২১ মে, ২০২৪ | ৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১২ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  এভারকেয়ার হসপিটালের শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. তাহেরা নাজরীন এখন কক্সবাজারে   ●  কালেক্টরেট চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সভাপতি আব্দুল হক, সম্পাদক নাজমুল   ●  ক্যাম্পের বাইরে সেমিনারে অংশ নিয়ে আটক ৩২ রোহিঙ্গা   ●  চেয়ারম্যান প্রার্থী সামসুল আলমের অভিযোগ;  ‘আমার কর্মীদের হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে’   ●  নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবকিছু কঠোর থাকবে, অনিয়ম হলেই ৯৯৯ অভিযোগ করা যাবে   ●  উখিয়া -টেকনাফে শাসরুদ্ধকর অভিযানঃ  জি থ্রি রাইফেল, শুটারগান ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ৫   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে  তুলে নিয়ে   গুলি করে হত্যা   ●  যুগান্তর কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিমের পিতৃবিয়োগ   ●  জোয়ারিয়ানালায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত রামু কলেজের অফিস সহায়ক   ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু

রামুর বিদর্শন বিমুক্তি ভাবনাকেন্দ্রে কঠিন চীবর দানোৎসবে অগণিত পুণ্যার্থী 

হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী: ১০০ ফুট সিংহ শয্যা গৌতম বুদ্ধমুর্তি সংবলিত-কক্সবাজারের রামুর বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনাকেন্দ্রে গতকাল মঙ্গলবার ১৫তম কঠিন চিবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী পুণ্যার্থীরা ২৪ ঘন্টায় তুলা থেকে সুতা কেটে রং দিয়ে, চীবর (ভিক্ষুদের পরণের কাপড়) বুনে ও সেলায় করে ভিক্ষুদের দান করেছেন।
উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের উত্তর মিঠাছড়ি ভাবনাকেন্দ্র প্রাঙ্গনে বিকেলে কঠিন চিবর দানোৎসবে ভিক্ষুসংঘের শতাধিক ভিক্ষুর উপস্থিতিতে চীবর দান করা হয়।
এর আগে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন রঙিন কাগজ, বাস-বেত ও হরেক রকম ফুলে কল্পতরু সজ্জিত করে, মাথায় চীবর (টাকা) নিয়ে বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে কির্তন গেয়ে বুদ্ধমুর্তি প্রদক্ষিণ করেন।
ধর্মীয় দেশনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একুশে পদক প্রাপ্ত, উপসংঘরাজ পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের। ধর্মীয় দেশনা দেন- বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক করুণাশ্রী মহাথের, উত্তর মিঠাছড়ি প্রজ্ঞামিত্র বিহার অধ্যক্ষ সারমিত্র মহাথের, রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের আবাসিক পরিচালক প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু প্রমূখ। মঙ্গল চারণা করেন বৌধি প্রিয় ভিক্ষু।
এসময় রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহজাহান আলি, থানার পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) এসএম মিজানুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়ুয়া, ভাবনাকেন্দ্র পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক সিপন বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
সিপন বড়ুয়া বলেন, এ দান উৎসবে কক্সবাজার শহর, রামু, চকরিয়া, উখিয়া ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাসহ দেশের নানা প্রান্তের অন্তত ২০ হাজার পুন্যার্থী অংশ নেন। সন্ধ্যায় বিশ্ব শান্তি কামনায় হাজার প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।