২৯ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৯ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই’র ১০তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  হোয়াইক্ষ্যং হাইওয়ে পুলিশের অভিযানে গুলিসহ দু’জন গ্রেফতার   ●  তীব্র তাপদাহে মানুষের পাশে মেয়র মাহাবুব   ●  টেকনাফে অপহরণ চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার   ●  মেয়র মাহাবুবের অর্থায়নে প্রতিবন্ধীদের মাঝে সহায়ক উপকরণ বিতরণ   ●  টেকনাফে ১০ কৃষক অপহরণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার, আদালতে জবানবন্দি    ●  বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সেনা ও বিজিপির ২৮৮ সদস্য ফিরল মিয়ানমারে   ●  কক্সবাজার পৌরবাসির কাছে মেয়রের শেষবারের মতো ৫ অনুরোধ   ●  কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ, শৃংখলা জোরদারের  লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট, জরিমানা   ●  রামুতে নিরাপদ পানি ও উন্নত স্যানিটেশন  সুবিধা পেয়েছে ৫০ হাজার মানুষ  

মামলা তুলে নিতে কালো মিজান হুমকি দিচ্ছেঃ সংবাদ সন্মেলনে শরমিন আকতার

রায়হান সিকদার, লোহাগাড়াঃ

লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের রশিদের পাড়ার আলোচিত প্রতারকের প্রেমিকের লাথিতে প্রেমিকার সন্তান প্রসবের ঘটনায় মামালা তুলে নিতে বাদী শরমিন আকতারকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

৩১মে(রোববার) বিকেল ৫টায় লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের রশিদার পাড়াস্হ বাদশা কলোনীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য ভুক্তভোগী শরমিন বলেন, ঘটনার ৪ মাস পরও আসামী কালো মিজান ও তার সহযোগীরা আইনের আওতায় না আসায় এবং গ্রেফতার না হওয়ার তার পরিবার ও সহযোগীরা আমাকে এখনো বিভিন্ন নির্যাতন, হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে।
এমনকি হত্যাকান্ডের ১সপ্তাহের পরও তার সহযোগীরা আমার বাসায় এসে জোরপূর্বক এ ঘটনা কালু মিজান করেনি বলে জবানবন্দি রেকর্ড করার চেষ্টা করেছে।

পরে আমি প্রতিবাদ করলে তারা উক্ত ঘৃণ্য মিথ্যা জবানবন্দি মোটা অংকের টাকার বিনিময়েও রেকর্ড করতে সক্ষম হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য আরো বলেন, কালো মিজানের ভয়ে আমি আজিজ টাউয়ারের ভাড়া বাসা ত্যাগ করে বাদশা কলোনীতে আশ্রয় নিই। কিন্তু তাদের হুমকি অব্যাহত রয়েছে। তার বাবা আবুল হোসেন এ ঘটনা মিথ্যা প্রমাণ করতে ৫০হাজার টাকার লোভ দেখায়। আবুল হোসেন তাকে আরও বলেন যে, ঘটনাটি বাদশা ও বাবর মিজানকে ফাঁসানোর জন্য এ নাটক সাজিয়েছে। তুমি শুধু এটা বলবে, তোমাকে ৫০হাজার টাকা দিবো। তোমার কিছু হবেনা। এটা কথা কাউকে বলবেনা। এসব কথাগুলো বলে কালো মিজানের বাবা আবুল হোসেন তার বাসা ত্যাগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শরমিন আরও বলেন, সেদিন রাত ১২টায় মিজানের ছোট ভাই মিনহাজ, হারুনের পুত্র ইকবাল ও রাশুর ছেলে ফরহাদ তার বাড়ীতে আসে। একহাতে বড় মোবাইল, আরেক হাতে টাকার বান্ডেল। তারা বলেন, আমার বাবা তোমাকে যে কথা বলছে, সেভাবে বললে ৫০ হাজার টাকা দেবো।

শুধু তুমি বলবে যে, তোমার গর্ভাপাত সন্তানটি মিজানের নয়। এটা তোমার অবৈধ সন্তান। এমন কথাগুলো বলার জন্য বার বার প্রস্তাব করে আমার হাতে টাকা দিয়ে তারা মোবাইলে রেকডিং শুরু করে। কিন্তু আমি ভয়ে টাকা ফেলে দিয়ে মিথ্যা কথা বলতে পারিনি এবং কান্নায় ভেঙে পড়ি।

তখন তারা আমার সাথে যা আচরণ শুরু করে এবং পকেট থেকে ধারালো চুরি বের করে আমাকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। আমাকে বিদেশ থেকেও হুমকি দিচ্ছে। বাদশা কলোনী থেকে অপহরণ করে ছাড়বে।

সংবাদ সম্মেলনে বাদী শরমিন আকতার লিখিত বক্তব্য আরও বলেন, মামলা তুলে দিতে ইতিমধ্যে কালো মিজান ও তার বাবা আবুল হোসেনসহ তার সহযোগীরা বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিয়ে আসছে। এমন পরিস্হিতিতে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

কালু মিজান, তার বাবা আবুল হোসেনসহ তার সহযোগী,হুমকি দাতাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির জন্য জোর দাবী করেছেন ভুক্তভোগীে শরমিন ও তার পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে লোহাগাড়ার কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দরা উপস্হিত ছিলেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।