২৫ এপ্রিল, ২০২৪ | ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৫ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সেনা ও বিজিপির ২৮৮ সদস্য ফিরল মিয়ানমারে   ●  কক্সবাজার পৌরবাসির কাছে মেয়রের শেষবারের মতো ৫ অনুরোধ   ●  কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ, শৃংখলা জোরদারের  লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট, জরিমানা   ●  রামুতে নিরাপদ পানি ও উন্নত স্যানিটেশন  সুবিধা পেয়েছে ৫০ হাজার মানুষ     ●  কক্সবাজারে ছাত্রলীগের ৫ লক্ষ গাছ লাগনোর উদ্যোগ   ●  মহেশখালীতে সাংসদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্টের অভিযোগ    ●  জেএস‌আরের বিরুদ্ধে উঠা সকল অভিযোগ কে অপপ্রচার বলে দাবি সভাপতি জসিমের   ●  ‘দশ হাজার ইয়াবা গায়েব, আটক  সিএনজি জিডিমূলে জব্দ   ●  বাংলাদেশ ফরেস্ট রেঞ্জার’স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা   ●  কক্সবাজার পৌরসভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুলের বরণ ও উপ-সহকারি প্রকৌশলী মনতোষের বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ঝিলংজার ইউপি সদস্য নাছির উদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মাদক পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার, আধিপত্য বিস্তার, বালি ও ভূমিদস্যুতায় অভিযুক্ত কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজার ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাছির উদ্দিন পূণনির্বাচিত হয়ে আরোও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ব্যাক্তিগত বিরোধের প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে জনপ্রতিনিধির ক্ষমতাকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করে একের এক নৃশংস ও বর্বর চরিত্রের জন্ম দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও মাদক ও হুন্ডি কারবারে জড়িয়ে উর্পাজন করেছেন শত কোটি টাকা। এথেকেই ধরাকে সরাজ্ঞান করতে শিখে গেছেন মেম্বার নাছির।

গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার ঝিলংজার ইউপি নির্বাচনে ছুরতিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্রে ঘটে যাওয়া এক নির্বাচনী সহিংসতাকে কাজে লাগিয়ে ব্যাক্তিগত ফায়দা হাসিলে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইউপি সদস্য নাছির। এমনকি ঘটনা ও নির্বাচনী এলাকার সাথে সংশ্লিষ্ট নয় এমন লোকজনকেও মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছে বলে সংবাদ সম্মেলন ডেকে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী দুই ভাই।

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঝিলংজার দরগাহ পাড়া এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে পশ্চিম মোক্তারকুল এলাকার মৃত নজির আহাম্মদের দুই পুত্র মাহবুব আলম (৫০) ও শফি আলম (৪০) ইউপি সদস্য নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন।

তারা বলেন, নির্বাচনের আগেও নাছির মেম্বার তাদের বিভিন্ন সময় নির্যাতন-হয়রানি করেছে। ভবিষ্যতেও এলাকার যেকোন ঘটনার মামলায় তাদের জড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমতি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা জানান- মাহবুব আলম ও শফি আলম দুই ভাই এলাকার প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী। শুধুমাত্র ব্যাক্তিগত বিরোধের জের ধরে ইউপি সদস্য নাছির নির্বাচনী সহিংসতার একটি মামলায় উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে তাদের জড়িয়ে দিয়েছেন। এধরেন হয়রানিমুলক মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসী আরোও জানান- ভিন্ন ওয়ার্ডের মেম্বার হয়ে অন্য ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মামলা দিয়ে হয়রানি হুমকি-ধামকি নজিরবিহীন ঘটনা। শুধুমাত্র জনপ্রতিনিধির ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে এমন অবৈধ প্রভাব বিস্তার সাধারণের জন্য আরো দুর্ভোগ বয়ে আনবে বলে মনে করেন তারা।

নাছিরের ব্যাপারে স্থানীয়রা জানান- এক সময় হাটে-বাজারে ঘুরে ঘুরে শাক-সবজি বিক্রি করতেন তিনি। জীবিকার তাগিদে নদীতে মাছ ধরে বিক্রি করেছেন দীর্ঘদিন। কিন্তু এতকিছুর পরেও দারিদ্রতার অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে পারেননি নাছির। এক সময় সিদ্ধান্ত নেন অপরাধ জগতে পা রাখার। পিএমখালী ইউনিয়নের হুন্ডি কারবারের ডন বজলের হাত ধরে জড়িয়ে পড়েন হুন্ডি কারবারে। হুন্ডি ব্যবসার পাশাপাশি জড়িয়ে পড়েন ইয়াবা সিন্ডিকেটে। হুন্ডি ও ইয়াবা ব্যবসা করে মাত্র ৫ বছরের ব্যবধানে নাছির বর্তমানে শত কোটি টাকার মালিক। এলাকায় সবাই তাকে শীর্ষ চোরাকাবারী ও মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে এক নামে চেনে। এদিকে টাকা আর ক্ষমতা হাতে এলেও চোরাকারবারির অপবাদ নাছিরের পিছু ছাড়েনি। তাই অপরাধীর তকমা কাটাতে কালো টাকা বিলিয়ে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ভাগিয়ে নিয়েছেন ইউপি সদস্যের পদটি।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে এলাবাসীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক, ছালাম মিয়া বাবুল, ইসমাইল সওদাগর, প্রবাসী সিরাজুল ইসলাম, ধুলু মিয়া, ইমাম হোসেন, আব্দুল হক প্রমুখ।

উল্লেখ্য, নাছির মেম্বারের দায়েরকৃত এই মামলায় ১৩ জনকে আসামী করা হয়েছে। তারমধ্যে মাহবুব আলম ও শফি আলমকে যতাক্রমে ১০ এবং ১১ নাম্বার আসামী করা হয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।