৩ মে, ২০২৪ | ২০ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৩ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  নিরাপদ নুরুল আবছারকেই পছন্দ ভোটারদের   ●  আদালতে তিন মামলারই জবানবন্দি দিলেন অস্ত্র সহ গ্রেফতার সিরাজ   ●  টেকনাফে অপহরণ চক্রের সদস্য অস্ত্রসহ গ্রেফতার   ●  উপজেলা চেয়ারম্যান শফিউল্লাহর প্রার্থীতা বাতিলে হাইকোর্টে রিট   ●  প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর ৩০ বছরের পথচলা ও সাফল্য উদযাপন   ●  কক্সবাজার পৌরসভায় ৩ টি প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা   ●  কুতুবদিয়ায় সুপারডাইকে বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও পারাপারে ফেরী সার্ভিস চালুর দাবী   ●  ‘সবাইকে ভালোর দিকে ছুটতে  হবে, খারাপের দিকে নয়’   ●  বিজয়ী হয়ে অভিভাবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন নজির আহাম্মদ   ●  চকরিয়ায় সাবেক সাংসদের উপস্থিতিতে সাংবাদিকের উপর হামলা

পেকুয়ায় উপজেলা বি এন পির সভাপতি সহ ৩০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা

mamla
পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতির গাড়ী পুড়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা বি এন পির সভাপতিসহ ৩০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা করছে পুলিশ। জানা যায় গত ১৪ মার্চ পেকুয়া থানার এস আই বিমল  বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গাড়ীতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলার দায়ে উপজেলা বি এন পির সভাপতি ও সদর ইউপির চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ কে প্রধান আসামী, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কামরান জাদিদ মুকুট, উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ রুবেল, পূর্ব জোন বি এন পির সাধারণ  সম্পাদক ও সদর ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মাহাবুল করিম এমইউপি, ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আহছান উল্লাহ, পশ্চিম জোন যুবদলের সভাপতি জয়নাল, পশ্চিম জোন বি এন পির সভাপতি শাহনেওয়াজ মেম্বার সহ ৩০ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ১৫/২০ জন অজ্ঞাত আসামী দেখিয়ে মামলাটি রের্কড করেন পেকুয়া থানার ওসি আবদুর রকিব। যার নং ৮। জানা গেছে গত ১২ মার্চ বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাত ১১ টার দিকে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের মালিকনাধীন একটি পিকআপ ইট নিয়ে বাজারের যাওয়ার পথে পেকুয়া-মগনামা সড়কের আশরাফুল উলুম মাদ্রাসা পয়েন্টে গতিরোধ করে গাড়ীতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে দুবৃর্ত্তরা। পরে ফায়ার সার্ভিস গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। খবর পাওয়ার পর পরই পেকুয়া থানার ওসি আবদুর রকিব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আর এ ঘটনা নিয়ে দুই দিন ধরে পেকুয়ায় চলছে চরম উত্তোজনা। এ ঘটনা নিয়ে পুলিশ বাদী হয়ে গাড়ী পুড়ানোর দায়ে উপজেলা বি এন পির সভাপতিকে আসামী করে ৩০ জন নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় গ্রেফতার এড়াতে এখন প্রায় গ্রামে পুরুষশূন্য হয়ে গেছে। পুলিশ হন্য হয়ে খোঁজছে মামলার উল্লেখিত আসামীদের। আসামী ধরতে যৌথ বাহির্নীর সদস্যরা বিভিন্ন বেশে নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছে। উল্লেখ যে বি এন পির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদ কে উত্তরা একটি বাসা থেকে আ’লীগের সাদাপোশাকধারী, র‌্যাব ও যৌথবাহিনীরা গ্রেফতার করার খবর  ১১ মার্চ রাতে ওনার নিজ এলাকার লোকজনের কাছে পৌছলে তৎক্ষনাত বিক্ষোভে পেটে পড়ে সাধারণ লোকজন ও নেতাকর্মীরা। এসময় নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করলেও পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন পয়েন্টে বেশ কয়েকটি গাড়ী ভাংচুর চালায়। এ ঘটনার পর দিন গত ১২ মার্চ সকালে পেকুয়া থানার এ এস আই শাহাজাহান কামাল বাদী হয়ে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কামরান জাদিদ মুকুট, পূর্বজোন বি এন পির সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মাহাবুল করিম এমইউপি, উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ রুবেল, ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আহছান উল্লাহ, টইটং ইউপির চেয়ারম্যান উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন, যুবদল নেতা ফজল, পেকুয়া সদর পশ্চিম জোন বি এন পির সভাপতি শাহনেওয়াজ আজাদ এমইউপি, উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মজিবুল হক চৌং, যুবদল নেতা আরিফুল ইসলাম বিটু, পশ্চিম জোন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইমরুল হাসান ইমু, পেকুয়া চৌমুহুনী এলাকার মৃত ওকিল আহমদের পুত্র কবির হোসেন, দেলোয়ার হোসেন মিস্ত্রী, জাফরের পুত্র ছাত্রদলকর্মী নাছির উদ্দিন, টইটং হিরাবুনিয়া এলাকার রমিজ, মোশারফ, আবদুল খালেক, আজম ইকবালসহ ৩১ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ২০-৩০ জন অজ্ঞাত আসামী দেখিয়ে পুলিশের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী পেকুয়া থানার এস আই বিমল এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান অপরাধীদের কে কোন ভাবে ছাড় দেওয়া যাবে না।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।