২৯ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৯ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই’র ১০তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  হোয়াইক্ষ্যং হাইওয়ে পুলিশের অভিযানে গুলিসহ দু’জন গ্রেফতার   ●  তীব্র তাপদাহে মানুষের পাশে মেয়র মাহাবুব   ●  টেকনাফে অপহরণ চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার   ●  মেয়র মাহাবুবের অর্থায়নে প্রতিবন্ধীদের মাঝে সহায়ক উপকরণ বিতরণ   ●  টেকনাফে ১০ কৃষক অপহরণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার, আদালতে জবানবন্দি    ●  বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সেনা ও বিজিপির ২৮৮ সদস্য ফিরল মিয়ানমারে   ●  কক্সবাজার পৌরবাসির কাছে মেয়রের শেষবারের মতো ৫ অনুরোধ   ●  কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ, শৃংখলা জোরদারের  লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট, জরিমানা   ●  রামুতে নিরাপদ পানি ও উন্নত স্যানিটেশন  সুবিধা পেয়েছে ৫০ হাজার মানুষ  

রামুতে দখলবাজদের হামলার ঘটনায় মামলা, শঙ্কামুক্ত নয় জহিরুল

বিশেষ প্রতিবেদক:

কক্সবাজারের রামুতে বনবিভাগের জায়গা দখল করে এনজিওর টাকায় ঘর নির্মাণ কাজে বাঁধা দেয়ায় বনকর্মীদের উপর দখলবাজচক্রের হামলায় ঘটনা নিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার রাতে দারিয়ারদীঘি বিট কর্মকর্তা মো. আরজু মিয়া বাদি হয়ে রামু থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু তাহের দেওয়ান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মামলায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরও শতাধিক অজ্ঞাত নারী-পুরুষকে আসামি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু তাহের দেওয়ান আরও বলেন, বনকর্মীদের উপর হামলাকারীদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।
এদিকে রাজারকুল সদর বিট কর্মকর্তা জহিরুল আলমের অবস্থা এখনো উন্নতি হয়নি। বুধবার রাতে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক ( এসিএফ) আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অন্য একটি সূত্র জানিয়েছেন, মাথায় বেশি জখম হওয়ার কারনে বুধবার রাতে এবং বৃহস্পতিবার সকালে কয়েকদফা রক্ত বমি করেছে জহিরুল আলম।

সূত্র মতে, কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের রাজারকুল রেঞ্জের দারিয়ারদীঘি বিটের কম্বনিয়া এলাকায় বনভূমি জবরদখল করে একটি গ্রুপ ২০ টির মতো পাকা ঘর নির্মাণের   কাজ চালিয়ে আসছিল। গত মঙ্গলবার খবর পেয়ে সহকারী বন সংরক্ষক ( এসিএফ) আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে বনকর্মীরা বাধা দেয়। এ সময় ৩/৪ শ জবরদখলকারী লাঠিয়াল বাহিনী বনকর্মীদের আক্রমণ করে। এতে ২৮জন বনকর্মী আহত হয়। তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে রামু হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এর মধ্যে অবস্থার অবনতি হলে রাজারকুল সদর বিট কর্মকর্তা জহিরুল আলম ও দারিয়ারদীঘি বিট কর্মকর্তা মো. আরজু মিয়াকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
সহকারী বন সংরক্ষক ( এসিএফ) আনিসুর রহমান বলেন, আহত ২৮ জনের মধ্যে বিট কর্মকর্তা আরজু মিয়া কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এবং রাজারকুল বিট কর্মকর্তা জহিরুল আলম চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

সহকারী বন সংরক্ষক ( এসিএফ) আনিসুর রহমান আরও বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাস, কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সারওয়ার আলম, কক্সবাজার ও টেকনাফের দায়িত্বরত সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) জিএম মো. মনিরুল ইসলাম আহত বিট কর্মকর্তা  জহিরুল আলমের চিকিৎসার খোঁজ খবর নিচ্ছেন। আমি নিজেও আজ (বৃহস্পতিবার)  চট্রগ্রাম যাচ্ছি।

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সারওয়ার আলম বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। সরকারি জায়গাতে ঘর করতেছে একটি অপরাধ। উল্টো  বনকর্মীর উপর হামলা চালিয়েছে আরেকটি অপরাধ করেছে দখলবাজচক্র।
কোন এনজিও তাদের অর্থায়ন করেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।