেড়ীবাধঁ সঠিক সময়ে মেরামত না করার কারণে বর্ষাতে একটু বৃষ্টি হলেই নদী পারের মানুষের দূর্ভোগ পোহাতে হয়।রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়, কখন জানি আবার বাড়িঘর ছেড়ে যেতে হবে। গর্জনিয়া,কচ্চপিয়া,কাউয়াখোপ,ফতেখাঁরকুল,রাজারকুল, মিঠাছড়ি,চাকমারকুল ইউনিয়নের টেকসই বেড়ীবাঁধের অভাবে ঝুঁকির মুখে বসবাস করছে প্রায় ২২ হাজার পরিবার,গত বন্যায় পানি বন্ধি হয়ে পড়েছিল রামু -কক্সবাজারের দেড় লক্ষাধিক মানুষ। গেল বর্ষায় নদী ভাঙ্গনের ফলে বিভিন্ন সময় বেড়ীবাঁধের বেশ কয়েকটি স্পটে নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের হাসান আজিজ ও আব্দু রহিম জানান,অফিসের চর পূর্ব রাজারকুল সংযোগসেতুর নীচে ও উপরের অংশে ভাঙ্গন কৃত এলাকার চিত্রসহ রামু-কক্সবাজার-৩ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এর সুপারিশ নিয়ে লিখিত দরখাস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা তা ফাইল বন্ধি করে রেখেছে।তারা আরো বলেন , টাকা খরচ না করলে অথবা টাকা না দিলে দরখাস্ত গুলো অনেক সময় হারিয়ে ফেলে । কে শুনবে এ সাধারণ মানুষের আহজারি । আর কতবার স্থানীয় চেয়ারম্যান আর এমপি সাহেবের সুপারিশ নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড বরাবর দরখাস্ত করলে কাজ শুরু হবে ? বর্ষার শুরুর আগে ভেঙ্গে যাওয়া অংশসহ বাঁধ মেরামত করা না হলে বন্যার পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে পুরো আরকান সড়কসহ এলাকা পানিবন্দী হয়ে যাবে। এতে রামুর হাজারো পরিবার বিশুদ্ধ পানি সংকটসহ নানা দুর্ভোগে পড়বে। অতীতে ঘটে যাওয়া বেশ ক’টি প্রাকৃতিক দূর্যোগের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখলেই তা অনুমান করা যায়। অভিযোগ রয়েছে বহু বছর আগে পুরনো বাঁধটি নির্মাণের সময় কাজের গুণগত মান ঠিক ছিলনা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের পুরনো নির্মিত বেড়ীবাঁধের কমপক্ষে ১০/১৫টি স্পটে বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া বাঁধের আরো ৫/৬টি স্থানে আড়াআড়িভাবে মাটি সরে গিয়ে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
বর্ষা শুরুর আগে এলাকার মানুষের দূর্যোগের আঘাত থেকে রক্ষা করতে হবে।দেখা গেছে, দূর্যোগকালীন ঝুঁকি কমাতে দীর্ঘদিন আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নির্মিত বেড়ীবাঁধ নিজেই এখন চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। কর্তৃপক্ষ ও জনপ্রতিনিধিদের সুষ্ঠু তদারকির অভাবে বেড়ীবাঁধের এ অবস্থা বলে সাধারণ মানুষের অভিযোগ রয়েছে।গেল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ অসংখ্য পরিবার এখনো ফিরতে পারেনি স্বাভাবিক জীবনযাত্রায়।

তাই শীঘ্রই এলাকার স্বার্থে ঝুঁকিপূর্ণ অরক্ষিত বেড়ীবাঁধ নির্মাণ করে নদী পারের সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ লাগবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।