২০ মে, ২০২৪ | ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১১ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  এভারকেয়ার হসপিটালের শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. তাহেরা নাজরীন এখন কক্সবাজারে   ●  কালেক্টরেট চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সভাপতি আব্দুল হক, সম্পাদক নাজমুল   ●  ক্যাম্পের বাইরে সেমিনারে অংশ নিয়ে আটক ৩২ রোহিঙ্গা   ●  চেয়ারম্যান প্রার্থী সামসুল আলমের অভিযোগ;  ‘আমার কর্মীদের হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে’   ●  নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবকিছু কঠোর থাকবে, অনিয়ম হলেই ৯৯৯ অভিযোগ করা যাবে   ●  উখিয়া -টেকনাফে শাসরুদ্ধকর অভিযানঃ  জি থ্রি রাইফেল, শুটারগান ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ৫   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে  তুলে নিয়ে   গুলি করে হত্যা   ●  যুগান্তর কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিমের পিতৃবিয়োগ   ●  জোয়ারিয়ানালায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত রামু কলেজের অফিস সহায়ক   ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু

পিএমখালীতে বসতঘরে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ

শাহীন মাহমুদ রাসেলঃ কক্সবাজার সদরের পিএমখালীতে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে বসত ঘরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল (৫ এপ্রিল) ৪নং ওয়ার্ড মধ্যম জুমছড়ির মৃত ফরিদুল আলম এর বসত ঘরে হামলা ও ভাংচুর করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, একই গ্রামের আমান উল্লাহ গংদের সাথে মৃত ফরিদের স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েদের সাথে দীর্ঘ দিন যাবত জমা-জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে আমান উল্লাহ তার ছেলে-মেয়েদের নিয়ে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ফরিদের বসত ঘরে হামলা ও ভাংচুর করে। এতে তার ছেলে সোহেল (৩০) গুরুতর আহত হয়। ওই ঘটনায় ফরিদের স্ত্রী দিল নুরু বেগম বাদী হয়ে আমান উল্লাহসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

বাদীর মেয়ে ডালিয়া জানান, হামলাকারী প্রতিপক্ষরা দীর্ঘদিন ধরে বাদীর স্বামী ফরিদুল আলমের বসতভীটার জমি জবর দখলে নিতে পূর্বশত্রুতা চলে আসছিল। এনিয়ে তাদেরকে নানাভাবে হুমকি ধমকিও দিয়ে আসছিল।

সর্বশেষ ৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৬টার দিকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে অতর্কিত বাড়িতে ঢুকে তার জেঠা আমান উল্লাহ (৫৭) তার ছেলে লিয়াকত (৩৪) ওবাইদুল করিম (৩২) তার স্ত্রী খালেদা (২৭) রিদুয়ান করিম (২৮) মেয়ে মোতাহেরা (৩৬) সহ হামলা ও ভাংচুর চালায়। হামলায় তার ভাই সোহেল (৩০)কে বেধম মারধরে গুরুতর আহত করে। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করে আহত করেন। এসময় বসতঘরে হামলা ও ভাংচুরে অন্তত ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে বলে তিনি দাবী করেন।

এ ব্যাপারে ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলম (মাত আলম) বলেন, মৃত ফরিদের বসতঘরে হামলা করেছে বলে শুনেছি, তবে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করার কারণে গিয়ে দেখতে পারিনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আমানের ছেলে রিদুয়ানের সাথে কথা বললে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তেমন কোন ঘটনা ঘটেনি। বাতাসে তাদের ঘরের একাংশ পড়ে গেছে। তারা চাইলে স্থানীয় কয়েকজনকে ডেকে জমির বিরোধ সমাধান করতে পারেন বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি (তদন্ত) খাইরুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।