জলবায়ু পরিবর্তন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে পিছিয়ে থাকার কারণে প্রবল বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে ভারত, বাংলাদেশ ও চীন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইন্সটিটিউট (ডব্লিউআরআই) ও নেদারল্যান্ডের বিশেষজ্ঞদের এক গবেষণা শেষে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে শুক্রবার পাকিস্তানের একটি প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম জানায়, প্রতি বছর বিশ্বের প্রায় দুই কোটি ১০ লাখ মানুষ বন্যাকবলিত হয়। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২০৩০ সাল নাগাদ এই সংখ্যা বেড়ে সাড়ে পাঁচ কোটিতে গিয়ে দাঁড়াবে। এই সংখ্যার ৮০ শতাংশই বাংলাদেশ, ভারত, চীন, ভিয়েতনাম এবং পাকিস্তানের মানুষ। শুধুমাত্র ভারতেই ৫০ লাখ মানুষ প্রবল বন্যা ঝুঁকিতে আছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে অারও বলা হয়, উন্নত দেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বন্যা ঝুঁকিতে আছে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা। ২০৩০ সাল নাগাদ দেশটিতে প্রতি বছর গড়ে প্রায় দুই লাখ মানুষ বন্যার ভোগান্তিতে পড়বে।

১৬০টি দেশ নিয়ে ঝুঁকির ভিত্তিতে প্রস্তুত প্রতিবেদনের তালিকায় ভারতের নাম অবশ্য সবার অাগে। দ্বিতীয় অবস্থানেই অাছে বাংলাদেশ এবং তৃতীয় স্থানে চীন। তালিকার ১৮ নম্বরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

প্রতিবেদনটিতে আরও জানানো হয়েছে, সারাবিশ্বে প্রতি বছর বন্যার কারণে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৯ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। শুধুমাত্র ভারতেই এই ক্ষতি ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। আর বাংলাদেশে এর পরিমাণ প্রায় ৫৫০ কোটি ডলার।২০৩০ সাল নাগাদ বৈশ্বিক এই ক্ষতির পরিমাণ ৫২ হাজার ১০০ কোটি ডলারে গিয়ে দাঁড়ানোর আশঙ্কা আছে বলেও ওই গবেষণা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।