২৫ এপ্রিল, ২০২৪ | ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৫ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ, শৃংখলা জোরদারের  লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট, জরিমানা   ●  রামুতে নিরাপদ পানি ও উন্নত স্যানিটেশন  সুবিধা পেয়েছে ৫০ হাজার মানুষ     ●  কক্সবাজারে ছাত্রলীগের ৫ লক্ষ গাছ লাগনোর উদ্যোগ   ●  মহেশখালীতে সাংসদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্টের অভিযোগ    ●  জেএস‌আরের বিরুদ্ধে উঠা সকল অভিযোগ কে অপপ্রচার বলে দাবি সভাপতি জসিমের   ●  ‘দশ হাজার ইয়াবা গায়েব, আটক  সিএনজি জিডিমূলে জব্দ   ●  বাংলাদেশ ফরেস্ট রেঞ্জার’স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা   ●  কক্সবাজার পৌরসভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুলের বরণ ও উপ-সহকারি প্রকৌশলী মনতোষের বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত   ●  জলকেলি উৎসবের বিভিন্ন প্যান্ডেল পরিদর্শনে মেয়র মাহাবুব   ●  উখিয়া সার্কেল অফিস পরিদর্শন করলেন ডিআইজি নুরেআলম মিনা

বেড়েই চলেছে রসুনের দাম

বাজারে সব পণ্যের দাম মোটামুটি স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েই চলেছে রসুসের দাম। দুই সপ্তাহ আগেও রসুনের বাজার ছিল স্থিতিশীল। গত সপ্তাহে পণ্যটির দাম বাড়ার পর আর কমছেই না বরং বেড়েই চলেছে। দুই সপ্তাহ আগে যে বিদেশি রসুন ছিল ১৭০-১৯০ টাকা কেজি তা গত সপ্তাহে বেড়ে দাঁড়ায় ১৯০-২০০ টাকা। এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই এ সপ্তাহে প্রতি কেজি বিদেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২১০-২৩০ টাকা। আমদানিকৃত রসুনের দামের প্রভাব পড়েছে দেশি রসুনের ওপরেও। প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২৫ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০-১১০ টাকা।
রসুনের এমন দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে শুক্রাবাদ বাজারের মুদি ব্যবসায়ী মো. নাইম জানান, পাইকাররা বলেন বিদেশি রসুনের আমদানি কম। আমদানি কম হওয়ায় দাম বেড়ে গেছে। যার প্রভাব দেশি রসুনের ওপরেও পড়েছে।
এদিকে রসুনের দাম বাড়লেও কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের দাম। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩২ টাকায় যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২-৩৪ টাকা কেজি। ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪-২৬ টাকায় যা গত সপ্তাহে ছিল ২৫-২৮ টাকা কেজি। আদা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৯০ টাকা কেজি।
চালের দাম আগে এক দফায় বেশ বাড়লেও এখন রয়েছে স্থিতিশীল। প্রতি কেজি স্বর্ণা ৪০-৪২ টাকা, পারিজা ৪৪-৪৬ টাকা, আটাশ ৪৬-৪৮ টাকা, নাজিরশাইল প্রকারভেদে ৪৬-৬০ টাকা, মিনিকেট ৫৩-৫৫ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চালের মতো আটা-ময়দার দাম স্থিতিশীল রয়েছে। খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ২৬-২৮ টাকা কেজি আর প্যাকেটজাত আটা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩২ টাকা কেজি। খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৩৪-৩৬ টাকা প্রতি কেজি আর প্যাকেটজাত ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪২ টাকা প্রতি কেজি। ডালের বাজারও রয়েছে আগের মতোই। দেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকা কেজি আর বিদেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা প্রতি কেজি দরে। মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকা কেজি, ছোলার ডাল ৯০-১০০ টাকা কেজি, আংকর ডাল ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
দুই একটা ব্যতিক্রম বাদে সবজির বাজারও রয়েছে স্থিতিশীল। যেসব সবজির দাম বেড়েছে তার মধ্যে পটল ৪৫-৫০ টাকা কেজি যা আগে ছিল ৩০-৪০ টাকা কেজি। টমেটোর দাম ৫ টাকা বেড়ে ৩৫-৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ঢেঁড়সের দাম কিছুটা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। আর কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ঝিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। স্থিতিশীল রয়েছে যেসবের দাম তার মধ্যে আলু ১৮-২২ টাকা কেজি, মরিচ ৫৫-৬০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৪৫-৫০ টাকা কেজি, বরবটি ৪৫-৫০ টাকা কেজি, বেগুন ৪০-৫০ টাকা কেজি, করলা ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ মাংসের বাজার আগের মতোই রয়েছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায় আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭৫০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি ১৫৫-১৬০ টাকা কেজি আর দেশি মুরগি ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছের মধ্যে রুই ২১০-২৩০ টাকা কেজি, তেলাপিয়া ১৩০-১৫০ টাকা কেজি, ইলিশ ৭০০-১২০০ টাকা কেজি, কাতলা ২১০-২৪০ টাকা কেজি, শিং ৬৫০-৭৫০ টাকা কেজি, পাবদা ৫০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।